ad720-90

আটকে গেল টেলিগ্রামের ‘ডিজিটাল আইপিও’


ডিজিটাল মুদ্রার মাধ্যমে বিশ্বব্যপী ১৭০ কোটি ডলার তোলার
লক্ষ্যে মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামের পরিকল্পনা চূড়ান্ত পর্যায়ে আটকে দিয়েছে মার্কিন
আদালত।

প্রচলিত পদ্ধতিতে প্রতিষ্ঠানগুলো শেয়ার বাজারে অন্তর্ভূক্তির
মাধ্যমে বিনিয়োগ সংগ্রহ করে থাকে। একই কাজ ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে করার উদ্যোগ নিয়েছিল
টেলিগ্রাম অ্যাপটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেলিগ্রাম ইনকর্পোরেডেট। এজন্য তারা যে মুদ্রা
তৈরি করেছে তার নাম দেওয়া হয়েছে ‘গ্রাম’।

মার্কিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)
বলেছে, টেলিগ্রামের উদ্যোগটি ‘সিকিউরিটি অফারিংয়ের’ শ্রেণিতে পড়ে ফলে তাদের এ বিষয়ে
প্রচলিত আইন মানতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে নিয়মমাফিক নিবন্ধন এবং প্রয়োজনীয় দলিলাদি প্রকাশ
করা।

ম্যানহাটনের ফেডারেল ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে দায়ের করা অভিযোগে
এসইসি বলেছে, টেলিগ্রাম ২০১৮ সালেই ১৭০ কোটি ডলারের সমতুল্য ২৯০ কোটি ডিজিটাল কয়েন
বিক্রির উদ্যোগ নেয়। এর মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি ১০০ কোটি টোকেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মোট
৩৯ ক্রেতার কাছে এবং বাকি কয়েন বিশ্বব্যপী ১৭১ ক্রেতার কাছে বিক্রি করেছে। এই পরিকল্পনার
অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি গ্রাম নামে ডিজিটাল মুদ্রা বা ক্রিপ্টোকারেন্সি এবং সে লক্ষ্যে
টেলিগ্রাম ওপেন নেটওয়ার্ক বা টিওএন ব্লকচেইন তৈরি করেছে।

এ বছর ৩১ অক্টোবরের আগেই ওই ক্রিপ্টোকারেন্সি চালু করে
তা ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকার করে যা পরবর্তীতে বাজারে কেনাবেচা করা যাবে।

এ অবস্থায় এসইসি ১১ অক্টোবর “জরুরীভিত্তিতে” আদালতে অভিযোগ
দায়ের করে ও ওই মুদ্রার প্রচলন ঠোকানোর উদ্যোগ নেয়।

“এ বিষয়ে জরুরী ব্যবস্থা নেওয়ার কারণ ছিল বাজারে ডিজিটাল
কয়েনের ঢল নামানো বন্ধ করা, যা আমরা মনে করি অবৈধভাবে বিক্রি করা হয়েছে।”- বলেন এসইসির
আইনপ্রয়োগ বিভাগের যুগ্ম পরিচালক স্টেফানি আভাকিয়ান।

একই বিভাগের অপর যুগ্ম পরিচালক স্টিভেন পেইকিন বলেন,
“আমরা বারবার বলেছি যে, স্রেফ ডিজিটাল টোকেন বা ক্রিপ্টোকারেন্সির দোহাই দিয়ে আপনি
এ বিষয়ে প্রচলিত আইন এড়িয়ে যেতে পারেন না।”

টেলিগ্রামের এক আইনজীবীর কাছে এই
বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar