ad720-90

করোনাভাইরাস: কতোটা নিরাপদ হবে অফিসে ফেরা?


সম্প্রতি প্রকাশিত এক বিবিসি প্রতিবেদনের সারমর্ম বলছে, অফিসকে নিরাপদ রাখতে নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে প্রযুক্তি। থার্মাল ক্যামেরার মাধ্যমে তাপমাত্রা মাপা থেকে শুরু করে সহকর্মীদের খুব বেশি কাছাকাছি চলে গেলে সতর্ক বার্তা জানানো ট্রেসিং অ্যাপ সবকিছু্র সমন্বয়ে নিশ্চিত হবে অফিসের নিরাপত্তা। এ কাজগুলো করতে গিয়ে নিজেকে কল্প-বিজ্ঞান চলচ্চিত্রের চরিত্র মনে হতে পারে অনেকের। কিন্তু জীবন বাঁচাতে এখন এ ধরনের প্রযুক্তির শরণাপন্ন হওয়া ছাড়া বিকল্প কোনো পথ খোলা নেই মানুষের হাতে।

নিরাপত্তার দিক থেকে বিবেচনা করলে উদাহরণ হিসেবে নেওয়া যেতে পারে ‘দ্য এজ’ ভবনটিকে। অ্যামস্টারডামের ‘দ্য এজ’ ভবনকে কয়েক বছর আগেই ভোট দিয়ে বিশ্বের অন্যতম স্মার্ট এবং সবচেয়ে টেকসই ভবনের আখ্যা দিয়েছে মানুষ। করোনাভাইরাস মহামারীর সময়টিতে নিজেদের ভবনের প্রযুক্তিতে নতুন আরও কিছু পরিবর্তন আনছে এ ভবনটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। এ প্রসঙ্গে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা কোয়েন ভান উস্ট্রম জানিয়েছেন বেশ কয়েকটি পরিবর্তনের কথা যা অচিরেই দেখা যাবে ভবনটিতে। 

দরজা খুলবে আওয়াজ বা অ্যাপে

“দরজা তো এখন হাতে খোলা যায়, শুধু ছোট একটি পদক্ষেপ নিলেই আওয়াজ বা অ্যাপের মাধ্যমে খোলা যাবে দরজা, ভাইরাস দরজার হাতলের মাধ্যমে ছড়ানো বন্ধ করতে আমরা এটি করতে চাইছি”। – বলেছেন উস্ট্রম।

সতর্ক করা হবে কাছে এলে

উস্ট্রম আরও বলছেন, “প্রতিটি তলায় আমাদের ক্যামেরা রয়েছে, যার মাধ্যমে আমরা জানতে পারি কতজন মানুষ একটি তলায় রয়েছেন, একটি সফটওয়্যার আপডেটের মাধ্যমেই লোকজন একে অপরের থেকে কতোটা দূরে রয়েছে তা-ও জানা সম্ভব হবে, চাইলে আমরা মানুষের ফোনে সতর্কবার্তাও পাঠাতে পারবো, যদি তারা খুব কাছাকাছি থাকে”।

“তবে, সবাই এটি পছন্দ করতে পারবেন না, এতে তাদের গোপনতা লঙ্ঘনের একটি অনুভূতী রয়েছে, এ কারণে সবাই এটি করা হবে কিনা তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেইনি আমরা”।

অ্যাপে জানা যাবে তাপমাত্রা ও বাতাসের মান

এজ ভবনে অফিস অংশের তাপমাত্রা এবং বাতাসের মান সম্পর্কেও জানিয়ে দেবে অ্যাপ। চাইলে ক্যাফেটেরিয়া থেকে লাঞ্চ-ও আনিয়ে নেওয়া যাবে অ্যাপের মাধ্যমেই।

এ অ্যাপটি অবশ্য নতুন নয়, আগেই অ্যাপটি হাতে পেয়েছেন ভবনের বাসিন্দারা। এতোদিন এটি প্রয়োজন পড়তো না বলে কেউ ব্যবহার করেননি।

তাপমাত্রা পরীক্ষা

তাপমাত্রা পরীক্ষায় অ্যামাজন ওয়্যারহাউজে শুরু হয়েছে থার্মাল ক্যামেরার ব্যবহার। আর বিমানবন্দরে তো বেশ আগে থেকেই থার্মাল ক্যামেরা প্রযুক্তি রয়েছে। অফিসের কর্মীদের সবার তাপমাত্রা নজরে রাখতে সহজ সমাধান হতে পারে থার্মাল ক্যামেরা। এ ধরনের ক্যামেরা মানুষের ত্বকের তাপমাত্রা মাপতে পারে।

তবে, সমস্যা হবে কিছু আইন নিয়ে। যেমন, স্বাস্থ্যগত বিষয়ে নজরদারি চালানো যাবে না এমন আইন রয়েছে ইতালিতে। এ ধরনের আইনের কারণে অনেক স্থানেই ব্যবহার করা যাবে না থার্মাল ক্যামেরা। 

নতুন ধারা

আসলে অফিস করার ধারাটাই পাল্টে যাবে এবারের মহামারীকে। বড় দামি শহরের উঁচু দালানে অফিস করা “অতীতের বিষয়”-এ পরিণত হবে বলে মনে করছেন বারক্লে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী জেস স্ট্যালে। তবে, এর সঙ্গে একমত হতে পারেননি ভ্যান ইউস্ট্রম। বাড়ি থেকে অফিস করার নতুন হাইব্রিড মডেল চোখে পড়বে বলে জানিয়েছেন তিনি এবং “মানুষকে অফিসে আনতে প্রলোভিত করার প্রয়োজন পড়বে বলেই মনে করছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে উস্ট্রমের বক্তব্য হচ্ছে, “অফিসকে আনন্দায়ক স্থানে পরিণত করাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে”।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar