কোনো নিরাপত্তা বলয় ছাড়াই স্কাইপ কল শোনে মাইক্রোসফট
ওই অপর্যাপ্ত নিরাপত্তা মাত্রার সুযোগ নিয়ে সহজেই ওয়েব অ্যাপের মাধ্যমে ব্যক্তিগত কম্পিউটারের রেকর্ডিংয়ে প্রবেশাধিকার পাওয়া সম্ভব বলে জানিয়েছেন কয়েকজন ‘ঠিকাদার’ চীনা কর্মী। দূরে থাকা নিজস্ব কম্পিউটারের ডেটা ওয়েব অ্যাপের মাধ্যমে সংগ্রহ করেছেন তারা। — ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের বরাত দিয়ে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেট।
স্কাইপ ও কর্টানা সেবা উন্নত করার লক্ষ্যে কথেপাকথনের ‘সংক্ষিপ্ত অংশ’ শোনার চল রয়েছে মাইক্রোসফটে। প্রতিষ্ঠানের মানবকর্মীরাই কাজটি করে থাকেন। এটি যে শুধু মাইক্রোসফটের ঘটনা তা নয়। ফেইসবুক, গুগল, অ্যামাজন এবং অন্যান্য প্রায় সব প্রতিষ্ঠানই কাজটি করে থাকে। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনাও কম হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ‘ঠিকাদার’ জানিয়েছেন, এরকমই এক প্রোগ্রামের অধীনে বেইজিংয়ের বাড়িতে থাকা ব্যক্তিগত ল্যাপটপের হাজারো রেকর্ডিং প্রায় দুই বছর ধরে পর্যালোচনা করেছেন তিনি। ওই সময় মাইক্রোসফটে কর্মরত ছিলেন ও্ই কর্মী। রেকর্ডিংগুলোর মধ্যে বেশ কিছু স্কাইপ কল এবং ভুলবশত কর্টানা চালু হয়ে যাওয়ার মত বিষয়াদি রয়েছে।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এসব বিষয়ে সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কিত কোনো সহযোগিতা দেয় না মাইক্রোসফট। ইউজার নেইম এবং পাসওয়ার্ডের মত স্পর্শকাতর তথ্যগুলো ঠিকাদারদের কাছে সাদামাটাভাবে অক্ষরে লেখা অবস্থায় পাঠানো হয়।
এ ধরনের প্রোগ্রামের মাধ্যমে ডেটা ও কথোপকথনের গোপনতা ক্ষুন্ন হয় বলে অভিযোগ উঠেছে বহুবার। অভিযোগের মুখে নিজেদের পর্যোলোচনা প্রোগ্রামেও পরিবর্তন এনেছে অনেক প্রতিষ্ঠান। এরকম প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাইক্রোসফটও রয়েছে। নিজেদের পর্যালোচনা প্রোগ্রামকে ‘সুরক্ষিত সেবা’য়ও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু এ ধরনের কোনো পরিবর্তন এখনও চীনে পৌঁছায়নি।
পুরো বিষয়টি নিয়ে এক ইমেইল বার্তায় মাইক্রোসফট মুখপাত্র লিখেছেন, “গত গ্রীষ্মেই আমরা আমাদের ব্যবহৃত প্রক্রিয়া ও গ্রাহক যোগাযোগ সতর্কতার সঙ্গে পর্যালোচনা করেছি। ফলাফল হিসেবে এ বিষয়ে আমাদের গোপনতা বিবৃতি যাতে আরও স্বচ্ছ্ব হয়, সেভাবে পুরো বিষয়টি আপটেড করেছি।”
Comments
So empty here ... leave a comment!