ছবিতে কনট্যাক্ট ট্রেসিংয়ের ডেমো দেখালো অ্যাপল-গুগল
সোমবার বেশ কিছু ছবি ও নির্দেশনা শেয়ার করেছে প্রযুক্তি জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান দু’টি। রাষ্ট্রীয় এবং জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তারা কীভাবে এই প্রযুক্তি নিজেদের কনট্যাক্ট ট্রেসিং অ্যাপে ব্যবহার করতে পারবেন তাও দেখিয়েছে প্রতিষ্ঠানদুটি — খবর সিএনএন-এর।
পাশাপাশি কেউ করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে কীভাবে সতর্ক করা হবে তাও রয়েছে ছবিতে।
অ্যাপল-গুগলের প্রযুক্তি অন্য কনট্যাক্ট ট্রেসিং অ্যাপে ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু বাধ্যবাধকতা রেখেছে প্রতিষ্ঠান দু’টি। অ্যাপে কোনো বিজ্ঞাপন দেখানো যাবে না এবং কোনো লোকেশন ডেটা জোগাড় করা যাবে না, এমন শর্তও রয়েছে।
নিজেরা কনট্যাক্ট ট্রেসিং অ্যাপ বানানোর বদলে এ সংক্রান্ত অ্যাপগুলোর জন্য কারিগরি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দিচ্ছে অ্যাপল-গুগল। তবে, সোমবার প্রতিষ্ঠান দু’টি জানিয়েছে, অনেক কর্তৃপক্ষ তাদের কাছে অ্যাপ বানাতে সহায়তাও চেয়েছে।
গত মাসেই কনট্যাক্ট ট্রেসিং অ্যাপের জন্য প্রযুক্তি বানাতে জোটবদ্ধ হওয়ার ঘোষণা দেয় অ্যাপল ও গুগল। ব্লুটুথ প্রযুক্তির মাধ্যমে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ট্র্যাক করতে রাষ্ট্রগুলোকে সহায়তা করবে প্রতিষ্ঠান দু’টি। প্রাথমিকভাবে এপিআই বানাবে তারা, যা চলতি মাসের শেষ দিকেই উন্মুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রতিষ্ঠান দু’টির চূড়ান্ত লক্ষ্য এমন একটি ব্যবস্থা দাঁড় করানো যাতে কোনো অ্যাপ ছাড়াই গ্রাহককে ভাইরাস সংক্রমণ আশঙ্কায় সতর্ক করা যায়।
সোমবার, কিছু নমুনা কোড এবং গ্রাহকের গোপনতা সুরক্ষিত রাখতে কিছু নীতিমালা শেয়ার করেছে প্রযুক্তি জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান দু’টি। নীতিমালায় বলা হয়েছে, এই প্রযুক্তিতে কোনো লোকেশন ডেটা জোগাড় করা হবে না, গ্রাহকের স্পষ্ট সম্মতি দরকার হবে এবং কনট্যাক্ট ট্রেসিং যখন আর দরকার হবে না তখন এটি অকেজো হয়ে যাবে।
‘এক দেশে শুধু এক অ্যাপে’ এই এপিআই ব্যবহার করা যাবে এমন নীতিমালাও থাকতে পারে। তবে, প্রতিষ্ঠান দু’টি জানিয়েছে আঞ্চলিক বা প্রাদেশিক পর্যায়ে কোনো সরকার এটি ব্যবহার করতে চাইলে সেই সমর্থনও মিলবে।
কনট্যাক্ট ট্রেসিং অ্যাপের কার্যকরিতা নিয়ে এখনও প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে। অ্যাপগুলোর ব্যবহার পুরোদমে চালু হলেই কেবল এটির বাস্তব চিত্র সামনে আসবে।
Comments
So empty here ... leave a comment!