ad720-90

গাড়ির যন্ত্রাংশে আফগান কিশোরীরা বানালো ভেন্টিলেটর


এবারে মে মাসের শেষ নাগাদ ভেন্টিলেটর সরবরাহের জন্য সময়ের সঙ্গে লড়ে যাচ্ছে দলটি। বাজার মূল্যের স্রেফ আংশিক দামেই এই ভেন্টিলেটর আনা সম্ভব হবে — খবর বিবিসি’র।

কয়েক বছরের যুদ্ধের পর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে আফগানিস্তান। তিন কোটি ৮৯ লাখ বাসিন্দার দেশটিতে ভেন্টিলেটর রয়েছে মাত্র চারশ’টি।

ইতোমধ্যেই আফগানিস্তানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৬৫০ জন এবং মারা গেছেন ১৭৮ জন। পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে বলেই আশঙ্কা করছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

রোবোটিক্স দলটির সদস্য ১৭ বছর বয়সী নাহিদ রাহিমি বিবিসিকে বলেন, “আমরা যদি আমাদের চেষ্টায় একটি জীবনও বাঁচাতে পারি সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।”

‘আফগান ড্রিমার্স’ নামে পরিচিত এই দলটি এসেছে আফগানিস্তানের পশিমাঞ্চল হেরাত থেকে। দেশটিতে করোনাভাইরাস আক্রান্ত প্রথম ব্যক্তিও শনাক্ত হয়েছেন ওই অঞ্চল থেকেই।

রোবোটিক্স দলটির সব সদস্যের বয়স ১৪ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। টয়োটা করোলা গাড়ির মোটর এবং হন্ডা মোটরসাইকেলের চেইন ড্রাইভ দিয়ে ভেন্টিলেটরের একটি প্রোটোটাইপ বানিয়েছে দলটি।

দলটি বলছে, শ্বাস-প্রশ্বাসে জটিলতার ক্ষেত্রে ভেন্টিলেটর পাওয়া যাচ্ছে না এমন অবস্থায় রোগীদেরকে সাময়িক স্বস্তি দেবে তাদের ভেন্টিলেটর।

দল প্রধান সুমাইয়া ফারুকি বলেন, “আমি এমন একটি দলের অংশ হতে পেরে গর্বিত, যারা ডাক্তার এবং নার্সদের সমর্থনে অর্থপূর্ণ কিছু করার চেষ্টা করছে।”

ভেন্টিলেটরের সংকট রয়েছে বিশ্বজুড়েই। আর প্রতিটি ভেন্টিলেটরের বাজার মূল্য ৩০ থেকে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার, যা কেনার সামর্থ্য নেই অনেক দেশেরই।

অন্যদিকে কিশোরীদের দাবি, জরুরি এই ভেন্টিলেটর বানাতে তাদের খরচ পড়ছে ৬০০ মার্কিন ডলারেরও কম।

হেরাতে লকডাউনের কারণে যন্ত্রাংশ কিনতে ওই অঞ্চলের বাইরে যেতে পারছেন না বলে বাধার মুখে পড়েছে দলটি।

দলটির প্রতিষ্ঠাতা রয়া মাহবুব বলেন, এখনও মে মাসের শেষ নাগাদ ভেন্টিলেটর সরবরাহের ব্যাপারে আশাবাদী তার দল। টাইম ম্যাগাজিনের তালিকায় বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী একশ’ ব্যক্তির একজন রয়া মাহবুব।

এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে আফগান সরকার। “আমি খুশি যে, প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি নিজে কর্তৃপক্ষকে আদেশ দিয়েছেন, যাতে আমাদের প্রকল্পে নজর রাখা হয় এবং যে কোনো উপায়ে সাহায্য করা হয়।”

কিশোরীদের দলটিকে সহায়তা করছে আফগানিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar