ad720-90

গোপনে রোগীর তথ্য জোগাড় করছে গুগল


স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান অ্যাসেনসিয়নের সঙ্গে চুক্তিতে ‘প্রজেক্ট নাইটিংগেল’ নামের প্রকল্পের জন্য রোগীর এই তথ্য জোগাড় করেছে গুগল। চিকিৎসকদের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল বানাতেই কাজ করছে প্রতিষ্ঠান দু’টি– খবর বিবিসি’র।

রোগীর তথ্য জোগাড়ের এই খবরটি প্রথম প্রকাশ করে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। প্রতিবেদনে বলা হয়, রোগীকে না জানিয়েই তার স্বাস্থ্য ও ব্যক্তিগত তথ্য জেনে নিতে পারে গুগল।

অন্যদিকে সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি বলছে, এটি মানসম্মত রেওয়াজ বা ‘স্ট্যান্ডার্ড প্র্যাকটিস’।

অ্যাসেনসিয়নের সঙ্গে চুক্তির আওতায় রোগীর ল্যাব রেকর্ড, ডায়াগনসিস, হাসপাতালে ভর্তির তথ্য এবং জন্ম তারিখও অ্যাকসেস করতে পারবে গুগল।

গুগল যে এই তথ্যগুলো দেখতে পারছে তা ডাক্তার বা রোগী কাউকেই বলা হয়নি।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আগের বছরই এই ডেটা জোগাড় করতে শুরু করেছে গুগল এবং গ্রীষ্ম জুড়ে এর পরিধি বেড়েছে।

গুগলের পক্ষ থেকে এক ব্লগ পোস্টে বলা হয়, ১৯৯৬ সালের মার্কিন হেলথ ইনশিওরেন্স পোর্টেবিলিটি অ্যান্ড অ্যাকাউন্টেবিলিটি অ্যাক্ট (এইচআইপিএএ)-এর পাশাপাশি এই খাতের অন্যান্য নীতিমালা মেনে চলবে অ্যাসেনসিয়ন।

“পরিষ্কারভাবে বলতে, রোগীর ডেটা গুগলের অন্য কোনো গ্রাহকের ডেটার সঙ্গে একত্রিত হতে পারে না এবং করা হবে না,”– গুগল।

২৬০০ হাসপাতাল চালায় অ্যাসেনসিয়ন। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়, এই চুক্তি রোগীর সেবা আরও উন্নত করতে এবং চিকিৎসকদের জন্য এআই টুল বানাতে সহায়তা করবে।

প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, জি সুইট নামে পরিচিত গুগলের ক্লাউড ডেটা স্টোরেজ সেবা এবং ব্যবসায়িক অ্যাপ্লিকেশনগুলো ব্যবহার করতে শুরু করবে তারা।

ইতোমধ্যেই সমালোচনার মুখেও পড়েছে গুগলের প্রজেক্ট নাইটিংগেল। অনেকের ধারণা এতে রোগীরা তাদের ডেটার ওপর নিয়ন্ত্রণ হারাবে।

ইউনিভার্সিটি অফ অক্সফোর্ডের অধ্যাপক জেইন কাই বলেন, “এখানে অনেক বড় সমস্যা রয়েছে, এই পাবলিক-প্রাইভেটে অংশীদারিত্বের পুরোটাই করা হয়েছে প্রাইভেট চুক্তির আওতায়, তাই স্বচ্ছতা আনাটা অনেক কষ্টকর।”

“গুগল বলছে তারা এই ডেটা অন্য ডেটার সঙ্গে মেলাবে না। কিন্তু তারা সব সময়ই তাদের অ্যালগরিদম বদলাচ্ছে, বদলের মাধ্যমে তারা যেটা করছে বাজারে নিজেদের জন্য বাড়তি সুবিধা তৈরি করছে।”

সেবার মান ও কার্যকরিতা বাড়ানোর জন্য স্বাস্থ্য সংস্থাগুলোর ওপর ক্রমেই চাপ বাড়ছে। অনেকেই নিজেদের সেবা আরও উন্নত করতে এআইয়ের ব্যবহার শুরু করেছে। তবে এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে প্রায়ই প্রশ্ন উঠছে যে কীভাবে তারা রোগীর ডেটা ব্যবহার করছে।

যুক্তরাজ্যে গুগলের এআই প্রতিষ্ঠান ডিপমাইন্ডের বিরুদ্ধে আইন ভাঙ্গার অভিযোগ উঠেছে। কিডনি রোগের অ্যাপ তৈরিতে কীভাবে ডেটা ব্যবহার করা হচ্ছে তা রোগীর কাছে সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar