ad720-90

অ্যাপসের মাধ্যমে ধান কেনায় সাফল্য অর্জন


ডিএমপি নিউজঃ আগামী বোরো মৌসুম থেকে সরকার দেশের ৬৪ উপজেলা থেকে অ্যাপসের মাধ্যমে ধান সংগ্রহ করবে। আমন মৌসুমে অ্যাপসের মাধ্যমে ১৬ উপজেলা থেকে ধান কেনায় শতভাগ সাফল্য অর্জন হওয়ায় আগামী বোরো মৌসুম থেকে এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

তিনি  বুধবার (১১ মার্চ) সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আমন ধান সংগ্রহ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন। এসময় কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, খাদ্য সচিব নাজমানারা খানুম ও কৃষি সচিব নাসিরুজ্জামানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এবার ছয় লাখ ২৬ হাজার ৯৯১ মেট্রিকটন আমন ধান, তিন লাখ ৩৭ হাজার ৬১৮ টন সিদ্ধ চাল এবং ৪৩ হাজার ৯০০ টন আতপ আমন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এবারই প্রথম সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ছয় লাখ ২৭ হাজার টন আমন ধান, তিন লাখ ৩৭ হাজার ৬১৮ মেট্রিকটন সিদ্ধ চাল এবং ৪৩ হাজার ৪০১ মেট্রিকটন আতপ চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। কৃষকদের নায্যমূল্য দেওয়ার জন্য আমাদের এ প্রয়াশ। এ কার্যক্রম যথাযথ প্রক্রিয়ায় করতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ২৫ টিম মাঠে কাজ করছে। পাশাপাশি প্রকৃত কৃষকরা যেন ধান দিতে পারে এবং কোনো মধ্যস্বত্বভোগী যেন এর মধ্যে আসতে না পারে সেজন্য লটারি করে কৃষক নির্বাচন করা হয়েছে।’

এই সফলতার কারণ সর্ম্পকে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে আমরা কৃষকদের তালিকা সংগ্রহ করেছি। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসক সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সরকারের ২৫টি টিম মাঠে কাজ করেছে। তারা এ বিষয়টি তদারকি করেছে। এর ফলশ্রুতিতেই এই রেকর্ড অর্জিত হয়েছে।’

১৬টি উপজেলায় অ্যাপসের মাধ্যমে আমন ধান কেনা হয়েছে জানিয়ে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘অ্যাপসের মাধ্যমে ওই ১৬ উপজেলায় এবার বোরো ধান কেনা হবে। এছাড়া বাকি ৪৮ জেলার সদর উপজেলায় অ্যাপসের মাধ্যমে বোরো ধান কেনা হবে। তবে কিছু ভুলক্রটি থাকতেই পারে। কৃষি এবং খাদ্য মন্ত্রণালয় একসঙ্গে কাজ করলে ভালো কিছু করা যায় এটা তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।’

সভায় কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক সময় কৃষকরা ফসলের ন্যায্যমূল্য পায় না। ফলে তারা তাদের প্রয়োজনগুলো কীভাবে মেটাবে সেই প্রশ্ন থেকে যায়। আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম সরাসরি প্রান্তিক এবং ক্ষুদ্র চাষিদের কাছ থেকে ধান কিনবো। আশা করছি, আগামীতেও সুষ্ঠুভাবে ধান কিনতে পারবো। তবে বোর ধান কেনার সময় একটি সমস্যা হয়ে থাকে। কারণ তখন বর্ষা মৌসুম চলে। সেসময় ধানে আদ্রর্তা কমে যায়। কৃষকরা কর্মকর্তাদের ফোন করলে তারা বাড়ি গিয়ে মেশিনের মাধ্যমে ধানের আদ্রর্তা মাপে আসবে। এতে করে কৃষকের হয়রানি কমবে।’

ধান সংগ্রহ নিয়ে এবার নেতিবাচক কোনো খবর প্রকাশ না হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে  ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমরা আশাবাদি আগামী বোরো মৌসুমে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করতে পারবো এবং এর প্রভাব বাজারে পড়বে। আমনে যে ১৬ উপজেলায় অ্যাপসে ধান কেনা হয়েছে, বোরোতে সেখানে মিলারদের কাছ থেকে চাল কেনা হবে। এটা হল আমাদের পরিকল্পনা। তবে চলতি মৌসুমে যে সব কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনা হয়েছে। আগামী মৌসুমে তাদের কাছ থেকে আর ধান কেনা হবে না। ফলে যারা এবছর বাদ পড়ে তারা আগামী মৌসুমে সুযোগ পাবে।’

পরীক্ষামূলকভাবে ১৬ জেলায় অ্যাপসের মাধ্যমে ৩০ হাজার ১৭০ টন আমন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল জানিয়ে খাদ্য সচিব নাজমানারা খানুম বলেন, ‘সেখানে ২৯ হাজার ৭০১ টন ধান কেনা হয়েছে।’

গত আমন মৌসুমে অ্যাপসেরর মাধ্যমে ধান কেনা উপজেলা গুলো হলো- সাভার, গাজীপুর সদর, ময়মনসিংহ সদর, জামালপুর সদর, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, ভোলা সদর, বরিশাল সদর, নওগাঁ সদর, বগুড়া সদর, রংপুর সদর, দিনাজপুর সদর, ঝিনাইদাহ সদর, যশোর সদর, হবিগঞ্জ সদর ও মৌলভীবাজার সদর উপজেলা। এসব উপজেলায় কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনেছে সরকার।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar