ad720-90

সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড হওয়া ১০টি অ্যাপ


মার্কিন  সংস্থা ‘অ্যাপ অ্যানি’২০১০ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত যে অ্যাপগুলি সব থেকে বেশি ডাউনলোড হয়েছে তার প্রথম ১০টির তালিকা প্রকাশ করেছে। সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড হওয়ার ১০টি অ্যাপের তালিকায় রয়েছে;

১.ফেসবুক: যথারীতি তালিকার শীর্ষ স্থানে রয়েছে ফেসবুক। ২০০৪ সালে প্রথম বাজারে আসে ফেসবুক। ২০১৯-এর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হিসেবে দেখা যাচ্ছে, ফেসবুক ইউজারের সংখ্যা ২৪৫ কোটির বেশি। যা প্রতিদিন বাড়ছে।

২. ফেসবুক মেসেঞ্জার: হোয়াসঅ্যাপের থেকেও বেশি ডাউনলোড হয়েছে এই অ্যাপটি। ২০১১ সালে অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস প্ল্যাটফর্মে লঞ্চ করে। ফেসবুকের বন্ধু তালিকায় থাকা যে কেউ এই অ্যাপের মাধ্যমে ইউজারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।বিশ্বজুড়ে ২০০ কোটির বেশি মানুষ এ অ্যাপ ব্যবহার করছে। 

৩. ইনস্টাগ্রাম: ইনস্টাগ্রাম: ফেসবুকের মালিকানাধীন জনপ্রিয় ছবি ও ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ ইনস্টাগ্রাম। ২০১০ সালের ৬ অক্টোবর অ্যাপটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা হয়। অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস, উইন্ডোজ—সব ভার্সনে ব্যবহার করা যায় ইনস্টাগ্রাম। বিশ্বজুড়ে ৩২টি ভাষায় পাওয়া যাচ্ছে অ্যাপটি। এখন পর্যন্ত ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী ২৫০ কোটি ছাড়িয়েছে। গত এক দশকের মধ্যে ডাউনলোডের ভিত্তিতে জনপ্রিয় অ্যাপগুলোর তালিকায় ইনস্টাগ্রাম রয়েছে তিন নম্বরে।

৪. স্ন্যাপচ্যাট: জনপ্রিয় মাল্টিমিডিয়া মেসেজিং অ্যাপ স্ন্যাপচ্যাট। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে অ্যাপটির যাত্রা শুরু। অল্প সময়ের মধ্যে এটি তুমুল জনপ্রিয়তা পায় স্ন্যাপচ্যাট। অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস ভার্সনে ব্যবহার করা যায়। বিশ্বজুড়ে ২২টি ভাষায় পাওয়া যাচ্ছে অ্যাপটি। স্ট্যাটিস্টার হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বিশ্বজুড়ে স্ন্যাপচ্যাটের ২১ কোটি সক্রিয় গ্রাহক ছিল। দশকের সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যাপের তালিকায় স্ন্যাপচ্যাটের অবস্থান চতুর্থ।

৫. স্কাইপ: জনপ্রিয় টেলিকমিউনিকেশন অ্যাপ স্কাইপ। স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, ব্যক্তিগত কম্পিউটার ব্যবহার করে গ্রাহকদের ভিডিও চ্যাট, ভিডিও কলের সুবিধা দেয় স্কাইপ। এটি ব্যবহার করে বার্তা, ছবি, ভিডিও-অডিও কনটেন্ট স্থানান্তর করা যায়। ২০০৩ সালের আগস্টে কার্যক্রম শুরু করে স্কাইপ। উইন্ডোজ, ম্যাকওএস, লিনাক্স, অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস—এমন কয়েকটি মাধ্যমে স্কাইপ ব্যবহার করা যায়। বিশ্বজুড়ে ১০৮টি ভাষায় ব্যবহার করা সম্ভব অ্যাপটি। চলতি বছর শেষে বিশ্বজুড়ে স্কাইপের ব্যবহারকারী ১৪৩ কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে।

৬. হোয়াটসঅ্যাপ: হোয়াটসঅ্যাপ মেসেঞ্জার বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ। ফেসবুকের মালিকানাধীন অ্যাপটি দিয়ে একাধারে টেক্সট ও ভয়েস মেসেজ পাঠানো যায়। একই সঙ্গে ভিডিও কল, ছবি ও ডকুমেন্ট শেয়ারসহ নানা ধরনের সেবা দেয় অ্যাপটি। অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস মোবাইল এবং উইন্ডোজ ডেস্কটপ কিংবা ল্যাপটপে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা যায়। ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রা হয়েছিল হোয়াটসঅ্যাপের। চলতি বছর বিশ্বজুড়ে প্রতিদিন ৫০ কোটির বেশি মানুষ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেছে।

৭. টিকটক: ২০১৭ সালে চীনের বাইরের বাজারে আসে এই অ্যাপ। তারপর থেকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ভিডিও শেয়ারিং সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপটি। এই অ্যাপে ভিডিও এডিটও করা যায়। বিশ্বজুড়ে ৪০টি ভাষায় এ অ্যাপ পাওয়া যায়। এরই মধ্যে টিকটকের সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫০ কোটি ছাড়িয়েছে। চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, বাংলাদেশসহ বিশ্বের অসংখ্য দেশে এটি জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

৮. ইউসি ব্রাউজার: চীনের আলিবাবা গ্রুপের এই ব্রাউজিং অ্যাপ তালিকায় অষ্টম স্থান দখল করছে। ২০০৪ সালের এপ্রিলে ইউসি ব্রাউজার প্রথম বাজারে আসে। ভারত, ইন্দোনেশিয়াসহ এশিয়ার দ্রুতবর্ধনশীল টেক বাজারে গুগল ক্রোমের পর সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজার ইউসি। বাংলাসহ ১৫টি ভাষায় এটি চালানো যায়। চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত ব্রাউজারের বৈশ্বিক বাজার হিস্যার ৬ দশমিক ৯ শতাংশ ছিল ইউসি ব্রাউজারের দখলে।

৯. ইউটিউব: গুগলের এই প্ল্যাটফর্মটি ভিডিও শেয়ারের জন্য অন্যতম জনপ্রিয় একটি অ্যাপ। ২০০৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রা হলেও অল্প সময়ের মধ্যে মার্কিন মুলুক ছাড়িয়ে পুরো বিশ্বে জনপ্রিয়তা পেয়েছে এটি। টেক জায়ান্ট গুগলের মালিকানাধীন এ সেবা ভিডিও শেয়ারিংয়ের সীমানা ছাড়িয়ে ইউটিউব মিউজিক ও ইউটিউব টিভি দেখার সুবিধা বাজারে এনেছে। স্ট্যাটিস্টার হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছর বিশ্বজুড়ে ইউটিউবের গ্রাহক সংখ্যা ১৯০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে।

১০. টুইটার: ২০০৬ সালের ২১ মার্চ টুইটারের আনুষ্ঠানিক যাত্রা হয়। ব্যবহারকারীরা এতে ২৮০ শব্দের মধ্যে কোনো বিষয়ে নিজেদের মনোভাব তুলে ধরে পোস্ট করতে পারেন। পোস্টে যুক্ত করতে পারেন ছবিও। চলতি বছরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে টুইটারের সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৩২ কোটি ১০ লাখ। দিন দিন এ সংখ্যা বাড়ছে।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar