ad720-90

পেন্টাগন ইতিহাসে বৃহত্তম চুক্তি মাইক্রোসফটের


চুক্তিটি মাইক্রোসফটকে দেওয়ার সিদ্ধান্তে ‘বিস্ময়’ প্রকাশ করেছে বেজোস শিবির। অ্যামাজন বলছে, ‘কে কী দিতে চাচ্ছে, সে বিষয়টি বিস্তারিতভাবে বিশ্লেষণ করলেই ভিন্ন ফলাফল আসবে।’ তবে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, চুক্তির ব্যাপারটি ‘নিরপেক্ষভাবে বিচার করা হয়েছে’- বলা হয়েছে বিবিসি’র প্রতিবেদনে।

পেন্টাগন ইতিহাসে বৃহত্তম ওই চুক্তিটি পেতে শামিল ছিল মাইক্রোসফট, ওরাকল, আইবিএম ও অ্যামাজনের মতো মহারথীরা। বিষয়টি নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়িও কম হয়নি। মামলা পর্যন্ত হয়েছে মার্কিন ফেডারেল আদালতে।

হাজার কোটি ডলার মূল্যের ১০ বছর মেয়াদী ওই ক্লাউড কম্পিউটিং চুক্তিটির পুরো নাম ‘জয়েন্ট এন্টারপ্রাইজ ডিফেন্স ইনফাস্ট্রাকচার’, সংক্ষেপে জেডাই। নিজেদের সব কম্পিউটার নেটওয়ার্ককে একটি ক্লাউড সিস্টেমের অধীনে নিয়ে আসার লক্ষ্যেই বিশাল উদ্যোগ নিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। কার্যাদেশ পাওয়া প্রতিষ্ঠানটির কাজ হবে ওই উদ্যোগের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা।

চুক্তি অনুসারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর বিশ্লেষণ ও সেনাবাহিনীর গোপন তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে মাইক্রোসফটকে। জেডাই প্রকল্প সম্পন্ন হলে যুদ্ধক্ষেত্র থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ডেটা ও ক্লাউডে প্রবেশাধিকার পাবে মার্কিন সেনাবাহিনী।

বিশাল অর্থমূল্যের এই চুক্তিটি বরাবরই ছিল আলোচনায়। শুরুতেই এর বাছাই প্রক্রিয়ার স্বচ্ছ্বতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে ওরাকল। তাদের অভিযোগ ছিল, এতে ‘বাড়তি খাতির’ পাচ্ছে অ্যামাজন। বিচার চেয়ে ফেডারেল আদালতে মামলাও ঠুকে দিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। আদালতে টেকেনি সে অভিযোগ।

অ্যামাজন যখন চুক্তির দৌড়ে এগিয়ে সে সময় অনেকটা হুট করেই চুক্তি প্রক্রিয়ার স্বচ্ছ্বতা বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এর মধ্যেই বেশ অনেকবার অ্যামাজন এবং প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস-এর সমালোচনাও করেছেন তিনি। আর অ্যামাজনের মালিকানাধীন প্রভাবশালী দৈনিক পত্রিকা ওয়াশিংটন পোস্ট যে ডনাল্ড ট্রাম্পের চক্ষুশুল সেটি অবশ্য পুরোনো খবর। ট্রাম্প এক পর্যায়ে বলে বসেন, ‘চুক্তি বিষয়ে অ্যামাজন ও পেন্টাগনের ব্যাপারে অসংখ্য অভিযোগ এসেছে’। আর সে কারণেই, প্রয়োজনে বিষয়টিতে ‘নাক গলাবে’ তার প্রশাসন।

এদিকে চুক্তিটি নিয়ে এমন ফলাফল আসায় বিনিয়োগ বিশ্লেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়েডবুশ সিকিউরিটিস-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ড্যান ইভস বলেন, তিনি প্রথমে ভেবেছিলেন স্বচ্ছ্বতা প্রশ্নে আইনের আশ্রয় নেবে অ্যামাজন ও অন্যান্যরা। শেষ পর্যন্ত মাইক্রোসফটের জন্য বিষয়টি ‘দৃষ্টান্তমূলক হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। এই চুক্তিই আগামি বছরগুলোতে মাইক্রোসফটের শেয়ার মূল্যে ইতিবাচক প্রভাব রাখবে বলেও মনে করছেন ইভস।

বিশাল এই বিজয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি মাইক্রোসফট।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar