ভুল বিজ্ঞাপনে নিষিদ্ধ হতে পারে ‘আইভি থেরাপি’ ক্লিনিক
কমিটি অফ অ্যাডভার্টাইজিং প্র্যাকটিস (সিএপি) জানিয়েছে, নীতিমালা লঙ্ঘনকারীদের মেডিসিনস অ্যান্ড হেলথকেয়ার প্রডাক্টস রেগুলেটরি এজেন্সির (এমএইচআরএ) কাছে হস্তান্তর করা হবে। ভুয়া ওষুধের প্রচারণা চালানো প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাপারে আগে থেকেই সমালোচনা করে আসছে যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় জনস্বাস্থ্য সংস্থা- এনএইচএস। — খবর বিবিসি’র।
এনএইচএসের নির্দেশনায় রয়েছে, ‘আইভি ড্রিপস’ নেওয়ার মাধ্যমে করোনাভাইরাসের মতো অবস্থার প্রতিকার সম্ভব এমন দাবি কোনো প্রতিষ্ঠান প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে করতে পারবে না। এখন পর্যন্ত এমএইচআরএ অনুমোদিত কোনো কোভিড-১৯ প্রতিষেধক নেই। ফলে এ ধরনের ওষুধের ব্যাপারে যে প্রতিষ্ঠানগুলো প্রচারণা চালাচ্ছে, তাদের কোনো ভিত্তি নেই।
“এ ধরনের চিকিৎসা দেওয়ার কথা বলে থাকে এমন অন্যান্য ব্যববসায়ের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছি আমরা এবং তাদের ওয়েবসাইট এবং সোশাল মিডিয়া পেইজ থেকে কোভিড-১৯ সংশ্লিষ্ট দাবি সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছি”। – বলেছেন অ্যাডভার্টাইজিং স্ট্যান্ডার্ডস এজেন্সির (এএসএ) জনসংযোগ ব্যবস্থাপক ম্যাট উইলসন। “তারা নিয়ম মানছে কি না তা আমরা নজরদারিতে রাখব।”
“যারা মানবে না, নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হবে।”
বিবিসি উল্লেখ করেছে, বিজ্ঞাপনের পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সে পর্যন্তই অনুরোধ করার ক্ষমতা রাখে এএসএ। নিজে উদ্যোগী হয়ে শাস্তি দিতে পারে না সংস্থাটি। এর ফলে অনেক সময় এর বিচার এড়িয়েও যেতে পারে কোনো বিজ্ঞাপনদাতা। তবে, বিচার ও শাস্তির ক্ষমতা রয়েছে এমএইচআরএ-এর। চাইলে সীমাহীন জরিমানা বা ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডের সাজা দিতে পারে এমএইচআরএ।
Comments
So empty here ... leave a comment!