ad720-90

ডিভাইসে কৃত্রিম উপগ্রহ প্রযুক্তি চায় অ্যাপল


সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে খবরটি সম্পর্কে জানিয়েছে মার্কিন বাণিজ্য ও বিপণণ বিষয়ক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ। প্রকল্পটি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং পরবর্তীতে বাদ দেওয়াও হতে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে সংবাদমাধ্যমটি।

কৃত্রিম উপগ্রহ প্রযুক্তি নিয়ে আদতে অ্যাপলের পরিকল্পনা কী, সে বিষয়টি এখনও অস্পষ্ট। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব কোনো কৃত্রিম উপগ্রহ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে কিনা, সেটিও জানা যায়নি। প্রযুক্তিটি আইফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের ম্যাপস সেবা ও লোকেশন ট্র্যাকিং উন্নত করতে, ডিভাইসের মোবাইল রিসেপশন ও ইন্টারনেট পরিধি বাড়াতে বেশ কাজে দেবে বলে মন্তব্য করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট দ্য ভার্জ।

ব্লুমবার্গের দাবি, অন্তত ডজনখানেক প্রকৌশলী কাজ করছেন নতুন ওই প্রযুক্তির উন্নয়ন প্রকল্পে। আর ওই দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন দুই অ্যারোস্পেস প্রকৌশলী মাইকেল ট্রেলা এবং জন ফেনউইক। এর আগে ‘স্কাইবক্স ইমেজিং’ নামের এক স্যাটেলাইটে ইমেজিং প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন এ প্রকৌশলী দু’জন। ২০১৪ সালে ‘স্কাইবক্স ইমেজিং’ কিনে নিয়েছিল গুগল।

এই দুই অ্যারোস্পেস প্রকৌশলী অ্যাপলে যোগ দেন ২০১৭ সালে। তার আগ পর্যন্ত গুগলে কৃত্রিম উপগ্রহ ও মহাকাশযান বিষয়ে কর্মরত ছিলেন তারা।

গত কয়েক বছর ধরেই কৃত্রিম উপগ্রহ প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকেছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো। নতুন কিছু প্রযুক্তির বদৌলতে কমে এসেছে এ খাতের নানাবিধ খরচ। সবমিলিয়ে প্রযুক্তিটির পালে আবারও নতুন করে হাওয়া লেগেছে। এরই মধ্যে নিজস্ব উদ্যোগ নিয়ে হাজির হয়েছে স্পেসএক্স ও অ্যামাজন। বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেট সংযোগ ছড়িয়ে দিতে পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে স্যাটেলাইট পাঠানো শুরু করেছে প্রতিষ্ঠান দুটি।   

এর আগে স্যাটেলাইট শিল্প নিয়ে সবচেয়ে বেশি কাজ হয়েছিল ১৯৯০’র দশকে। সে সময় গ্লোবালস্টার, ইরিডিয়াম এবং টেলেডিস্ক নামের কিছু প্রতিষ্ঠান এ খাতে প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করেছিল, মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল অসংখ্য কৃত্রিম উপগ্রহ। কিন্তু পরবর্তীতে প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা ও আর্থিক বাঁধার মুখে হোঁচট খায় শিল্পটি।

অ্যাপলের কৃত্রিম উপগ্রহ সফল নাকি ব্যর্থ হবে তা বলা মুশকিল। তবে ব্লুমবার্গ বলছে, নতুন প্রকল্পটিতে আগ্রহ দেখিয়েছেন স্বয়ং অ্যাপল প্রধান নির্বাহী টিম কুক। বিষয়টিকে শুভ লক্ষণ হিসেবেই ধরা যায়।

২০১৯ সালে নিজেদের গবেষণা ও উন্নয়ন বাজেট ১৪ শতাংশ বাড়িয়েছে অ্যাপল। ফলে প্রধান নির্বাহী কুকের সুনজরে প্রকল্পটি যে সাফল্য লাভের প্রশ্নে পুরো প্রতিষ্ঠানের আনুকূল্য পাবে, তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। 





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar