ad720-90

জাপানে ‘প্রোটোটাইপ’ শহর বানাবে টয়োটা


সোমবার সিইএস ২০২০-এ এই প্রোটোটাইপ শহরের ঘোষণা দিয়েছে গাড়ি নির্মাতা জাপানি প্রতিষ্ঠানটি। শহরটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘উভেন সিটি’– খবর বার্তাসংস্থা রয়টার্সের।

টয়োটা রিসার্চ ইনস্টিটিউট-অ্যাডভান্সড ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান নির্বাহী জেমস কাফনার বলেন, “আপনি যদি শুধু একটি স্মার্ট ব্লক বানাতেই মনযোগী থাকেন তাহলে স্মার্ট শহরের বিষয়ে কিছু শিখতে পারা কঠিন।”

কয়েক বছর ধরেই আলোচনা চলছে উভেন সিটির ধারণা নিয়ে। নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন, আরও মজার শহর এবং শেখানোর লক্ষ্যেই বানানো হচ্ছে এই স্মার্ট শহর, যা বিশ্বের বিভিন্ন শহরে ব্যবহার করা যেতে পারে।

শহরটিতে পুলিশ, অগ্নিনির্বাপন এবং অ্যাম্বুলেন্স সেবার পাশাপাশি স্কুল ও টয়োটা কর্মী, অবসরপ্রাপ্ত এবং অন্যান্য ব্যক্তির বাসস্থান হতে পারে বলে জানিয়েছেন কাফনার।

একটি গাড়ির কারখানাতেই এই শহর বানানোর পরিকল্পনা রয়েছে টয়োটার। ২০২০ সালেই এই কারখানাটি বন্ধ করার কথা রয়েছে। সামনের বছরগুলোতে দুই হাজার বাসিন্দা এবং গবেষকদের বাসস্থান দিয়ে শুরু করা হবে প্রকল্প।

প্রকল্পে কী পরিমাণ অর্থ ব্যয় হবে তা জানায়নি টয়োটা। সামনের বছরই এটির নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে। এই শহরের মোট জমি হবে ১৭৫ একর।

ভবিষ্যতের শহরের নকশা কেমন হতে পারে তা নিয়ে কথা বলেছেন গাড়ি নির্মাতা মূল প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাহী কর্মকর্তারা। শহরে কার্বন নির্গমন কমানো, জ্যাম কমানো এবং দৈনন্দিন জীবনে কীভাবে ইন্টারনেট প্রযুক্তি ব্যবহার করা যায় তা নিয়ে কথা বলেছেন তারা।

‘উভেন সিটি’ প্রকল্পকে “ব্যক্তিগত স্বপ্ন” উল্লেখ করে টয়োটা প্রধান আকিও টয়োডা বলেন, “আপনি জানেন, আপনি যদি এটি বানান তা বাস্তবায়ন হবে।”

৩৭ বছরে জাপানে এক লাখের বেশি বাড়ি বিক্রি করেছে প্রতিষ্ঠানের ‘টয়োটা হাউজিং’ বিভাগ।

স্মার্ট শহরের নকশা করতে ড্যানিশ স্থপতি বিয়ার্কে ইঙ্গলসকে নিয়োগ দিয়েছে টয়োটা। নিউ ইয়র্কে দুইটি ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ভবন এবং গুগলের সিলিকন ভ্যালি ও লন্ডন কার্যালয়ের নকশা করেছে ইঙ্গলসের প্রতিষ্ঠান।

টয়োটার পক্ষ থেকে বলা হয়, কোনো প্রতিষ্ঠান যদি প্রকল্পটিকে পরীক্ষার জন্য কাজে লাগাতে চায় তাহলে তাদের সঙ্গে অংশীদারিত্বের পথ খোলা রাখবে তারা।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar