ad720-90

এক ভিডিওতেই ৫০ লাখ এক তারা রিভিউ, টিকটকের রেটিং ১.২!


ভারতীয় এক কনটেন্ট নির্মাতা অ্যাসিড আক্রমণ নিয়ে ভিডিও শেয়ার করার পর প্লে স্টোরে রেটিং কমতে থাকে ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মটির। পরবর্তীতে অবশ্য ক্ষমা চেয়েছেন ভারতীয় ওই কনটেন্ট নির্মাতা ফাইজাল সিদ্দিকি এবং ক্লিপটি মুছে দিয়েছে টিকটক। — খবর বিবিসি’র।

সমালোচকরা ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে টিকটক অ্যাপের রেটিং কমাচ্ছে বলে ধরা পড়ে গুগলের চোখে। আর তাই রেটিংগুলো মুছে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে, খুব একটা লাভ হয়নি এতে। এখনও টিকটকের রেটিং দুই এর নিচেই রয়েছে।    

যে ভিডিওটি নিয়ে সমস্যার সূত্রপাত, সেটিতে দেখা যায় – সিদ্দিকি, তাকে ছেড়ে যাওয়ার প্রতিশোধ হিসেবে এক নারীকে অ্যাসিড আক্রমণের হুমকি দিচ্ছেন। নারীর মুখে তরল ছুড়ে মারতেও দেখা গেছে ক্লিপে। প্রথমে দেখা যায় পানি ছুড়ে মেরেছেন, তবে পরের অংশেই দেখা যায় ওই নারীর চেহারায় ‘মেক-আপ’ সৃষ্ট নানা ধরনের দাগ ও ক্ষত।

“নীতিমালা অনুসারে, আমরা অন্যদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে পারে, শারীরিক ক্ষতি করতে পারে বা নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতাকে মহিমান্বিত করে এমন কনটেন্টে অনুমোদন দেই না।” – বলেছেন টিকটক মুখপাত্র।

“যে আচরণ নিয়ে কথা হচ্ছে, তা আমাদের নীতিমালা লঙ্ঘন করেছে এবং আমরা ওই কনটেন্ট নাময়ে নিয়েছি, অ্যাকাউন্টটি সাময়িকভাবে স্থগিত করে দিয়েছি, এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে কাজ করছি”।

কনটেন্ট নির্মাতা সিদ্দিকি বলেছেন, “সামাজিক মাধ্যমে একজন প্রভাবক হিসেবে, আমি নিজের দায়িত্ব বুঝতে পেরেছি এবং ভিডিওটির কারণে মনে কষ্ট পেয়েছেন এমন সবার কাছে ক্ষমা চাইছি”।

সবমিলিয়ে ৫০ লাখেরও বেশি ‘ওয়ান-স্টার রিভিউ’ মুছেছে গুগল। আবার এরকম অনেকগুলোকে সক্রিয়-ও রেখেছে। পুরো বিষয়টিকে “সংশোধনী পদক্ষেপ” আখ্যা দিয়েছেন গুগল মুখপাত্র। “আমরা যখন ‘স্প্যাম অ্যাবিউজ’-এর মতো ঘটনা সম্পর্কে জানি, তখন আমরা পর্যালোচনা করি এবং সংশোধনী পদক্ষেপ নেই অনুপযোগী রেটিং এবং মন্তব্য মুছে দেওয়ার জন্য”। – বলেছেন তিনি।                  

সেন্সর টাওয়ারের দেওয়া তথ্য বলছে, এপ্রিলে টিকটকের মাসিক ‘ইন-অ্যাপ চার্জ’ রাজস্ব অন্যান্য অ্যাপের তুলনায় বেড়েছে, অ্যাপটি পিছে ফেলে দিয়েছে নেটফ্লিক্স ও ইউটিউব-কেও। এই রাজস্বে ভূমিকা রেখেছে অ্যাপটির চীনা সংস্করণ ‘ডউয়িন’-ও। 

টিকটকে ‘ইন-অ্যাপ’ প্রক্রিয়ায় পছন্দের কনটেন্ট নির্মাতাকে সমর্থন করতে অ্যাপের মধ্যেই তাকে ভার্চুয়াল কারেন্সি দিতে পারেন ব্যবহারকারীরা।

মাসে মাসে টিকটকের ‘ইন-অ্যাপ পারচেজ’ রাজস্ব ১০ গুণ হয়েছে। সম্প্রতি এ খাত থেকে আসা সাত কোটি ৮০ লাথ ডলারের ৮৬.৬ শতাংশই এসেছে চীন থেকে, আর যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছে ৮.২ শতাংশ। 





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar