ad720-90

উবার পরিচালনা পর্ষদ ছাড়লেন প্রতিষ্ঠাতা কালানিক


সাম্প্রতিক সময়ে নিজের অধিকাংশ প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ারও বিক্রি করে দিয়েছেন ৪৩ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধান নির্বাহী। সবমিলিয়ে গত দুই মাসে ২৫০ কোটি ডলার মূল্যের শেয়ার বিক্রি করেছেন তিনি। এতে তার হাতে থাকা মোট শেয়ারের ৯০ শতাংশের বেশি ছেড়ে দিতে হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে বিবিসি।

রাইড শেয়ারিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানটির প্রথম প্রধান নির্বাহীকে হটিয়ে নিজে প্রধান নির্বাহীর পদটি দখল করেছিলেন কালানিক। কিন্তু সাড়ে ছয় বছরের মাথায় ২০১৭ সালে একাধিক কেলেঙ্কারির কারণে তাকেও পদটি ছাড়তে বাধ্য করা হয়।

তবে, প্রধান নির্বাহীর পদ ছাড়লেও উবারের নয় জন পরিচালকের একজন হিসেবেই এতোদিন দায়িত্ব পালন করেছেন কালানিক। কিন্তু এখন ওই পদ থেকেও অব্যাহতি নিচ্ছেন তিনি।

“দশক শেষে হচ্ছে এবং প্রতিষ্ঠান এখন পাবলিকে পরিণত হয়েছে। নিজের বর্তমান ব্যবসায় মনোনিবেশ করা ও জনহিতকর কাজ শুরু করার জন্য সময়টিকে আমার সঠিক মনে হচ্ছে।” – উবার থেকে ইসু করা এক বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছেন কালানিক।

উবারের সাবেক এই প্রধান নির্বাহী আরও উল্লেখ করেছেন, “ভবিষ্যতে আমি পাশে থেকে উৎসাহ জোগাবো।”

বর্তমানে ‘সিটি স্টোরেজ সিস্টেম’ নামের এক প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলস-ভিত্তিক এই স্টার্ট-আপটি জমি কেনার পর সেখানে ‘ডেলিভারি-অনলি’ রেস্তোরার জন্য রান্নাঘর তৈরি করে দেয়। ওই রেস্তোরাগুলো উবার ইটসের মতো অ্যাপের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।

ট্রাভিস কালানিক একবার বলেছিলেন, “আমি বিশ্বের অন্য যে কোনো কিছুর চেয়ে উবারকে অনেক বেশি ভালোবাসি।”

যদিও পরে একাধিক বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছিল কালানিকের নামে। ফলাফল হিসেবে বিনিয়োগকারীদের চাপের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন তিনি।

বিবিসি উল্লেখ করেছে, বেশ কয়েকবার নিয়ন্ত্রকদের সঙ্গেও ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন কালানিক।

কালানিকের উত্তরসূরী হিসেবে উবারের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব নেন দারা খসরোশাহি। উবারে যোগ দেওয়ার আগে এক্সপিডিয়া প্রধান হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি।

পরিচালক পর্ষদ থেকে কালানিকের সরে দাঁড়ানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ট্রাভিস কালানিক যেভাবে উবারের মতো প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন তা খুব কম উদ্যোক্তাই করতে পেরেছেন। উবার গঠনকালীন ট্রাভিসের দূরদর্শীতা এবং পরিচালক হিসেবে তিনি যে নৈপুণ্য দেখিয়েছেন, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।”

খসরোশাহি’র অধীনেও সমস্যা খুব একটা কমেনি উবারের। কিছুদিন আগেই উবারের স্বচালিত পরীক্ষামূলক গাড়ির নিচে চাপা পড়ে মারা গেছেন এক নারী। এদিকে আবার লন্ডনের রাস্তায় চলাচলের পুন:অনুমোদন পায়নি উবার। সবমিলিয়ে এখনও বেশ চাপেই আছে প্রতিষ্ঠানটি।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar