ad720-90

বিটিসিএলের রেগুলার জিএমের শুন্য পদ পূরনের উদ্যোগ!


লাস্টনিউজবিডি,৩০ অক্টোবর ঢাকা: বিসিএস টেলিকম ক্যাডারের ৯ম ব্যাচের এখনও অনেকেই রেগুলার জিএম হতে পারেনি। ডটের অধীনে বিটিসিএলের ২১টি জিএম পদ রয়েছে । এর মধ্যে বর্তমানে ৮জন জিএম পদায়ন করা আছে। । কয়েকজন টেলিটকে প্রেষনে ও লিয়েনে আছে । কয়েকজন ডটে । ১ জন খুলনা ক্যাবল কেম্পানীতে । বর্তমানে ৭ টি জিএম পদ শুন্য রয়েছে বিটিসিএলে। যাদেরকে রেগুলার জিএম করার ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয় উদ্যোগ নিচ্ছে বলে জানা গেছে।

তবে বিটিসিএল চলছে ভারপ্রাপ্ত এমডি বা অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে। ২০০৮ সালে কোম্পানী হবার পর থেকে রেগুলার এমডি নিয়োগ দিতে পারেনি এই সংস্থাটি। কয়েক দফা ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ থেকে সরকারি এই কোম্পানির জন্য রেগুলার এমডি নিয়োগের উদ্যোগ নিলেও তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি।

উল্লেখ্য, বর্তমানে ডাক ও টেলিযোগযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তফা জব্বারের দিকনির্দেশনায় বিটিসিএল আগের যে কোন সময়ের চেয়ে ভাল চলছে। দুর্নীতিকে প্রশ্রয় না দেয়ার কারনে বিটিসিএলে যোগ হয়েছে নতুনমাত্রা । ফিরে এসেছে গতিশীলতা। নেয়া হয়েছে নতুন নতুন পদক্ষেপ । বিটিসিএলের লাইনে মাসজুড়ে (৩০ দিন) কথা বলতে খরচ হবে মাত্র ১৫০ টাকা। অর্থ্যাৎ ৪৪ হাজার ৬৪০ মিনিট মাত্র ১৫০ টাকায়। সে হিসেবে ১ টাকায় ২৮৮ মিনিট কথা বলা যাবে বলে জানান টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

একই সঙ্গে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) মাসিক লাইন রেন্ট বাতিল করা হয়েছে। মাসিক ১৫০ টাকায় বিটিসিএল থেকে বিটিসিএলে যত খুশি তত মিনিট কল করা যাবে।

বিটিসিএল থেকে অন্য যে কোনো অপারেটরে ৫২ পয়সা মিনিট কলচার্জ নির্ধারণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ১৬ আগস্ট থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে । বিটিসিএল টেলিফোন সেবা আরও জনবান্ধব ও সময়োপযোগী করতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

বর্তমানে বিটিসিএলের ফোনের মাসিক লাইন রেন্ট ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় ১৬০ টাকা, অন্য জেলা শহরে ১২০ এবং উপজেলায় ৮০ টাকা ছিল। সেক্ষেত্রে এখন হবে সারাদেশে দেড়‘শ টাকা । বর্তমানে বিটিসিলের গ্রাহক সংখ্যা ছয় লাখের মতো।

এছাড়া দেশের টেলিযোগাযোগ খাতে অচীরেই নয়া বিপ্লব আসছে। বিটিসিএল বেশ কয়েকটি নয়া প্রকল্পের হাতে নিয়েছে । যার কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে । যার মধ্যে অন্যতম ২ হাজার ৫শ‍‍‌‌‌‌ ৭৩ কোটি টাকার একটি প্রকল্প যার নাম “মর্ডানাইজেশন অফ টেলিকমিউনেকেশন নেটওয়ার্ক” (এমওটিএন) । এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে টেলিযোগাযোগ খাতে সেবা প্রদান, সেবার নির্ভরযোগ্যতা, নেটওয়ার্ক রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনা এবং ভবিষ্যৎ সম্প্রসারণ সব ক্ষেত্রেই বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।

আরও পড়ুন-আগামী ৫ বছরে বাংলাদেশের পরিবর্তন হবে অচিন্তনীয়: মোস্তাফা জব্বার

আরও পড়ুন-বাংলাদেশ বিশ্বে ডিজিটাল বিপ্লবের পথ প্রদর্শক: মোস্তাফা জব্বার

আরও পড়ুন-আগামীতে প্রতিবন্ধীতা বলে কিছু থাকবে না: মোস্তাফা জব্বার

আরও পড়ুন-টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক সচল রাখতে মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের নির্দেশ

সর্বশেষ সংবাদ



সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar