ad720-90

কোভিড-১৯ ট্র্যাকিংয়ে ইউরোপজুড়ে এক অ্যাপ চালুর আহ্বান


তবে এভাবে প্রতিটি দেশে আলাদা আলাদা অ্যাপ ব্যবহারের বদলে কেন্দ্রীয়ভাবে
পরিচালিত একটি অ্যাপ দিয়েই গোটা ইউরোপে করোনাভাইরাস রোগীদের নজরে আনার আহ্বান জানিয়েছে
ইউরোপীয় তথ্য সুরক্ষা পর্যবেক্ষক সংস্থা। 

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আলাদা আলাদা ট্র্যাকিং অ্যাপ ব্যবহারে গোপনীয়তা
ক্ষুণ্ন হওয়ার ঝুঁকি নিয়েও সতর্ক করছেন পরামর্শকরা।

ইউরোপীয় ডেটা প্রটেকশন সুপারভাইজার বলছে, তথ্যের গোপনীয়তা নিশ্চিত করে
কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালিত একটি অ্যাপ ব্যবহারই হবে করোনাভাইরাস মহামারীর সময়ে উপযুক্ত
সমাধান।    

সব দেশের আলাদা করে একটি অ্যাপ ব্যবহার কোনো সমাধান দেবে না বলেই মনে করেন
এই সংস্থার কর্মকর্তা ভউচি ভিভিরস্কি।

তিনি বলেন, জনস্বার্থে ইউরোপের গোপনীয়তা আইন, সাধারণ তথ্য সুরক্ষা নীতিমালা
ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে কাজ করার অনুমতি দিয়ে থাকে। তবে এমন ‘বিগ ডেটা’ নিয়ে কাজ করতে
গেলে দায়িত্বও থাকে অনেক বেশি।

ভিভিরস্কির দেশ পোল্যান্ড সম্প্রতি কোয়ারেন্টিন অ্যাপ ব্যবহার নিয়ে সমালোচনার
মুখে পড়েছে। সঙ্গনিরোধে বাধ্য থাকা ব্যক্তি নিয়ম মানছেন, না ভঙ্গ করছেন তা অনুসরণ করা
হয় এই অ্যাপ দিয়ে।

যুক্তরাষ্ট্রে ডিজিটাল অধিকার সংশ্লিষ্ট সংস্থা ইলেকট্রনিক ফ্রন্টিয়ার
ফাউন্ডেশন এরই মধ্যে হুঁশিয়ার করেছে, ভাইরাসকে পরাস্ত করার কথা বলে এই সময়ে বিশ্বনেতারা
অতিরিক্ত নজরদারি করার ক্ষমতা আদায় করে নিচ্ছে। সঙ্কট কেটে গেলে এই ক্ষমতা যেন বিলুপ্ত
হয়।   

ভিভিরস্কি নিজেও মনে করেন, এই মুহূর্তে নজরদারির যেসব বাড়তি ক্ষমতার প্রয়োগ
হচ্ছে তা অবশ্যই ‘সাময়িক’ হতে হবে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনেক দেশ যে নিজেদের মত করে অ্যাপ বানাতে কাজ করছে বা
ইতোমধ্যে ব্যবহার শুরু করছে, সে বিষয়ে ইউরোপীয় ডেটা প্রটেকশন সুপারভাইজার অবগত রয়েছে
বলে জানান তিনি।

ভিভিরস্কি বলছে, এ ধরনের কোনো মোবাইল অ্যাপ চালু করতে হলে পুরো ইউরোপের
জন্য একটি অ্যাপই থাকা উচিৎ, যেখানে ব্যক্তির তথ্য সুরক্ষা
নিশ্চিত করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও যুক্ত থাকতে হবে।

তার মতে, এ ধরনের অ্যাপের ব্যবহার পরিধিও সীমিত হওয়া উচিৎ; অর্থ্যাৎ যতটুকু
প্রয়োজন ততটুকুই করা উচিৎ। কেন এসব তথ্য সংগ্রহ করা হবে এবং তা দিয়ে কী করা হবে তা
নিয়েও সবাইকে অবগত থাকতে হবে।

আগামী দুই সপ্তাহের ভেতর পরীক্ষামূলকভাবে ট্র্যাকিং অ্যাপ চালু করতে যাচ্ছে
আয়ারল্যান্ডও। আর ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে আসা যুক্তরাজ্য ব্যবহার করছে নিজেদের বানানো
অ্যাপ।

তবে যুক্তরাজ্যের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, নিউ জিল্যান্ড ও লাতিন আমেরিকার
দেশগুলোর সঙ্গেও কেন্দ্রীয়ভাবে অ্যাপ চালু করার বিষয়ে আলাপ চালিয়ে যাচ্ছে ইউরোপীয় ডেটা
প্রটেকশন সুপারভাইজার। 

সংস্থাটি ইউটিউবে তাদের চ্যানেলে বার্তা দিয়ে পুরো ইউরোপে ডিজিটাল ঐক্যের
ডাক দিয়েছে। 

যুক্তরাজ্যের পরামর্শকরাও বলছেন, লকডাউনের সময় আরোপিত বিধিনিষেধ শিথিল
করার সময় ফোনের জিপিএস লোকেশন ডেটা নিয়ে ব্যক্তির অবস্থান নিশ্চিত করাটা সুবিধাজনক
হতে পারে। তবে কোনো ব্যক্তিকে অ্যাপ ব্যবহারে বাধ্য করার পক্ষপাতি নন তারা।

 





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar