ad720-90

কোভিড-১৯: ‘ভুয়া খবর ঠেকাতে ব্যর্থ’ সামাজিক মাধ্যম!


ভুয়া চিকিৎসা, অ্যান্টি-ভ্যাকসিন প্রচারণা এবং ৫জি নিয়ে ষড়যন্ত্রতত্ত্ব বিষয়ে ফেইসবুক এবং টুইটারের কাছে প্রায় ৬৪৯টি পোস্ট নিয়ে অভিযোগ এসেছে। এর মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ পোস্ট কোনো সতর্কবার্তা ছাড়াই এখনও অনলাইনে রয়েছে– খবর বিবিসি’র।

সেন্টার ফর কাউন্টারিং হেইট-এর প্রধান ইমরান আহমেদের দাবি, প্রতিষ্ঠানগুলো “তাদের দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছে।”

“ভুয়া তথ্যের বিষয়ে জানাতে এবং সেগুলোতে পদক্ষেপ নিতে তাদের ব্যবস্থা এক্ষেত্রে উপযুক্ত নয়।”

“সামাজিক মাধ্যমগুলো অনেকবারই দাবি করেছে যে, তারা কোভিড নিয়ে ভুয়া তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে, কিন্তু নতুন গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, যদিও তারা ভুয়া তথ্য ছড়ানো পোস্টগুলোর প্রচারণা থামাচ্ছে, তারা পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ।”

সেন্টার ফর কাউন্টারিং ডিজিটাল হেইট-এর প্রতিবেদনের জবাবে ফেইসবুকের এক মুখপাত্র বলেন, “আমাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে ক্ষতিকর ভুয়া তথ্য সরাতে আমরা আগ্রাসী পদক্ষেপ নিচ্ছি এবং এ ধরনের হাজারো পোস্ট সরিয়েছে।”

“মার্চ এবং এপ্রিল মাসে আমরা কোভিড-১৯ বিষয়ের নয় কোটি পোস্টে সতর্কতা লেবেল জুড়ে দিয়েছি এবং এই লেবেলগুলো ৯৫ শতাংশ সময় গ্রাহককে ওই কনটেন্ট দেখতে বিরত রেখেছে,” যোগ করেন ওই মুখপাত্র।

এদিকে টুইটার বলছে, “কোভিড-১৯ পোস্ট সরানোর বিষয়ে তারা প্রাধান্য দেয় যখন এতে ক্ষতির আশঙ্কা থাকে।”

“আমরা আগেই বলেছি, অসম্পূর্ণ বা কোভিড-১৯ বিষয়ে বিতর্কিত তথ্য রয়েছে এমন সব পোস্টের জন্য আমরা পদক্ষেপ নেব না। ১৮ মার্চ নতুন নীতিমালা চালু করার পর আমরা প্রযুক্তি আরও উন্নত করেছি, আমদের স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা ৪৩ লাখ অ্যাকাউন্টকে বাধা দিয়েছে, যে অ্যাকাউন্টগুলো কোভিড-১৯ বিষয়ে স্প্যাম বা ধান্দাবাজির পোস্ট ছড়াচ্ছিলো।”

করোনাভাইরাসের ভুয়া তথ্য যেভাবে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে, সে বিষয়ে যুক্তরাজ্যের ডিজিটাল কালচার মিডিয়া এবং স্পোর্ট সাব-কমিটির প্রশ্নের মুখে পড়েছে টুইটার এবং ফেইসবুক দুই প্রতিষ্ঠানই।

প্রাথমিক সভায় খুশি ছিলেন না ব্রিটিশ এমপিরা। পরবর্তী সভায় আরও বিস্তারিত ব্যাখা চেয়েছে তারা। পাশাপাশি উঁচু পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের যোগ দিতে বলেছে এমপিরা।

এবারে গবেষণার জন্য যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড এবং রোমানিয়ার ১০ জন স্বেচ্ছাসেবী বাছাই করেছে সেন্টার ফর কাউন্টারিং ডিজিটাল হেইট। এপ্রিলের শেষ থেকে মে মাসের শেষ পর্যন্ত সামাজিক মাধ্যমে কোভিড-১৯ বিষয়ে ভুয়া তথ্যের অনুসন্ধান করেছে স্বেচ্ছাসেবীরা।

গবেষণায় দেখা গেছে ভুয়া তথ্য ছড়ানো ১৭৯টি পোস্টের মধ্যে মাত্র তিন শতাংশ পোস্টের ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নিয়েছে টুইটার।

অন্যদিকে ৩৩৪টি পোস্টের মধ্যে ১০ শতাংশ পোস্ট সরিয়েছে ফেইসবুক। আর দুই শতাংশ ‘মিথ্যা’ লেবেল জুড়ে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। পাশাপাশি অভিযোগ আসা ১৩৫টি পোস্টের ১০ শতাংশ পোস্টে ব্যবস্থা নিয়েছে ফেইসবুক মালিকানাধীন ইনস্টাগ্রাম।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar