ad720-90

করোনাভাইরাস: কোটি মানুষ ইউটিউবে দেখছেন ভুয়া তথ্যের ভিডিও


সব মিলিয়ে ইউটিউবে বিভ্রান্তিকর এই ভিডিওগুলো দেখা হয়েছে  ছয় কোটি ২০ লাখ বারের বেশি– খবর বিবিসি’র।

ভিডিওতে বেশ কিছু মিথ্যা দাবি করেছেন অনেকে। এর মধ্যে একটি দাবি এমন- ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো ইতোমধ্যেই করোনাভাইরাসের টিকা বানিয়েছে, কিন্তু সেগুলো বিক্রি করতে চাইছে না।

ইউটিউব বলছে, ক্ষতিকর ভুয়া তথ্য ছড়ানো কমাতে তারা ‘অঙ্গীকারবদ্ধ’।

অন্যদিকে গবেষকরা দাবি করেছেন, ইউটিউবে “ভালো মানের, সঠিক তথ্যনির্ভর” ভিডিও আপলোড করছেন সরকারি কর্মকর্তা এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এই ভিডিওগুলো বুঝতে পারা অনেকের জন্যই কষ্টকর। আর ইউটিউব তারকা এবং ভ্লগারের ভিডিও না হওয়ায় এগুলো জনপ্রিয়তাও পাচ্ছে কম।

গবেষণাটি অনলাইনে প্রকাশ করেছে বিএমজে গ্লোবাল হেলথ। ২১ মার্চ পর্যন্ত ইংরেজির ভাষার সবচেয়ে জনপ্রিয় করোনাভাইরাস ভিডিওগুলো যাচাই করেছে সংস্থাটি।

ভাইরাসের বিস্তার, করোনাভাইরাসের লক্ষণ, প্রতিকার এবং সম্ভাব্য চিকিৎসা বিষয়ে প্রকৃত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে কিনা সে দিকগুলো বিবেচনা করে ভিডিওগুলোর স্কোর করেছে বিএমজে।

অন্যান্য সূত্রের চেয়ে লক্ষ্যণীয় মাত্রায় ভালো স্কোর পেয়েছে সরকারি সংস্থার ভিডিওগুলো।

ভুয়া তথ্যনির্ভর ১৯টি অসম্ভব জনপ্রিয় করোনাভাইরাস ভিডিওর মধ্যে:

— প্রায় এক তৃতীয়াংশ এসেছে বিনোদনমূলক সংবাদ সূত্র থেকে।

— জাতীয় সংবাদমাধ্যম থেকে প্রায় এক চতুর্থাংশ।

— ইন্টারনেট সংবাদের সূত্র থেকে প্রায় এক চতুর্থাংশ।

— ১৩ শতাংশ এসেছে স্বাধীন ভিডিও নির্মাতাদের কাছ থেকে।

বিবৃতিতে ইউটিউব জানায়, “এই সংকটের সময়ে আমরা নিয়মিত এবং সহায়ক তথ্য দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ, এর মধ্যে রয়েছে কর্তৃপক্ষের কনটেন্ট বাড়ানো, ক্ষতিকর ভুয়া তথ্যের বিস্তার কমানো এবং তথ্য প্যানেল দেখানোর মতো প্রকল্প। ভুয়া তথ্যের বিস্তার ঠেকানোর জন্য এনএইচএস এবং ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) ডেটা ব্যবহার করা হবে।”





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar