করোনাভাইরাস: ‘ডিজিটাল ডায়েরি’ আনছে নিউ জিল্যান্ড
দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা অ’ডুর্ন বলেন, অ্যাপটিকে সবচেয়ে ভালোভাবে বর্ণনা করা যায় একটি ‘ডিজিটাল ডায়েরি’ হিসেবে। ব্যক্তিগত যাতায়াতের রেকর্ড রাখতে সহায়তা করবে অ্যাপটি। আর গ্রাহক ছাড়া অন্য কেউ নাগাল পাবেন না এই ডেটার– খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
ওয়েলিংটনে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অ’ডুর্ন বলেন, “যদি এমনটা হয়, আপনি ভবিষ্যতে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হন, আপনার কাছে একটি সমাধান থাকবে, যার মাধ্যমে আপনি সহজে বলতে পারবেন একটি নির্দিষ্ট সময়ে আপনি কোথায় কোথায় গিয়েছেন।”
“এটা আপনার জন্য, আপনার ডিভাইসে থাকবে এবং এটা আপনার ডেটা, আপনার তথ্য,” যোগ করেন অ’ডুর্ন।
এপ্রিলের শেষ নাগাদ লকডাউন কিছুটা শিথিল করেছে নিউ জিল্যান্ড। গত সপ্তাহে লকডাউন শিথিল করার ‘দ্বিতীয় ধাপে’ গিয়েছে দেশটি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কঠোর নীতিমালা পালন সাপেক্ষে খুলতে দেওয়া হচ্ছে ক্যাফে, দোকান, রেস্তোরাঁ এবং খেলার মাঠসহ অন্যান্য সর্বসাধারণের চলাচলের স্থান।
দেশ জুড়ে দুই মাস লকডাউনের পর সোমবার পুনরায় খুলেছে নিউ জিল্যান্ডের স্কুল।
২৮ ফেব্রুয়ারি নিউ জিল্যান্ডে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার পর এযাবৎ দেশটিতে মারা গেছেন ২১ জন। অন্যদিকে প্রতিবেশী দেশ অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ রূপ নিয়েছে করোনাভাইরাস।
৫০ লাখের বেশি বাসিন্দার নিউ জিল্যান্ডে কয়েক সপ্তাহ ধরেই নতুন রোগীর সংখ্যা স্থিরভাবে কমছে। সোমবার নতুন করে আক্রান্ত হননি কেউ।
এ যাবত দেশটিতে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় দেড় হাজার। এর মধ্যে ১৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন চলতি মাসে। ভিন্ন ভিন্ন সাত দিনে নতুন কোনো রোগী পাওয়া যায়নি।
Comments
So empty here ... leave a comment!