ad720-90

ডিজিটাল হচ্ছে ওসমানী মেডিকেল হাসপাতাল: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী


লাস্টনিউজবিডি,
১০ মার্চ: তথ্য ও যোগযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন,
রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা সহজ ও নিশ্চিত
করতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স (এআই), আওটি, রোবটিক্স,
বিগ ডাটাসহ আধুনিক প্রযুক্তি
ব্যবহার করে সিলেট এমএজি
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে ডিজিটাইজড
করা হবে। এতে
রোগীরা সহজেই স্বাস্থ্য সেবা
পাবে।

এই প্রযুক্তিনির্ভর হেলথ সিস্টেম চালু
করা হলে জনগণের স্বাস্থ্যসেবা,
হয়রানি, দুর্নীতিমুক্ত ও অর্থসাশ্রয়ী হবে
বলে তিনি উল্লেখ করেন। ডিজিটাল
সিলেট সিটি প্রকল্পের আওতায়
এই পাইলট প্রকল্পটি বাস্তবায়িত
হবে বলে তিনি জানান।

সভায় সিলেট এমএজি ওসমানী
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ ইউনুছুর রহমান
সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যোর মধ্যে ডিজিটাল সিলেট
সিটি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোঃ মহিদুর রহমান
খান এবং হাসপাতালের বিভিন্ন
ডাক্তারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।

প্রতিমন্ত্রী
আজ মঙ্গলবার সিলেট এমএজি ওসমানী
মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মিলনায়তনে
ডিজিটাল সিলেট সিটি প্রকল্পের
আওতায় ‘হসপিটাল হেলথ ম্যানেজমেন্ট অটোমেশন’
বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির
বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

জনগণের
স্বাস্থ্যসেবা মৌলিক অধিকারের মধ্যে
একটি উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী
বলেন, সাধারন জনগণ যাতে
সহজেই উন্নত স্বাস্থ্যসেবা পায়
এ লক্ষে ডিজিটাল সিলেট
সিটি প্রকল্পের আওতায় সিলেট এমএজি
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ‘হসপিটাল
হেলথ ম্যানেজমেন্ট অটোমেশন’ সিস্টেম উন্নত করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, এই সিস্টেমে
হাসপাতালে আগত সকল নাগরিকের
ই-হেলথ রেকর্ড থাকবে। যার
ফলে রোগীর পূর্বের সকল
তথ্য ডাটা বেইজে সংরক্ষণ
করা হবে। রোগীকে
কি কারণে কোন ঔষধ
প্রদান করা হয়েছিল কোন
মেডিকেলে পরীক্ষা করা হয়েছিল তার
সকল তথ্যাদি সংরক্ষিত থাকবে। এছাড়া
খুব সহজেই তার পূর্বের
রোগের ইতিহাস পর্যালোচনা পূর্বক
চিকিৎসা প্রদান করতে সক্ষম
হবেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই পাইলট প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তাবয়িত হলে দেশের সকল নাগরিকদের হেলথ রেকর্ড সংরক্ষণের জন্য পর্যায়ক্রমে প্রতিটি হাসপাতালে এ সিস্টেম চালু করা হবে।

আরও পড়ুন: মার্সেল এসিতে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা

পলক বলেন, এ প্রকল্পের
আওতায় সফট্ওয়্যার পরিচালনার জন্য হাসপাতালে প্রয়োজনীয়
হার্ডওয়ার ও নেটওয়ার্ক স্থাপন
করা হবে। সিলেটের
এই হাসপাতালে ‘হসপিটাল হেলথ ম্যানেজমেন্ট অটোমেশন’
সিস্টেম সফলভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব হলে দেশের
অন্যান্য হাসপাতালে এ পদ্ধতি চালু
করা হবে। এর
ফলে একজন রোগী যেকোন
হাসপাতালেই তার নিজস্ব ই-হেলথ রেকর্ড এর
মাধ্যমে সেবা নিতে পারবেন।

লাস্টনিউজবিডি/এস
এম সবুজ

সর্বশেষ সংবাদ



সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar