ad720-90

আইসিটিতে বাংলাদেশের অগ্রগতি দেখে আমি মুগ্ধ


জেমস পয়জ্যান্ট।  ছবি: প্রথম আলোতথ্যপ্রযুক্তি খাতের আন্তর্জাতিক সংগঠন ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিসেস অ্যালায়েন্সের (উইটসা) মহাসচিব ড. জেমস পয়জ্যান্ট। ২০০৬ সাল থেকে তিনি এ দায়িত্ব পালন করছেন। তবে ১৯৯৯ সাল থেকে তিনি এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। এর আগে তিনি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান পয়জ্যান্ট ইন্টারন্যাশনাল এলএলসি গড়ে তুলেছিলেন। লোকপ্রশাসনে পিএইচডি ডিগ্রিধারী জেমস পয়জ্যান্ট ইলেকট্রনিক ডেটা সিস্টেম, ওয়াল্ট ডিজনিসহ বড় বড় প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ ব্যবস্থাপনা পর্যায়ে যুক্ত ছিলেন। স্ত্রী ইলেইনাকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় বসবাস করেন তিনি। জেমস দম্পতির দুই ছেলে, দুই মেয়ে এবং আটজন নাতি–নাতনি। বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির আমন্ত্রণে রোববার ঢাকায় আসেন জেমস পয়জ্যান্ট। প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে গত বুধবার কথা হয় তাঁর সঙ্গে।

পল্লব মোহাইমেন: বাংলাদেশ কেমন লাগছে?
জেমস পয়জ্যান্ট: বাংলাদেশে এটা আমার দ্বিতীয় সফর। কয়েক মাস আগে প্রথমবার এসেছিলাম। আমরা বাংলাদেশকে ভালোবাসি। আইসিটিতে আপনাদের অগ্রগতি দেখে আমি মুগ্ধ। বাংলাদেশের ভিশন ২০২১ রয়েছে। যার মাধ্যমে আপনারা আইসিটিতে এগিয়ে চলেছেন।

আপনি তো এবার ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন মেলা দেখলেন। তরুণদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা কেমন মনে হলো?
জেমস: নারীদের কাজ দেখে আমি মুগ্ধ। আপনাদের জ্ঞান আছে, মানুষ আছে, আগ্রহ আছে। তার মানে এটাই হলো ভবিষ্যৎ।

তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির উন্নয়নের ধারায় কি বাংলাদেশ সঠিক পথে রয়েছে?
জেমস: হ্যাঁ। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে তরুণদের জন্য একটা ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে হয়। পৃথিবীতে সৃজনশীল মানুষ অনেক রয়েছেন। তাঁদের আইডিয়া আছে, কিন্তু এটার বিপণন ও বাজারজাত করা, বৈধভাবে কোম্পানি গড়ে তোলার ব্যাপারটা সবাই হয়তো জানেন না কিংবা বোঝেন না। পৃথিবীতে ১ শতাংশ সৃজনশীল মানুষ রয়েছেন, যাঁরা এই সবকিছু করতে পারেন। বাকিদের জন্য পরিবেশ তৈরি করে দিতে হয়, যা বাংলাদেশ করতে পারছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্বীকৃতি পাওয়া উচিত। এশিয়ার সংস্কৃতি আমি জানি। এ রকম বেশির ভাগ উদ্যোগ ব্যর্থ হয়। অবশ্য ব্যর্থতা কিন্তু শিক্ষকের ভূমিকা পালন করে।

দীর্ঘদিন ধরে আপনি উইটসার সঙ্গে আছেন। এর আগে নিজের কোম্পানি করেছেন। বিশ্বকাপ ফুটবল, অলিম্পিকসহ অনেক বড় বড় আয়োজন ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িতে ছিলেন। উইটসার কাজটি আপনি কতটা উপভোগ করেন?
জেমস:
খুব। কারণ, প্রতিদিন আমি অনেক মানুষের সঙ্গে পরিচিত হতে পারি। ১৯৯৬ সাল থেকে আমি উইটসার সঙ্গে জড়িত। সে বছর যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন আইটির সিইও ছিলাম। ২০০৬ সাল থেকে আমি উইটসার মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।

তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নে উইটসার ভূমিকা কী?
জেমস: আপনি তো গত সপ্তাহে আর্মেনিয়ায় অনুষ্ঠিত ডব্লিউসিআইটি ২০১৯–এ গিয়েছিলেন। আর্মেনিয়াকে আপনার কী মনে হলো? কী হচ্ছে সেখানে?

তারা আইসিটিতে দ্রুত এগিয়ে চলেছে।
জেমস: তারা এগিয়ে চলেছে। ডব্লিউসিআইটি সে দেশে অনুষ্ঠিত হওয়ায় বিশ্বের নজর পড়ল সেখানে।

২০২১ সালে বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তির এই সম্মেলন আয়োজন করা হবে। কেমন হবে বলে আশা করছেন?
জেমস: দারুণ হবে। আর এটা বাংলাদেশকে পুরো পৃথিবীর সামনে তুলে ধরবে।

উইটসার মূল শক্তিটা আসলে কোথায়?
জেমস: উইটসার সদস্য ৮৩টি দেশ। প্রতিটি দেশ থেকে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের একটি করে প্রধান সংগঠন এর সদস্য। ফলে উইটসা বড় নেটওয়ার্ক তৈরি করে দেয়। প্রতিবছর ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস করা হয়। জাতিসংঘ, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম, বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আমাদের কাজ হয়। উইটসা দেশগুলোতে আইসিটির উন্নয়নে সহযোগিতা করে। আইসিটি শুধু সরকার বা ব্যবসায়ীদের নয়, এটা সবার জন্য।

বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়ন কেমন হবে বলে মনে করেন?
জেমস: যেকোনো দেশের সফলতার মূল বিষয় হলো নেতৃত্ব। আপনাদের সেটা আছে। আর তা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে। আপনাদের সবই হবে।

তরুণদের উদ্দেশে কিছু বলুন।
জেমস: জীবন একটা যাত্রা (জার্নি)। জীবনে অগ্রাধিকারের তালিকাটা হবে এমন—স্বাস্থ্য, পরিবার এবং এরপর কাজ। স্বাস্থ্য ঠিক না থাকলে কিছুই করতে পারবে না। পরিবার ঠিক রেখে তারপর কাজ করতে হবে।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar