মতপ্রকাশের কারণেই চাকরিচ্যুত, অস্বীকার ফেইসবুকের
সেপ্টেম্বরের ১৯ তারিখ মেনলো পার্ক কার্যালয়ে আত্মহত্যা করেন ফেইসবুকের বিজ্ঞাপন প্রকৌশল বিভাগের কর্মী কিন চেন। এরপর সেপ্টেম্বরের ২৬ তারিখে বিষয়টি নিয়ে বিক্ষোভে নামেন ফেইসবুক কর্মীরা। তাদের মধ্যে ছিলেন সম্প্রতি ছাঁটাইয়ের শিকার হওয়া ইন-ও। ফেইসবুকের প্রধান উন্নয়ন টিমের সাবেক প্রকৌশলী ইনের দাবি, বিক্ষোভের সময় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার কারণেই চাকরি হারিয়েছেন তিনি — খবর সিএনবিসি’র।
ইন সিএনবিসিকে বলেন যে, তিনি শুনেছিলেন এইচ১-বি ভিসা নিয়ে কাজ করতে এসেছিলেন চেন এবং তিনি নিজের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। বিশেষ করে, উর্ধ্বতনদের কাছ থেকে বাজে মূল্যায়ন পেয়েছিলেন তিনি। চেন ফেইসবুকের বিজ্ঞাপন প্রকৌশল বিভাগের কর্মী ছিলেন, যে বিভাগটি কাজে অতিরিক্ত চাপ দেওয়ার বিষয়ে কুখ্যাত।
ইয়েন জানান, ‘তিনি একা নন, আরও অনেক ফেইসবুক কর্মী আন্দোলনে নেমেছিলেন। তবে তারা ‘ফেইসবুক এমপ্লয়ি ব্যাজ’ লুকিয়ে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। কিন্তু তিনি তা করেননি।’ বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে নিজ টিমের প্রধানকে অবহিত করেছিলেন বলেও জানান সাবেক এই ফেইসবুক কর্মী।
বিক্ষোভের পরে ফেইসবুকের মানবসম্পদ বিভাগ থেকে একটি মেইল পান ইন। ওই মেইলে লেখা ছিল, “চেন-এর পরিবারের প্রতি সম্মান দেখানো ও তাদের গোপনীয়তার স্বার্থে প্রতিষ্ঠানের বাইরে ঘটনাটি নিয়ে কথা বলবেন না।” এরপর অক্টোবরের ১ তারিখে শেষ বারের মতো সতর্ক করা হয় ইনকে। পরে ওই মাসেরই ৭ তারিখে ছাঁটাই করা হয় তাকে। ইনের ভাষ্যে, ছাঁটাইয়ের সময় কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে, ঘটনাটি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলা এবং সহকর্মীদের অস্বস্তির মধ্যে ফেলে দেওয়ার জন্যই চাকরি হারিয়েছেন তিনি।
এদিকে ফেইসবুকের এক মুখপাত্র ইন-এর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বা ঘটনাটি নিয়ে কথা বলার জন্য নয়, বরং বেশ অনেকবার প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ম লঙ্ঘন করার কারণে চাকরি হারিয়েছেন তিনি।” সিএনবিসি জানিয়েছে, ছাঁটাই হওয়ায় সাইনিং বোনাসের ৩৯ হাজার ডলার ফেরত দিতে হয়েছে ইনকে। চেন-এর মতো ইন-ও চীন থেকে ভিসা নিয়ে কাজ করতে এসেছিলেন। জানুয়ারির মধ্যে নতুন চাকরি না পেলে দেশে ফিরে যেতে হবে তাকে।
ইন জানিয়েছেন, চেন-কে ব্যক্তিগতগতভাবে চিনতেন না তিনি। চেন-এর মতো পরিণতি আরও কারও হোক এমনটা চান না বলেও জানিয়েছেন সাবেক এই ফেইসবুক কর্মী। ছাঁটায়ের পর চেন-এর আইনজীবিদের পরামর্শ নিচ্ছেন ইন।
Comments
So empty here ... leave a comment!