‘তথ্য সুরক্ষা আইন’ পাশ করলো কেনিয়া
সাম্প্রতিক সময়ে কেনিয়ার মোবাইল অর্থ সেবার মতো খাতগুলোতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করছে অনেক বিদেশী প্রতিষ্ঠান। কিন্তু দেশটিতে এতোদিন ‘ব্যক্তিগত ডেটা’ প্রশ্নে ভালো কোনো আইন না থাকায়, বিনিয়োগ আকর্ষণে তেমন সাফল্য পাচ্ছিল না দেশটি। এবার ডেটা সুরক্ষা আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সে বাঁধা দূর হলো। — খবর রয়টার্সের।
নতুন আইন প্রসঙ্গে কেনিয়ার তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি মন্ত্রী জো মুচেরু বলেছেন, “ডেটা সুরক্ষা মানদণ্ডে এবার বৈশ্বিক কমিউনিটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কেনিয়া।” দেশটির সরকারের তথ্য অনুসারে, প্রতিষ্ঠান ও সরকার কীভাবে ‘ব্যক্তিগত ডেটা’ ব্যবহার করতে পারবে, সংরক্ষণ করতে পারবে এবং শেয়ার করতে পারবে, সে বিষয়টি পরিষ্কার করা হয়েছে আইনে। বলা হয়েছে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মান মেনেই প্রণয়ন করা হয়েছে নতুন এই আইন।
ডেটা সুরক্ষা আইন না থাকায় এতোদিন নিজ নাগরিকদের পরিচয় সংক্রান্ত তথ্য পর্যন্ত ‘ডিজিটাইজ’ করতে পারেনি কেনিয়া সরকার। উল্লেখ্য, ওই আইন ভঙ্গে দুই বছরের কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ ২৯ হাজার ২৮২ ডলার জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব ফাউন্ডেশনের জ্যেষ্ঠ নীতি ব্যবস্থাপক নানজিরা সামবুলি বলেছেন, নতুন আইনের পুরো বিষয়টিই নির্ভর করবে প্রয়োগ এবং প্রয়োগকারীদের উপর। “সাত বছর ধরে আমরা এরকম আইনের অপেক্ষায় রয়েছি। সে হিসেবে শুরুটা মন্দ নয়।”- বলেন তিনি।
এদিকে, অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিস জানিয়েছে, তাদের ক্লাউড সেবার ‘আংশিক’ কাঠামো তৈরি করা হবে কেনিয়ায়। সিদ্ধান্তটি নিতে ‘কেনিয়ার নতুন আইন উদ্ধুদ্ধ করেছে’ বলেও উল্লেখ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসের ভাইস প্রেসিডেন্ট টেরেসা কার্লসন জানান, নতুন আইনের কারণে নাইরোবিতে বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
Comments
So empty here ... leave a comment!