বিশ্ববিদ্যালয় মজার জন্য, শেখার জন্য নয়: মাস্ক
২০১১ সালে নতুন থিল ফেলোশিপ নামে একটি প্রকল্প শুরু করেছেন পেইপাল সহপ্রতিষ্ঠাতা পিটার থিল, যেখানে উচ্চ শিক্ষা ছেড়ে নতুন স্টার্টআপ বানাতে শিক্ষার্থীদেরকে অর্থ দেওয়া হয়। টেসলা এবং স্পেসএক্স-এর প্রধান নির্বাহী হওয়ার আগে থিলের সঙ্গে পেইপালের নেতৃত্ব দিয়েছেন মাস্ক। এবার উচ্চ শিক্ষা নিয়ে থিলের মতো একই চিন্তাধারার কথা জানালেন তিনি– খবর সিএনবিসি’র।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে স্যাটেলাইট ২০২০ সম্মেলনে বক্তব্যের সময় উচ্চ শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে মাস্ককে প্রশ্ন করেন এক শ্রোতা।
জবাবে মাস্ক বলেন, “শেখার জন্য আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে হবে না। এখানে মূল্যবান বিষয়টি হলো, কেউ কোনো কিছু নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করতে পারেন কিনা তা বিবেচনা করা।”
মাস্ক আরও বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় মূলত মজা করার জন্য এবং প্রমাণ করা আপনি টুকিটাকি কাজগুলো ঠিক মতো করতে পারছেন, এগুলো শেখার জন্য নয়।”
টেসলা প্রধানের এমন মন্তব্য অনেকটাই থিল ফেলোশিপ প্রকল্পের ওয়েবসাইটের প্রথম পাতার মতো। এই প্রকল্পের আওতায় ২২ বছর বা তার কম বয়সীদেরকে দুই বছরের জন্য এক লাখ মার্কিন ডলারের অনুদান দেওয়া হয়। “শ্রেণীকক্ষে বসে না থেকে নতুন কিছু বানাতেই” এই অর্থ দেওয়া হয়। এজন্য উচ্চ শিক্ষা ছাড়তে হবে শিক্ষার্থীদেরকে।
২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ডনাল্ড ট্রাম্পের ভোকাল সমর্থক ছিলেন থিল। উচ্চ শিক্ষা নিয়ে সিলিকন ভ্যালির উদারনীতিকে দায়ী করেছেন তিনি।
২০১৮ সালে পডকাস্টার ডেভ রুবিনকে থিল বলেন, “অনেক বেশি পড়ালেখার একটি খারাপ দিক হলোে এটি আপনাকে মগজধোলাইয়ের চূড়ান্তে নিয়ে যাবে।”
এখানে উল্লেখ্য মাস্ক স্নাতক পাশ করেছেন ইউনিভার্সিটি অফ পেনিসিলভানিয়া থেকে। আর থিল স্নাতক ও আইন ডিগ্রি পেয়েছেন স্ট্যানফোর্ড থেকে।
সোমবারের ইভেন্টে মাস্ক বলেন, “শেকসপিয়ার কী বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছেন? সম্ভবত না।”
মাস্কের এমন চিন্তাধারার পরও স্পেসএক্স-এর অনেক চাকুরির বিজ্ঞপ্তিতে স্নাতোক বা উচ্চ শিক্ষার ডিগ্রি চাওয়া হয় বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
Comments
So empty here ... leave a comment!