ad720-90

সিনেমার পাইরেটেড স্ট্রিমিং তিনগুণ হয়েছে লকডাউনে


যুক্তরাজ্যে ‘স্টে-অ্যাট-হোম’ লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই অবৈধ পন্থায় নতুন চলচ্চিত্র ডাউনলোড করার হার বেড়েছে। অবৈধ স্ট্রিমিং সাইট লিংকের সংখ্যা হয়েছে দ্বিগুণ এবং ক্ষেত্রবিশেষে তিনগুণ পর্যন্ত। — খবর বিবিসি’র।

সম্প্রতি এ তথ্য তুলে ধরেছে যুক্তরাজ্যের মেধাস্বত্ত্ব সুরক্ষা সম্পর্কিত সংস্থা ‘ফ্যাক্ট’। অবৈধ স্ট্রিমিং সাইটগুলোর মোট লিংক সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে ফেব্রুয়ারি এবং এপ্রিলের মধ্যে। নতুন কিছু চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে লিংকের সংখ্যা বেড়েছে তিনগুণ।

‘ফ্যাক্ট’ প্রধান কিয়েরন শার্প বলছেন, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।

“আমাদের এটি মনে রাখা জরুরি যে চলচ্চিত্র দেখার একমাত্র বৈধ উপায় হলো ‘অফিশিয়াল প্রোভাইডারদের’ মাধ্যমে।” – বলেছেন শার্প, “আমাদের শনাক্ত করা প্রতিটি পাইরেটেড লিংক মূল স্বত্ত্ব অধিকারীদের পয়সা দিচ্ছে না, এবং ভবিষ্যত কনটেন্টে বিনিয়োগের জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে”।

নির্দিষ্ট কোনো অবৈধ সাইটের নাম বলেনি ফ্যাক্ট। তবে, এ ধরনের অবৈধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সাইটের ব্যাপারে অভিযোগ করার আহবান জানিয়েছে সংস্থাটি। ফ্যাক্টের দেওয়া তথ্যের মিল রয়েছে অন্যান্য গবেষণা তথ্যের সঙ্গেও।

পাইরেসি-ট্র্যাকিং সংস্থা ‘মুসো’র দেওয়া তথ্য অনুসারে, মার্চে অবৈধ স্ট্রিমিং ও ডাউনলোড সাইটের ট্রাফিক বেড়েছে প্রায় ৬০ শতাংশ। শুধু যুক্তরাজ্য থেকেই পাইরেসি সাইটের ‘ভিজিট’ এসেছে ৩০ কোটিরও বেশি, আর যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছে একশ’ কোটির বেশি ‘ভিজিট’।

মহামারী শুরু হওয়ার সময়টিতে অবৈধ স্ট্রিমিং সাইটে অস্কার বিজয়ী চলচ্চিত্র প্যারাসাইটের চাহিদা বেড়েছে ২৪০ শতাংশ। ভাইরাস মহামারীর প্রেক্ষাপটে নির্মিত ও ২০১১ সালে মুক্তি প্রাপ্ত চলচ্চিত্র “কন্ট্যাজিওন’-এর চাহিদা পাইরেসি স্ট্রিমিং সাইটগুলোতে বেড়েছে ১৫১ শতাংশ।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar