ad720-90

জাপান মাইক্রোসফটে সাপ্তাহিক ছুটি তিন দিন!


পশ্চিমের মতোই জাপানে সাপ্তাহিক কর্মদিবস সোমবার থেকে শুক্রবার। শনিবার ও রোববার সাপ্তাহিক বন্ধ। চার কর্মদিবসের পরীক্ষায় দেশটিতে ২০১৯ সালের অগাস্ট মাসের প্রতি শুক্রবারও অফিস বন্ধ রাখা হয়েছে। আর প্রতিষ্ঠানের পূর্ণকালীন কর্মীদেরকে দেওয়া হয়েছে ‘বিশেষ ছুটি’, যার জন্য কোনো বেতন কাটা হয়নি— খবর বিবিসি’র।

কর্মদিবস চারদিন করার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সভার জন্য সর্বোচ্চ সময় রাখা হয়েছে ৩০ মিনিট। আর মুখোমুখি আলোচনার বিকল্প হিসেবে অনলাইন আলোচনায় কর্মীদেরকে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।

এখানে উল্লেখ্য যে, বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ কর্মঘন্টার দেশগুলোর একটি জাপান।

২০১৭ সালের এক জরিপে দেখা গেছে জাপানি প্রায় এক চতুর্থাংশ প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা মাসে ৮০ ঘন্টার বেশি ওভারটাইম করে থাকেন, আর সেজন্য প্রায়ই তারা কোনো বাড়তি অর্থ পাননা।

জাপানে চার কর্মদিবসের পরীক্ষার পর জরিপে দেখা গেছে ৯২ শতাংশ কর্মী মাইক্রোসফটের ওয়ার্ক লাইফ চয়েস চ্যালেঞ্জ ২০১৯ সামার পরীক্ষায় সন্তুষ্ট।

মাইক্রোসফটের দাবি, এক মাসের পরীক্ষায় দেখা গেছে ২০১৮ সালের অগাস্ট মাসের চেয়ে বিদ্যুৎ খরচ কমেছে ২৩ শতাংশ এবং কাগজে প্রিন্টিং কমেছে ৫৯ শতাংশ।

চলতি বছর শীতকালেই আরেক দফা ওয়ার্ক লাইফ চয়েস চ্যালেঞ্জ পরীক্ষার পরিকল্পনা করছে উইন্ডোজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। তবে, সে সময় কর্মীদেরকে এবারের মতো ‘বিশেষ ছুটি’ দেওয়া হবে না। তবে কর্মীদেরকে কৌশলের সঙ্গে বিশ্রাম নিতে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।

মাইক্রোসফট যখন চার কর্মদিবস নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছে তখন অনেকেই হাঁটছেন উল্টো স্রোতে।

ই-কমার্স জায়ান্ট আলিবাবা সহ-প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা পরীক্ষা করেছেন ১২ ঘন্টার কর্মঘন্টা। চলতি বছর এপ্রিল মাসে ‘৯৯৬’ প্যাটার্ন পরীক্ষা চালায় আলিবাবা। জ্যাক মা বলেন, এই পরীক্ষায় কর্মীরা সপ্তাহে ছয়দিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কাজ করেছেন, যা “একটি আশীর্বাদ”।

যুক্তরাজ্যের লেবর পার্টির করা এক পরীক্ষার প্রতিবেদনে বলা হয়, সাপ্তাহিক চার কর্মদিবস হবে ‘অবাস্তব’। অনেক কর্মী আছেন যারা মনে করেন খণ্ডকালীন বা কর্মদিবস কমিয়ে আনলেও তাদেরকে একই পরিমাণ কাজ করতে হচ্ছে।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar