ad720-90

ট্রাম্পের অ‌্যাকাউন্টের প্রচার বন্ধ করল স্ন‌্যাপচ‌্যাট


ট্রাম্পের অ‌্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে ব‌্যবস্থা নিল স্ন‌্যাপচ‌্যাট‘জাতিগত সহিংসতার’ কারণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাকাউন্টের প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মাল্টিমিডিয়া মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশন স্ন্যাপচ্যাট। এর আগে টুইটারের পক্ষ থেকে ট্রাম্পের টুইটে তাদের নীতিমালা ভঙ্গের লেবেল যুক্ত করার ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে, জাতিগত সহিংসতা নিয়ে ফেসবুকের কর্মীরা প্রতিবাদ জানালেও ফেসবুক কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ‘জাতিগত সহিংসতাকে’ কারণ দেখিয়ে স্ন্যাপচ্যাট কর্তৃপক্ষ ট্রাম্পকে তাদের গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে তুলে ধরার প্রক্রিয়াটি বাদ দিয়েছে। অ্যাপটির ডিসকভার সেকশনটিতে আর ট্রাম্পকে ফিচারড করা হবে না।

স্ন্যাপচ্যাট কর্তৃপক্ষ বলেছে, ‘জাতিগত সহিংসতা’ ও ‘অবিচারকে’ উসকে দেওয়ার কণ্ঠকে প্রশ্রয় দেবে না তারা।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্টের কিছু পোস্ট আড়াল করার টুইটারের নীতিমালা অনুসরণ করছে স্ন্যাপচ্যাটও।

স্ন্যাপচ্যাটের মূল প্রতিষ্ঠান স্ন্যাপ কর্তৃপক্ষ বলেছে, ‘বর্ণবাদী সহিংসতা এবং অবিচারের আমাদের সমাজে কোনো স্থান নেই। আমেরিকায় যারা শান্তি, ভালবাসা, সাম্যতা এবং ন্যায়বিচার চায়, আমরা তাদের সঙ্গে দাঁড়িয়েছি।’
এ পদক্ষেপটি হোয়াইট হাউস এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলতে পারে, যা টুইটার গত সপ্তাহে ট্রাম্পের কয়েকটি টুইটের সত্যতা-পরীক্ষার ট্যাগ যুক্ত করার সময় শুরু হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত সপ্তাহে এক নির্বাহী আদেশে সই করেন ট্রাম্প। এর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোকে ফেসবুক-টুইটারের মতো কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হবে। নির্বাহী আদেশে সই করার আগে ট্রাম্প ফেসবুক, টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়াগুলোকে ‘নিয়ন্ত্রণহীন শক্তি’ বলে অভিহিত করেন।
এরপর সহিংসতার প্রশংসা করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের করা একটি টু্ইটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় টুইটার কর্তৃপক্ষ। গত শুক্রবার টুইটারের নীতিমালা ভঙ্গের দায়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ওই টুইট সরাসরি দেখার সুযোগ বন্ধ করা হয়।
বিতর্কের শুরু হয় গত মঙ্গলবার। ওই দিন ট্রাম্পের বিভিন্ন টুইটের ফ্যাক্ট চেক লিংক দেওয়া শুরু করে টুইটার। এর মানে হলো, প্রেসিডেন্ট যে টুইট করেছেন, তা কতটুকু সত্য, সেটি যাচাই করার জন্য বার্তার নিচে ‘আসল খবর যাচাই করে দেখুন’—এমন ফ্যাক্ট চেকিং ট্যাগ ব্যবহার করেছে টুইটার। এতে ব্যাপক চটেছেন প্রেসিডেন্ট। তিনি টুইটার ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আনেন।
ট্রাম্পের পোস্ট নিয়ে টুইটারের পর স্ন্যাপচ্যাটের এমন উদ্যোগে ভীষণ চাপে পড়বে ফেসবুক। এর প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ তার প্ল্যাটফর্মের পোস্টগুলোর বিষয়ে হস্তক্ষেপের জন্য অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেছেন, তাঁর প্ল্যাটফর্মে বাক স্বাধীনতার যে নীতি তাতে তিনি অটল থাকবেন এবং প্রেসিডেন্টের পোস্টের ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের চলমান বিক্ষোভ নিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উসকানিমূলক মন্তব্যে ব্যবস্থা না নেওয়ায় তাঁদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করছেন ফেসবুক কর্মীরা। এর বদলে তাঁরা টুইটারের সাহসিকতা ও স্বচ্ছ অবস্থানের প্রশংসা করে নিয়োগকর্তাকে তিরস্কার করছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বর্তমান মার্কিন পরিস্থিতিতে ফেসবুকের শীর্ষ পর্যায়ের সাতজন কর্মীর মধ্যে তিনজন প্রকাশ্যে জাকারবার্গের সমালোচনা করেছেন।
সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গ জানায়, স্ন্যাটচ্যাটে ১০ লাখের বেশি ট্রাম্প অনুসারী রয়েছেন। ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারে স্ন্যাপচ্যাটকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়। কারণ অনেক স্ন্যাপচ্যাট ব্যবহারকারী প্রথমবার ভোটার হয়েছেন।
ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট অবশ্য বাতিল, নিষিদ্ধ বা পুরোপুরি বন্ধ হচ্ছে না।
ট্রাম্পের পোস্ট ডিসকভারে ফিচারড না করার অর্থ হচ্ছে কেউ সরাসরি তাঁর পোস্ট সাবসক্রাইব না করলে বা সরাসরি তাঁকে না খুজলে পোস্ট দেখতে পাবে না।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar