যুক্তরাষ্ট্র থেকে গবেষণা কেন্দ্র সরাতে চায় হুয়াওয়ে
শুক্রবার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হুয়াওয়ের কাছে মার্কিন প্রযুক্তির পণ্য রপ্তানি কমানোর লক্ষ্যে চাপ আরও বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপরই এমন পরিকল্পনার কথা জানালেন হুয়াওয়ে প্রতিষ্ঠাতা। ইতোমধ্যেই জাতীয় নিরাপত্তার ঝুঁকির কথা বলে চলতি বছর মে মাসে প্রতিষ্ঠানটিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কালো তালিকাভুক্ত করেছে দেশটি।
গ্লোব অ্যান্ড মেইলকে রেন বলেন, “হুয়াওয়ের গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরানো হবে। আর এটি স্থানান্তর করা হবে কানাডায়।” চীনের বাইরে কিছু মোবাইল নেটওয়ার্ক যন্ত্রাংশ উৎপাদনের কাজ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
৫জি নেটওয়ার্কিং যন্ত্রাংশ তৈরি করতে ইউরোপে একটি নতুন কারখানাও বানাতে চান হুয়াওয়ে প্রতিষ্ঠাতা। হুয়াওয়ের পণ্য ব্যবহার করে চীন গুপ্তচরবৃত্তি করছে যুক্তরাষ্ট্রের এমন শঙ্কা এতে কিছুটা কমবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য হুয়াওয়ের যন্ত্রাংশ জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এমন দাবি বরাবরই নাকচ করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি।
আগের বছর যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা কেন্দ্রে ৫১ কোটি মার্কিন ডলার খরচ করেছে হুয়াওয়ে। ইতোমধ্যেই গবেষণা কেন্দ্রটির ৬০০ কর্মী ছাঁটাই করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এখন এর কর্মী সংখ্যা প্রায় ২৫০।
আগের বছরের শেষ দিকে মার্কিন গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় রেনের কণ্যা এবং হুয়াওয়ের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা মেং ওয়ানঝুকে গ্রেপ্তার করে কানাডা পুলিশ। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তরের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন তিনি। বর্তমানে জামিনে রয়েছেন রেন কন্যা।
ওয়ানঝুর বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেছে চীন। তাকে মুক্ত করতেও কানাডাকে অনুরোধও করেছে দেশটি।
তার মামলার বিষয়ে রেন বলেন, “এটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের একটি বড় উদাহরণ।”
Comments
So empty here ... leave a comment!