গবেষকদের নম্বর: ভারতের ট্রেসিং অ্যাপ পেয়েছে ‘দুই’
বর্তমানে আরোগ্য সেতুর ব্যবহারকারী সংখ্যা প্রায় দশ কোটি। কনট্যাক্ট ট্রেসিং অ্যাপের প্রয়োগ, ডেটা ও গোপনতা ব্যবস্থাপনা এবং স্বচ্ছ্বতা ডায়ানেমিকসের ভিত্তিতে ওই ফলাফল দিয়েছেন গবেষকরা। সবমিলিয়ে তিনটি খাতে কোনো নম্বর পায়নি আরোগ্য সেতু ট্রেসিং অ্যাপটি। — খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আইএএনএস-এর।
এমআইটি টেকনোলজি রিভিউ বলছে, আরোগ্য সেতু সময়মতো ডেটা ব্যবহার মুছে দেওয়া এবং শুধু প্রয়োজনীয় ডেটা নেওয়ার ক্ষেত্রে নম্বর পেলেও “স্বেচ্ছায় অ্যাপ ব্যবহার, সীমিত ডেটা ব্যবহার এবং স্বচ্ছ্বতায়” কোনো নম্বর পায়নি।
আরোগ্য সেতু অ্যাপটির মাধ্যমে জনসাধারণকে টেলিমেডিসিন, ই-ফার্মেসি এবং ডায়াগনস্টিক সেবা নেওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে ভারত সরকার। আইএএনএস-এর প্রতিবেদন বলছে, অ্যাপটি সব ভারতীয় টেলিকম প্রতিষ্ঠানের ‘সাদা তালিকা’য় রয়েছে, ফলে অ্যাপ ব্যবহারে ডেটার ব্যবহার সীমিত করছে না প্রতিষ্ঠানগুলো।
মে মাসের ৬ তারিখে এক নীতিবান বা এথিকাল হ্যাকার জানিয়েছিলেন যে আরোগ্য সেতু অ্যাপে নিরাপত্তা ত্রুটি খুঁজে পাওয়া গেছে। তবে, আরোগ্য সেতু টিম জানিয়েছে, অ্যাপটি ‘সম্পূর্ণ নিরাপদ’। টিমটির তথ্য অনুসারে, আরোগ্য সেতু অ্যাপটি নিজে থেকেই গ্রাহকের অবস্থান তথ্য সংগ্রহ করে এবং তা নিরাপদ সার্ভারে সংরক্ষণ করে। “সব তথ্য সব স্থানের জন্যই পাবলিক, ফলে কোনো ব্যক্তিগত বা স্পর্শকাতর ডেটা বেহাত হওয়ার শঙ্কা নেই”। – বলেছে অ্যাপ টিম।
‘আরোগ্য সেতু’ কেন্দ্রীভূক্ত ট্রেসিং অ্যাপ। এ ধরনের অ্যাপ সব ডেটা কেন্দ্রীয় সার্ভারে ডেটা জমা রাখবে।
অ্যাপটি তৈরি করেছে ভারতের ‘ন্যাশনাল ইনফরমেটিকস সেন্টার’। কোভিড-১৯ রোগীর সংস্পর্শে এলে বা পরবর্তীতে করোনাভাইরাস পজিটিভ ধরা পড়েছে এমন ব্যক্তির সঙ্গে আগে দেখা হয়ে থাকলে ব্যবহারকারীকে সতর্কবার্তা পাঠাবে অ্যাপটি।
ভারতের প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং অ্যাপটির গোপনতা নীতিমালা নির্ধারক আইনিজীবি জানিয়েছেন, ১৩০ কোটি জনসংখ্যার দেশে ফলপ্রসু হতে অন্তত বিশ কোটি ফোনে থাকতে হবে অ্যাপটি।
ভারতে সরকারি ও বেসরকারি খাতের সব কর্মজীবীকে বাধ্যতামূলকভাবে সরকারের তৈরি ওই ব্লটুথ ট্রেসিং অ্যাপটি ব্যবহারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
Comments
So empty here ... leave a comment!