ad720-90

হোয়াটসঅ্যাপ মুছে দিতে বললেন টেলিগ্রাম প্রতিষ্ঠাতা


হোয়াটসঅ্যাপ প্রসঙ্গে টেলিগ্রাম প্রতিষ্ঠাতা পাভেল দুরভ বলেছেন, ব্যবহারকারীদের ‘বার্তার’ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। উল্টো ব্যবহারকারী কনটেন্টে নজরদারি চালাতে ব্যবহার করা হয় সেবাটিকে, এমনকি ব্যবহারকারীদের ফোনে থাকা ছবিগুলোকেও ছাড় দেওয়া হয় না। পাভেল বলেন, “ব্যক্তিগত ‘ছবি ও বার্তা’র ফাঁস হওয়া দেখতে না চাইলে, মুছে দিন হোয়াটসঅ্যাপ।” – খবর মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসের।

নিজস্ব টেলিগ্রাম চ্যানেল থেকে তিন লাখ ৩৫ হাজার অনুসারীর উদ্দেশ্যে বুধবার ওই বার্তা জানান দুরভ। ফোর্বস উল্লেখ করেছে, বর্তমানে বিশ্বে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৬০ কোটি। সে তুলনায় টেলিগ্রামের সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক কম। সেবাটির বর্তমান সক্রিয় ব্যবহারকারী সংখ্যা ২০ কোটি।

বরাবরই ব্যবহারকারীদের ‘ডেটা সুরক্ষার’ পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন টেলিগ্রাম প্রতিষ্ঠাতা পাভেল দুরভ। এক সন্দেহভাজনের ফোনের ‘এনক্রিপ্টেড মেসেজ’ উদ্ধারের জন্য দুরভের কাছে একবার ‘নিরাপত্তা চাবি’ চেয়েছিল রাশিয়ান পুলিশ। কিন্তু বিষয়টির জোর প্রতিবাদ জানান দুরভ। তার অবস্থান সে সময় বেশ প্রশংসিতও হয়েছিল।

অন্যদিকে, ব্যবহারকারীদের ডেটা সুরক্ষা নিশ্চিত না করতে পারায় সমালোচকদের তোপের মুখেই থাকতে হয় হোয়াটসঅ্যাপকে। কিছুদিন আগেও সেবাটিতে নতুন নিরাপত্তা ত্রুটি ধরা পড়েছে। ম্যালিশাস ভিডিও ফাইলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত বার্তায় প্রবেশ করতে পারছিলেন হ্যাকাররা। পরে ওই সমস্যার সমাধান করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সেবাটি।

নজরদারির অভিযোটিও নতুন নয়। ‘মার্কিন নজরদারি প্রোগ্রামের একটি অংশে ফেইসবুক অনেকদিন ধরেই আছে’ এমন তথ্য প্রথম জানান মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সির সাবেক ঠিকাদার এডওয়ার্ড স্নোডেন। ২০১৩ সালে যখন স্নোডেন এ সম্পর্কে জানান, তখনও হোয়াটসঅ্যাপের মালিকানা হাতে পায়নি ফেইসবুক।

পাভেল দুরভের ভাষ্যে, হোয়াটসঅ্যাপ প্রতিষ্ঠাতাও ‘নজরদারির’ বিষয়টি স্বীকার করেছেন। ২০১৮ সালেই হোয়াটসঅ্যাপ প্রতিষ্ঠাতা ব্রায়ান অ্যাকটন বলেছিলেন, ফেইসবুকের কাছে হোয়াটসঅ্যাপ মালিকানার পাশাপাশি ‘ব্যবহারকারীদের গোপনতা’ও বিক্রি করে দিয়েছেন তিনি।

চলতি বছরের মে মাসেও টেলিগ্রাম প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘হোয়াটসঅ্যাপ কখনও নিরাপদ হবে না।’ এ প্রসঙ্গে দুরভ বলেছিলেন, “গোপনতা-নির্ভর সেবা হিসেবে মাথাচাড়া দিতে চাইলেই বাজার হারানোর শঙ্কায় পড়ে যাবে হোয়াটসঅ্যাপ, নিজ দেশের কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও বিবাদে জড়িয়ে পড়বে সেবাটি।”





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar