ad720-90

এইচআইভি প্রতিরোধী ওষুধের বিজ্ঞাপন সরালো ফেইসবুক


যৌন সংখ্যালঘুদের সবচেয়ে বড় পাঁচটি সম্প্রদায়কে সম্মিলিতভাবে এলজিবিটিকিউ নামে শ্রেণিভূক্ত করা হয় যার পূর্ণ রূপ- লেসবিয়ান, গে, বাইসেক্সুয়াল, ট্রান্সজেন্ডার ও কুইয়ার।

ফেইসবুকের উদ্দেশ্যে ডিসেম্বরে পাঠানো এক খোলা চিঠিতে ওই দলটি দাবি করেছে, বিজ্ঞাপনগুলো শুধু ভুল তথ্য নয়, “মানুষের জীবনকেও মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে।” তবে, মেডিক্যাল গবেষণা বলছে ভিন্ন কথা। গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, ‘ট্রুভাডা’ নামের যে ওষুধটির কথা বলা হচ্ছে, তা নিরাপদ। — খবর বিবিসি’র।

কিন্তু গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্য মানতে নারাজ যৌন সংখ্যালঘুদের আইনী প্রতিনিধি। নিজেদের দাবি আরও জোরালো করতে ওষুধটি থেকে সৃষ্ট কিডনি সমস্যার মতো ঝুঁকিপূর্ণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার উদাহরণও টেনেছেন তারা।

বিজ্ঞাপনগুলোর মাধ্যমে যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, তা স্বীকার করেছে ফেইসবুকও। এক বিবৃতিতে ফেইসবুক বলেছে, “পর্যালোচনার পর আমাদের স্বাধীন তথ্য যাচাইকরণ অংশীদারদের নজরেও ভুল তথ্যের বিষয়টি এসেছে, বেশ কিছু বিজ্ঞাপনে ট্রুভাডা’র পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ব্যাপারে ভুল পথে পরিচালিত করা হচ্ছে।”

“ফলে আমরা ওই বিজ্ঞাপনগুলো বাদ দিয়েছি এবং ওগুলো আর ফেইসবুক প্ল্যাটফর্মে দেখা যাবে না।”

এদিকে, মার্কিন সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন বলছে, এ ধরনের ওষুধ যাকে বলা হচ্ছে প্রি এক্সপোজার প্রফিলাক্সিস বা পিআরইপি যৌনতা ও সূচের মাধ্যমে মাদক নেওয়ার মধ্য দিয়ে এইচআইভি ছড়ানো প্রতিরোধে খুব উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।

আর যৌন সংখ্যালঘুদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এই ওষুধের বিজ্ঞাপনের ফলে যৌন আচরণ ও সূঁচের মাধ্যমে মাদক নেওয়ায় এইচআইভি সংক্রমণের ঝুঁকিতে আছেন এমন ব্যক্তিদের সাবধান হতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।

ডিসেম্বর থেকেই বিষয়টি নিয়ে ফেইসবুকের উপর চাপ বাড়ছিল। প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্যে পাঠানো খোলা চিঠিতে স্বাক্ষর করেন ৫০টিরও বেশি স্বাস্থ্য ও এলজিবিটিকিউ সংস্থার প্রতিনিধি।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar