ad720-90

ফেসবুক তৈরি করল এআই টুল


ফেসবুকের আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স (এআই) রিসার্চ টিম এমন একটি টুল তৈরি করেছে, যা ফেসিয়াল রিকগনিশন সিস্টেমকে বোকা বানাতে পারে। এতে কোনো ভিডিওতে ভুল করে কোনো ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা ঠেকাবে। এ সিস্টেমটির নাম ‘ডি-আইডেনটিফিকেশন’ সিস্টেম। এটি লাইভ ভিডিওতেও কাজ করে। মেশিন লার্নিং ব্যবহার করে ভিডিওর কোনো বিষয়বস্তুর মূল ফেসিয়াল ফিচার পরিবর্তন করা হয় এতে।

প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ভেঞ্চারবিটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেস রিকগনিশনের কারণে প্রাইভেসি সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া ভিডিওতে চেহারা পরিবর্তন করার মতো প্রযুক্তির অপব্যবহার হতে পারে। ফেসবুকের নতুন টুল তা ঠেকাতে পারবে। এর আগে ‘ডি-আইডেনটিফিকেশন’ সিস্টেম স্থির চিত্রের ক্ষেত্রে কাজ করত।

আগামী সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে অনুষ্ঠেয় ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন কম্পিউটার ভিশন শীর্ষক একটি সম্মেলনে ফেসবুকের এ টুল উপস্থাপন করা হবে।

ফেসিয়াল রিকগনিশনের অপব্যবহার নিয়ে ফেসবুকের বিরুদ্ধে ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ক্লাস অ্যাকশন মামলার মুখেই নতুন টুল উদ্ভাবনের ঘোষণা এসেছে।

আইএএনএসের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যে ফেসবুকের বিরুদ্ধে ৩৫ বিলিয়ন ডলারের ক্লাস-অ্যাকশন মামলা হয়েছে। ওই অঙ্গরাজ্যে ফেসিয়াল রিকগনিশন-সংক্রান্ত তথ্য অপব্যবহারের অভিযোগে হওয়া মামলাটি ফেসবুকের পক্ষ থেকে বাতিল করার অনুরোধ জানানো হয়। তবে সানফ্রান্সিসকোর তিন সদস্যের বিচারক প্যানেল ফেসবুকের ওই আবেদন খারিজ করেছেন।

অভিযোগে বলা হয়, ইলিনয়ের লোকজনের কাছ থেকে তাঁদের আপলোড করা ছবি স্ক্যান করে চেহারা শনাক্ত করার আগে কোনো অনুমতি নেয়নি ফেসবুক। এমনকি তাদের ওই তথ্য কত দিন ফেসবুকের কাছে সংরক্ষণ করা হবে, সে তথ্যও জানানো হয়নি। ২০১১ সাল থেকে চেহারা শনাক্ত করতে ফেসবুক তাঁদের ম্যাপিং শুরু করে। ফেসবুক এ মামলায় হেরে গেলে ব্যক্তিপ্রতি ১ হাজার থেকে ৫ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা দিতে হবে। ৭০ লাখ ব্যবহারকারীকে এ জরিমানা দিতে হলে তাদের পকেট থেকে ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার চলে যাবে।

আদালতে বিচারক বলেছেন, ফেসিয়াল রিকগনিশন সফটওয়্যার কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিগত বিষয়গুলো এবং প্রকৃত পছন্দের বিষয় লঙ্ঘন করে। এটি ইলিনয়নের বায়োমেট্রিক ইনফরমেশন প্রাইভেসি অ্যাক্ট লঙ্ঘন করে।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar