ad720-90

জেল এড়াতে ‘ইমেইল ভিক্ষা’ চেয়েছিলেন ওয়াইনস্টিন


২০১৭ সালে প্রথমে মার্কিন দৈনিক নিউ ইয়র্ক টাইমস ও পরে আরও অনেক পত্রিকায় ওয়াইনস্টিনের ক্ষমতা অপব্যবহার করে দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে চলা যৌন নিপীরণের ঘটনা প্রকাশিত হয়। এর পরপরই আরও অনেক ক্ষমতাধরের বিরুদ্ধেও একই ধরনের অভিযোগের স্রোত তৈরি হলে ওই প্রতিবাদ এক পর্যায়ে মি-টু আন্দোলনের রূপ নেয়। এর ধারাবাহিকতায় বহু ক্ষমতাধর ব্যক্তিকে আইনের মুখোমুখি হতে হয়, অনেককে পদত্যাগ করতে হয়। গোটা মি-টু আন্দোলনে কার্যত ক্ষমতাধর নিপীড়ক পুরুষের প্রতীক হয়ে ওঠেন হার্ভি ওয়াইনস্টিন।

ওয়াইনস্টিনের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগের নথি সম্প্রতি প্রকাশ করেছে আদালত। টিম কুক এবং অন্যান্যরা ওয়েইনস্টেইনের ওই মেইলের কী জবাব দিয়েছিলেন বা আদৌ দিয়েছিলেন কি না তা, উল্লেখ করা হয়নি প্রকাশিত ওই নথিতে — প্রতিবেদনে বলেছে শোবিজ সাইট ভ্যারাইটি।

অক্টোবর ২০১৭-তে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে হার্ভি ওয়াইনস্টিনের বিরুদ্ধে। ওই সময়েই সমর্থন চেয়ে মেইলগুলো পাঠানো হয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে ভ্যারাইটির প্রতিবেদনে। ধর্ষণ অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ২৯ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হতে পারে ওয়াইনস্টিনকে।

কুককে লেখা মেইলে ওয়াইনস্টিন বলছেন, “আমি চাইনা, আপনি জনসাধারণের উদ্দেশ্যে এ নিয়ে কোনো বিবৃতি দিন। শুধু আমার জিমেইল ঠিকানায় লিখে পাঠাতে পারেন যে- বোর্ড থেকে বের করে দেওয়ার আগে আমার থেরাপি নেওয়া এবং যে সহায়তা দরকার সে বিষয়টি আপনি সমর্থন করেন।”

“খুবই কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছি আমি। অধিকাংশ অভিযোগই মিথ্যা, কিন্তু আপনার এই ব্যক্তিগত সমর্থনসূচক চিঠির সহযোগিতা আমার দরকার। আমি ভালো হয়ে যাবো এবং আমি যদি থেরাপিস্টের পরীক্ষা পার হতে পারি, তাহলে আমরা পুনঃপ্রতিষ্ঠা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করতে পারি।” – আরেক মেইলে লিখেছেন ওয়াইনস্টিন।

গত মাসেই ওয়াইনস্টিনকে প্রথম মাত্রার যৌন অপরাধ ঘটানোয় এবং তৃতীয় মাত্রার ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছে নিউ ইয়র্কের এক আদালত।

শুরু থেকেই সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন ওয়াইনস্টিন। ২০০৬ সালে মিমি হেইলি নামের এক নির্মাণ সহকারীকে যৌন নিপীড়ন এবং ২০১৩ সালে সাবেক অভিনেতা জেসিকা মান’কে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত হন তিনি। ওয়াইনস্টিনকে তৎক্ষণাত জেলে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar