ad720-90

চীনে চালু হচ্ছে ৫-জি


৫-জি প্রযুক্তি। ছবি: রয়টার্সচীনের তিনটি বড় টেলিকম অপারেটর গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে ৫-জি ওয়্যারলেস প্রযুক্তি চালু করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের বাণিজ্যযুদ্ধের মধ্যে চীনের প্রযুক্তি খাতকে এগিয়ে রাখতে এ পদক্ষেপ নিয়েছে তারা।

চীনের বৃহত্তম মোবাইল অপারেটর চায়না মোবাইল দেশটির বেইজিং, সাংহাই, শেনঝেনসহ ৫০টি শহরে ১৮ মার্কিন ডলার মাসিক খরচে ৫-জি সেবা দেবে। চায়না মোবাইলের পাশাপাশি চায়না টেলিকম ও চায়না ইউনিকম প্রতিযোগিতামূলক খরচে বড় শহরগুলোতে ৫-জি সুবিধা দেবে বলে তাদের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে।

পিটিআইয়ের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, বর্তমান ৪-জি নেটওয়ার্কের তুলনায় শতগুণ দ্রুতগতির মোবাইল ইন্টারনেট সেবা হিসেবে চালু হচ্ছে ৫-জি। এতে এইচডি মানের একটি মুভি ডাউনলোডে এক সেকেন্ডের কম সময় লাগবে। ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি অ্যাপ ব্যবহারে কোনো সমস্যা হবে না। এর বাইরে চালকবিহীন গাড়ি, কারখানায় আরও বেশি স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি, ইন্টারনেটের মাধ্যমে দূর থেকে নানা যন্ত্রপাতি নিয়ন্ত্রণের মতো কাজ সহজ হবে এতে।

চায়না টেলিকমের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ৫-জি নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি বাস্তবায়নে চীন এগিয়ে থাকতে চায়। আগামী বছরের মধ্যে ১৭ কোটি ব্যবহারকারীকে ৫-জির আওতায় আনবে তারা।

বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, চীনের পরই ৫-জি গ্রাহক হবে দক্ষিণ কোরিয়ার। আগামী বছর নাগাদ দেশটিতে ৭৫ হাজার ৫-জি ব্যবহারকারী তৈরি হবে। এরপর থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী বছরে যুক্তরাষ্ট্রে ১০ হাজার ব্যবহারকারী ৫-জি ব্যবহার করতে পারেন।
গতকাল এক প্রযুক্তি সম্মেলনে চীনের শিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ভাইস মন্ত্রী চেং ঝাওজিয়ং বলেছেন, নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে সত্যিকারের অর্থনীতিকে যুক্ত করার বিষয়টি প্রচার করবে চীন। শিল্প, যোগাযোগ, জ্বালানি, কৃষি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ৫-জি প্রযুক্তির প্রয়োগ ত্বরান্বিত হবে।

চীন চলতি বছরে বিনিয়োগ অগ্রাধিকারের তালিকায় ৫-জিকে স্থান দিয়েছে।

নিজ দেশে ৫-জি নিয়ে এগিয়ে গেলেও যুক্তরাষ্ট্রসহ বাইরের দেশগুলোতে নানা বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে চীনা টেলিকম যন্ত্রাংশ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে।

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কমিউনিকেশন কমিশন গত সোমবার জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের টেলিকম অপারেটরদের চীনা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে ও জেডটিই থেকে যন্ত্রাংশ কিনতে নিষেধাজ্ঞা দেবে।

চীনা ৫-জি টেলিকম হার্ডওয়্যার নির্মাতা হুয়াওয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা বাড়ানোর হুমকিও দিয়েছে ওয়াশিংটন।

যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হুয়াওয়েকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে বলা হচ্ছে এবং তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নে হুয়াওয়ের বিপক্ষে তদবির চালাচ্ছে।

হুয়াওয়ের পক্ষ থেকে সব ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar