লিব্রা আটকানো হলে সুবিধা পাবে চীন: জাকারবার্গ
লিব্রার বিষয়ে আলোচনা করতে বুধবার হাউজ ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস কমিটির মুখোমুখি হবেন জাকারবার্গ। শুনানির আগে তার প্রস্তুতকৃত বক্তব্যের কিছু তথ্য সামনে এসেছে। ফেইসবুক প্রধানের দাবি, ভবিষ্যতে এমন ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ হবে– খবর আইএএনএস-এর।
“যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এতে নেতৃত্ব না দেয়, অন্যরা দেবে। বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো বা অন্যান্য দেশ হয়তো একই নীতিমালা বা স্বচ্ছতার অঙ্গীকারের মধ্যে পড়বে না, যা আমাদের ওপর আছে,” বলেন জাকারবার্গ।
ফেইসবুক প্রধান আরও বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো কারও অপেক্ষায় বসে নেই।
“কয়েক মাসের মধ্যেই একই ধরনের প্রকল্প চালু করতে চীন দ্রুত এগোচ্ছে। লিব্রার বেশিরভাগই ডলার দিয়ে চালানো হবে এবং আমি মনে করি এতে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক নেতৃত্বের পরিধির পাশাপাশি আমাদের গণতান্ত্রিক মূল্যও বাড়বে।”
“যদি যুক্তরাষ্ট্র উদ্ভাবন না করে, আমাদের অর্থনৈতিক নেতৃত্বের নিশ্চয়তা থাকবে না।”
সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বজুড়ে নীতিনির্ধারকদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে ফেইসবুকের লিব্রা। এই প্রকল্পের জবাবদিহিতার জন্য জাকারবার্গকে ডেকেছে মার্কিন হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভস।
বুধবারই মার্কিন হাউস সার্ভিসেস কমিটির মুখোমুখি হচ্ছেন জাকারবার্গ। প্রস্তাবিত লিব্রা এবং ডিজিটাল ওয়ালেট সেবার ব্যাখ্যা জানতে চেয়ে চলতি বছরের জুলাই মাসে ফেইসবুককে চিঠি দিয়েছিলেন ওই কমিটির প্রধান ম্যাক্সিন ওয়াটার্স।
ইতোমধ্যেই লিব্রা প্রকল্পকে ‘বিভ্রান্তিকর’ এবং ‘বিপজ্জনক’ বলেছেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা।
“আমি বুঝতে পেরেছি লিব্রা প্রকল্প এবং এতে ফেইসবুকের ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কিছু ব্যক্তি। আমরা খুব দ্রুত এগোচ্ছি বলেও কিছু ব্যক্তি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি,” বলেন জাকারবার্গ।
“আমরা পরিষ্কার করতে চাই যে, মার্কিন নীতিনির্ধারকদের অনুমোদন ছাড়া বিশ্বের কোথাও লিব্রা লেনদেন ব্যবস্থা চালু করার অংশ হতে চায় না ফেইসবুক।”
ক্রিপ্টোকারেন্সি চালু করতে ২৮টি প্রতিষ্ঠান নিয়ে লিব্রা অ্যাসোসিয়েশন গঠন করে ফেইসবুক। সম্প্রতি এই অ্যাসোসিয়েশন ছেড়েছে পেইপাল, ভিসা, মাস্টারকার্ড এবং ইবেসহ সাত সদস্য। সামনের বছর জুন মাসে এই ক্রিপ্টোকারেন্সি চালু করার পরিকল্পনা ছিল ফেইসবুকের।
Comments
So empty here ... leave a comment!