ad720-90

অ্যাপলকে ফ্রান্সের দুই কোটি ডলার জরিমানা


ব্যাটারি ব্যবস্থাপনাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট ওই ধীরগতির ইসুটিকে অনেকেই ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখেছেন। অনেকের মতেই বিষয়টি জোর করে ব্যবহারকারীদেরকে ফোন আপগ্রেড করানোর একটি ফন্দি ছিল। প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগেজেট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অ্যাপল ফ্রান্স কর্তৃপক্ষের ধার্য করা জরিমানা দিতে রাজি হয়েছে।

নিজেদের ফরাসি ওয়েবসাইটে এ সম্পর্কিত এক বিবৃতিও ঝুলিয়ে রেখেছে অ্যাপল।

অ্যাপলের বিরুদ্ধে আইফোন ধীরগতি করে দেওয়ার অভিযোগটি অবশ্য বেশ আগের। ২০১৭ সালে ওই অভিযোগের দায় স্বীকারও করে নিয়েছে অ্যাপল। কিন্তু সে সময় প্রতিষ্ঠানটি দাবি করেছিল, মুনাফার জন্য নয়, বরং পুরোনো ডিভাইসের সিপিইউয়ের উপর চাপ কমানোর জন্যই ওভাবে ধীরগতি করে দেওয়া হয়েছিল আইফোনগুলোকে।

অ্যাপলের মতে, হুট করে বন্ধ হয়ে যাওয়া ঠেকাতে ও পারফরম্যান্স ঠিক রাখতে ধীরগতি করে দেওয়া হয়েছিল ফোনগুলোকে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে তার কোনোটাই নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। বরং সব সমস্যাই দেখা গেছে ফোনে। ফলে অ্যাপলের উপর চটে গিয়েছিল ভোক্তা অধিকার দল ও বিভিন্ন দেশের সরকার। ২০১৮ সালের শুরুতে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে ফরাসি কর্তৃপক্ষ।     

অ্যাপল অবশ্য দোষ স্বীকার করে নেওয়ার পরপর মূল্যছাড়ে ব্যাটারি পরিবর্তন করে নেওয়ার সুবিধা দিয়েছিল। সবমিলিয়ে এক কোটি ১০ লাখ মানুষকে ২৯ ডলারে নতুন ব্যাটারি নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি।

বর্তমানে আইফোন ১১’তে ‘পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ দিয়েছে অ্যাপল। ব্যাটারিকে দীর্ঘদিন ঠিক রাখতে সাহায্য করে থাকে ওই ‘পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar