ad720-90

দেশের কল সেন্টারগুলোতে বাড়তি সচেতনতা


করোনাভাইরাসের প্রভাবে গ্রাহকসেবা যাতে অব্যাহত থাকে, সে জন্য কল সেন্টারগুলোতে সচেতনতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ছবি: খালেদ সরকারকরোনাভাইরাসের প্রভাবে জরুরি গ্রাহকসেবা যাতে অব্যাহত থাকে, সে জন্য দেশের কল সেন্টারগুলোতে সচেতনতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কোনোটিই বন্ধ হয়নি, তবে সচেতনতা ও সতর্কতার নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জরুরি সেবা দেওয়ার এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে। কল সেন্টারে ঢোকার আগে সব কর্মীর জন্যই হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার, মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপের যন্ত্রও বসানো হয়েছে।

মুঠোফোন সংযোগদাতা প্রতিষ্ঠান টেলিটকের গ্রাহকসেবা দিয়ে থাকে রেডিসন ডিজিটাল টেকনোলজিস লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘কখনোই আমাদের কাজ বন্ধ করার সুযোগ নেই। আমাদের কর্মীদের তিন ফুট দূরত্বে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

আরেকটি কল সেন্টার ফিফোটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তৌহিদ হোসেন গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘অফিস পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন রাখাসহ নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি।’
মুঠোফোন সংযোগদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংকের করপোরেট কমিউনিকেশনসের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক আংকিত সুরেকা বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলালিংকের অফিস ও সার্ভিস সেন্টারে ভাইরাস সংক্রমণ রোধের পদ্ধতি ও সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা হচ্ছে।’

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য) ­­­তাদের সদস্যপ্রতিষ্ঠানে করোনা সম্পর্কে সচেতন থাকতে চিঠি দিয়েছে। বাক্যর সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রতিটি কল সেন্টারের ডেস্ক, কি–বোর্ড, মাউস ৩০ মিনিট পরপর পরিষ্কার করার কথা বলেছি। অফিসে ঢোকা ও বেরোনোর পথে স্যানিটাইজার রাখার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।’

পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে প্রতিটি কল সেন্টারের কর্মীরা যাতে বাসা থেকে গ্রাহকসেবার কাজ করতে পারেন, সেই বিকল্প পরিকল্পনা রাখার জন্য বাক্যর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

কল সেন্টার–কর্মী আয়েশা সিদ্দিকা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা কাজ করছি সতর্কতার সঙ্গে। এমনকি বাসা থেকে আসা-যাওয়ার সময়ও সতর্কভাবে চলাফেরা করছি।’

দেশে বাক্যর তালিকাভুক্ত কল সেন্টারের সংখ্যা ১৫০। আট ঘণ্টা করে তিন পালায় দিনের ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকে এগুলো। দেশি ও বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হয়ে মূলত গ্রাহকসেবা দিয়ে থাকে কল সেন্টারগুলো। বাক্যর তথ্যমতে, এই কল সেন্টারগুলোতে কাজ করছেন ৫০ হাজারের মতো কর্মী।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar