ad720-90

করোনাভাইরাস: কাশির আওয়াজে যাবে চেনা?


নির্মাণাধীন ওই স্মার্টফোন অ্যাপটির এখন ক্লিনিকাল টেস্টিং ধাপ শুরু হয়েছে। “সব কাশি সমান নয়” এমন ধারণা থেকেই অ্যাপটি তৈরির চিন্তা এসেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক এবং হেলথমোডের প্রধান নির্বাহী ড. ড্যানিয়েল কার্লিন। — খবর ইয়াহু নিউজের।

নতুন স্টার্টআপ হেলথমোড কাজ করে স্বাস্থ্য-প্রযুক্তি নিয়ে। তাদের নতুন অ্যাপ ‘কাফমোড’ –এর পরীক্ষায় সহযোগিতা করছে স্টার্টআপটি। যেসব ব্যবহারকারী অ্যাপটি ইনস্টল করছেন, তাদেরকে ‘কাশি’র আওয়াজ রেকর্ড করে তা জমা দিতে বলেছে প্রতিষ্ঠানটি। এরপর প্রতি সপ্তাহে প্রশ্ন পাঠিয়ে তাদের স্বাস্থ্যে নজর রাখবে তারা।

হেলথমোড ওই অনুদানে পাওয়া শব্দ ভাণ্ডার থেকে সময়সীমা, তীব্রতা, তরঙ্গ ইত্যাদি বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে জমা পড়া কাশির আওয়াজ বিশ্লেষণ করবে এবং তা প্রতি সপ্তাহে সংগৃহীত স্বাস্থ্য ডেটার সঙ্গে মিলিয়ে দেখবে। কার্লিন জানিয়েছেন, এভাবে একটি ডেটাবেইজ গড়ে তুলতে চাইছে প্রতিষ্ঠানটি।         

এখানে মূল যে তত্ত্বটি কাজ করছে, তা হলো – করোনাভাইরাস ভিন্নভাবে ফুসফুস’কে আক্রান্ত করে। অর্থাৎ, ফুসফুসে অন্য যতো ধরনের সংক্রমণ ঘটে, তার চেয়ে এটি আলাদা। এ প্রসঙ্গে কার্লিন বলেছেন, “আমরা এখনও নিশ্চিত নই যে আসলেই আমরা কী খুঁজছি, হয়তো এটি শুনতে অনেকটা নিউমোনিয়ার মতো শোনাবে বা অন্য কিছু”। – এটিই খুঁজে বের করার জন্য গবেষণা চলছে।

সংগৃহীত ডেটা নিরাপদ থাকবে বলে জানিয়েছেন কার্লিন। অ্যাপটি ব্যাকগ্রাউন্ডে চলবে না বা আশপাশের অন্য কারো উপর নজর রাখবে না। গোপনতা উদ্বেগ প্রসঙ্গে কার্লিন বলেছেন, “আমরা এই পর্যায়ে কোনো কনট্যাক্ট ট্রেসিং বা জিপিএস চালু করিনি, ব্যবহারকারীদের উৎসাহ দিচ্ছি গোপনতার ব্যাপারে বাড়তি চিন্তা না করে এতে অংশ নিতে”।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের কাশি সফলভাবে শনাক্ত করতে পারলে ব্যবহারকারীদের কাছে সতর্কবার্তা যাবে।

হেলথমোড স্টার্টআপের তৈরি অ্যাপ সাধারণত ফার্মাসিটিউক্যাল প্রতিষ্ঠান এবং গবেষণাগারের লোকজন ব্যবহার করতো এতোদিন। এখন নিজেদের সাম্প্রতিক কর্মসূচীর জন্য স্বেচ্ছাসেবক খুঁজছে প্রতিষ্ঠানটি।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar