জামিন পেতে পারেন সেই সৌদি ‘টুইটার গুপ্তচর’
চলতি মাসেই আহমাদ আবুয়ামো এবং অন্য দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ এনে মামলা করা হয় স্যান ফ্রান্সিসকোতে।
এ ঘটনায় ব্যক্তিগত ডেটার সুরক্ষায় প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা নিয়ে স্পটলাইটে উঠে আসে সিলিকন ভ্যালি। প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মীদের এই ডেটায় হস্তক্ষেপের কোনো কারণই নেই বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
বৃহস্পতিবারের শুনানিতে বিচারক এডওয়ার্ড চেন আবুয়ামোকে মুক্তি দিতে রাজি হন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং লেবননের দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে তার। তবে, আবুয়ামোর মুক্তির জন্য কিছু শর্তও দেওয়া হয়েছে। জামিনের পূর্বশর্ত হিসেবে তার পরিবারের সদস্যদের পাসপোর্ট জমা দিতে হবে। এছাড়া আবুয়ামোর শরীরে একটি লোকেশন ডিভাইস পরিয়ে দেওয়া হবে যাতে তার গতিবিধি নজরে রাখা যায়।
মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে টুইটারের সাবেক দুই কর্মী আবুয়ামো এবং সৌদি নাগরিক আলি আলজাবারা ছাড়াও আহমেদ আলমুতাইরি নামে তৃতীয় আরেক সৌদি নাগরিক রয়েছেন।
আলমুতাইরি দুই টুইটার কর্মী এবং সৌদি কর্মকর্তাদের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।
গুপ্তচরবৃত্তির পাশাপাশি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের কাছে ভুয়া নথি এবং মিথ্যা বিবৃতি দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে আবুয়ামোর বিরুদ্ধে। ২০১৫ সালে টুইটারের মিডিয়া পার্টনারশিপ ম্যানেজার পদে থাকা অবস্থায় চাকরি ছাড়েন তিনি।
আলজাবরা এবং আলমুতাইরি দু’জনই সৌদি আরবে রয়েছেন বলা ধারণা করা হচ্ছে।
সাবেক টুইটার প্রকৌশলী আলমুতাইরির বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে সৌদি শাসকরা তাকে নিয়োগ দেওয়ার পর ছয় হাজারের বেশি টুইটার গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়েছেন আলজাবরা।
তদন্তকারীরা বলেন, প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আলমুতাইরিকে জেরা করার পর তাকে প্রশাসনিক ছুটিতে পাঠানো হয়। এরপরই স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে সৌদি পাড়ি জমান তিনি।
Comments
So empty here ... leave a comment!