টেলিকম ও সংবাদপত্রের ‘মাঝামাঝি’ আমরা: জাকারবার্গ
জার্মানির ‘মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে’ জাকারবার্গ জানান, অনলাইন নির্বাচনী প্রভাব রোধে নিজেদের কর্মকাণ্ড তিনি আরও উন্নত করেছেন। “ক্ষতিকর কনটেন্টের ব্যাপারে নিয়ম থাকা উচিত বলে আমি মনে করি… কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কোন ধরনের গঠনকাঠামো ব্যবহার করবেন আপনি।” – প্রশ্ন উত্তর সেশনে বলেন মার্ক জাকারবার্গ। — খবর সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের।
“বর্তমানে বিদ্যমান শিল্পের দুটি গঠনকাঠামো রয়েছে – একটি সংবাদপত্র ও বিদ্যমান মাধ্যমের, আরেকটি টেলকো ঘরানার মডেলের। টেলকো ঘরানায় তারা শুধু ডেটা প্রবাহিত হতে দেয়, তাই বলে কেউ তো আর ফোনে লাইনে বলা ক্ষতিকর কথার জন্য টেলকোকে দায়ী করে না।” – বলেছেন জাকারবার্গ।
জাকারবার্গ আরও বলেন, “আমার আসলে মনে হয়, এর মাঝখানে কোথাও থাকা উচিত আমাদের।”
রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রশ্নে বেশ অনেকদিন ধরেই চাপের মুখে রয়েছে ফেইসবুক, টুইটার, গুগলের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো। নিজ প্ল্যাটফর্মে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রচার করবে না বলে অনেক আগেই জানিয়েছে টুইটার। তবে, বিজ্ঞাপন প্রচারে সম্মতি দিয়েছে ফেইসবুক।
ফেইসবুকে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য ছড়ায় অভিযোগ তুলে এরই মধ্যে প্ল্যাটফর্মটি থেকে বিদায় নিয়েছেন স্টার ওয়ারস তারকা মার্ক হ্যামিল, রোমাঞ্চ লেখক স্টিফেন কিংয়ের মতো খ্যাতনামারা। তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে ফেইসবুক প্রধান মার্ক জাকারবার্গকে।
জাকারবার্গের দেওয়া তথ্য অনুসারে, প্ল্যাটফর্মটিতে এখন ৩৫ হাজার কর্মী অনলাইন কনটেন্ট পর্যালোচনা ও নিরাপত্তা প্রয়োগের কাজ করবেন। ওই টিমগুলো এবং ফেইসবুকের স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি মিলে প্রতিদিন ১০ লাখেরও বেশি ভুয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করছে বলে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।
Comments
So empty here ... leave a comment!