ad720-90

সাইবার হামলার শিকার শীর্ষ তারকাদের আইনী প্রতিষ্ঠান


রবার্ট স্টুয়ার্ট, লিল নাস এক্স এবং রবার্ট ডি নিরোর মতো হলিউড তারকারা রয়েছেন ওই প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক তালিকায়।

হ্যাকিংয়ের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট এখন বন্ধ রয়েছে। চুক্তিপত্র এবং ব্যক্তিগত ইমেইলসহ ৭৫৬ গিগাবাইট ডেটা হাতিয়ে নেওয়ার দাবি করেছেন হ্যাকার– খবর বিবিসি’র।

আরেক তারকা ম্যাডোনার সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের চুক্তির একটি স্ক্রিনশট ফাঁস করা হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। অপরাধীরা অর্থ দাবি করেছে বলেও জানিয়েছে বিবিসি।

নিউ ইয়র্কভিত্তিক আইনি প্রতিষ্ঠানটি বলছে, তারা ইতোমধ্যেই গ্রাহককে বিষয়টি জানিয়েছে এবং সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কাজ চলছে।

হ্যাকাররা কি পরিমাণ অর্থ দাবি করেছে এবং প্রতিষ্ঠান তাদের সঙ্গে দর কষাকষি করছে কিনা তা প্রকাশ করেনি প্রতিষ্ঠানটি।

প্রতিষ্ঠানটি জানায়, “আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে, আমরা একটি সাইবার হামলার শিকার হয়েছি। আমরা আমাদের গ্রাহক এবং কর্মীদের বিষয়টি জানিয়েছি। আমরা এই খাতের বিশেষজ্ঞদেরকে নিয়োগ দিয়েছি এবং বিষয়টি সমাধানের জন্য আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি।”

মিউজিশিয়ানদের মধ্যে স্যার এলটন জন, বারবারা স্ট্রাইসেন্ড , ব্যারি ম্যানিলো, রড স্টুয়ার্ট, লেডি গাগা, লিল নাস এক্স, দ্য উইকএন্ড, ম্যাডোনা, ইউ২ এবং ড্রেক রয়েছেন  গ্রুবম্যান শায়ার মিসিলাস অ্যান্ড শ্যাকস-এর গ্রাহক তালিকায়।

এ ছাড়াও অ্যান্ড্রু লয়েড ওয়েবার, প্রিয়াংকা চোপড়া, রবার্ট ডি নিরো, সোফিয়া ভারগারা, অ্যাক্টিভিশন, সনি, লেব্রন জেমস এবং মাইক টাইসনের আইনি বিষয়গুলো তদারকি করে প্রতিষ্ঠানটি।

এর আগে চলতি বছর জানুয়ারিতে আরভিল বা সডিনকিবি নামে পরিচিত এই হ্যাকারদল ট্রাভেলেক্স-এর মতো মুদ্রা লেনদেন প্রতিষ্ঠানে র‍্যানসমওয়্যার হামলা চালিয়েছে।

সাইবার নিরাপত্তা খাতে র‍্যানসমওয়্যার হামলা এখন একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি এক ধরনের ক্ষতিকর সফটওয়্যার যা মুক্তিপণ না পাওয়া পর্যন্ত ডেটা এনক্রিপ্ট করে রাখে। এক্ষেত্রে সাধারণ বিটকয়েনের মতো ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করতে হয়, যাতে এই অর্থের কোনো সূত্র বের করা না যায়।

সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান এমসিসফট বলছে, হ্যাকাররা একটি চুক্তির ছবি অনলাইনে পোস্ট করেছে। সঙ্গীতশিল্পী ম্যাডোনার ওয়ার্ল্ড ট্যুর ২০১৯-২০ নিয়ে এই চুক্তি করা হয়েছিল। এতে কনসার্ট আয়োজক প্রতিষ্ঠান লাইভ নেশন ও এক কর্মীর স্বাক্ষরও ছিল।

আরেকটি ছবি পোস্ট করেছে হ্যাকার দল। এতে দেখা গেছে বেশ কিছু ক্লায়েন্টের নামসহ ফোল্ডার। সাধারণত এ ধরনের নমুনা পোস্ট করা হয়, হ্যাকিং হয়েছে এমন নিশ্চয়তা দেওয়ার জন্য এবং প্রতিষ্ঠানকে মুক্তিপণ দিতে চাপ দেওয়ার লক্ষ্যে।

এমসিসফট-এর সাইবার ঝুঁকি বিশ্লেষক ব্রেট ক্যালোর মতে, “এমন অবস্থায় প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে কোনো ভালো উপায় থাকে না।”

আইনি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে থাকা ডেটার স্পর্শকাতরতার কারণে এ প্রতিষ্ঠানগুলোকে জড়িয়ে ঘটা এমন ঘটনাগুলো আরও উদ্বেগজনক বলেও ভাষ্য এই বিশ্লেষকের।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar