ad720-90

‘যেভাবে আমার ছবি ক্র্যাশ করিয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ফোন’


ঘটনা শুনে বেশ অবাক তিনি। কারণ যে ছবিটি এ ঘটনার জন্ম দিয়েছে, সে ছবিটি ২০১৯ সালের অগাস্টে মন্টানার গ্লেশিয়ার ন্যাশনাল পার্কের মেরি লেকে তোলা। আগ্রাওয়াল তো শুধু ফ্রেমবন্দী করে রাখতে চেয়েছিলেন “মায়াবী বিকেলকে”। ফ্রেমবন্দী করার পর ছবিটি পোস্টও করেছিলেন ফটো শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ফ্লিকারে।

সম্প্রতি আগ্রাওয়ালের বয়ান নিয়ে এক নিবন্ধ প্রকাশ করেছে বিবিসি। চলুন আমরাও জেনে নেই, ঠিক কী বলতে চাইছেন তিনি।

“আমি ইচ্ছে করে কিছু করিনি। আমি দুঃখিত যে মানুষকে সমস্যায় পড়তে হয়েছে”। – বলেছেন আগ্রাওয়াল।      

অ্যান্ড্রয়েড ১০ অপারেটিং সিস্টেম চালিত বেশ কিছু ব্র্যান্ডের ডিভাইস ক্র্যাশ করেছিল ছবিটি ওয়ালপেপার হিসেবে দেওয়ার পর। কিন্তু কেন এমনটি হলো? আগ্রাওয়াল বলছেন, “সেদিনের বিকেলটি ছিল মায়াবী।” স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে তৃতীয়বারের মতো মেরি লেকে গিয়েছিলেন তিনি ছবিটি তুলতে।

“অন্ধকারচ্ছন্ন এবং মেঘলা আবহাওয়া ছিল। আমরা যখনই ভেবেছি ভালো কোনো সূর্যাস্ত পাবো না, প্রায় বের হয়ে যেতে নিচ্ছি, তখনই সব বদলে যেতে শুরু করলো”। – স্মৃতিচারণ করলেন আগ্রাওয়াল।

সুযোগ হাত ছাড়া করেননি, নিজের নাইকন ক্যামেরাতে তুলে নিলেন ছবিটি। পরে ছবি পোস্ট প্রসেসিং সফটওয়্যার ‘লাইটরুম’ ব্যবহার করে হালকা সম্পাদনা করে নিলেন। এখানেই বাগ ঢুকে পড়লো ছবিতে।

ছবিটিকে ঠিকভাবে এক্সপোর্ট করতে তিনটি কালার-মোড-এর অপশন দেখিয়েছিল লাইটরুম। আগ্রাওয়াল যে অপশনটি বেছে নিয়েছিলেন, সমস্যা হয়েছে সে অপশনটির কারণেই। ঠিকমতো ওই অপশনটি ধরতে পারছিলো না বেশ কিছু অ্যান্ড্রয়েড ফোন, ফলে ক্র্যাশ করছিল।

ছবি: গৌরাভ আগ্রাওয়াল/ফ্লিকার

ছবি: গৌরাভ আগ্রাওয়াল/ফ্লিকার

“আমি বুঝতে পারিনি যে ফরম্যাটটি এরকম করবে। আমি আইফোন ব্যবহার করি, এবং আমার ওয়ালপেপার সবসময়ই আমার স্ত্রীর ছবি।” -বলেছেন আগ্রাওয়াল।

এখন থেকে “অন্য ফরম্যাট ব্যবহারের” কথাও বলেছেন তিনি। ফ্লিকারে আগ্রাওয়ালের দশ হাজার ফলোয়ার রয়েছে। তার তোলা ছবি ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সাময়িকীতেও প্রকাশিত হয়েছে।  

নিরাপত্তা সংস্থা পেন ট্রাস্ট পার্টনারসের কেন মুনরো এবং ডেভ লজ অ্যান্ড্রয়েড ফোন ক্র্যাশের ব্যাখ্যায় বলেছেন, “মানের দিক থেকে উন্নত হয়েছে ডিজিটাল ফটোগ্রাফ, ছবি ঠিকমতো দেখাতে ছবির ‘কালার স্পেস’ বুঝে নিতে হয় ফোনকে”।

উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, ছবিতে সবুজ রঙের একটি নির্দিষ্ট শেড কীভাবে পর্দায় দেখাতে হবে তার একটি হিসাব ফোনের থাকে।

“ভিন্ন ভিন্ন প্রক্রিয়ায় কালার স্পেসকে সংজ্ঞায়িত করা যায়। কোনো কোনো স্পেসের বিশেষজ্ঞ ব্যবহার রয়েছে গ্রাফিক ডিজাইনে, তাই কখনও আপনি এমন ছবিও দেখেন যা গতানুগতিক আরজিবি ফরম্যাটে পড়ে না। রঙ সংক্রান্ত অনেক বেশি তথ্য দিয়েও এমন ছবিও তৈরি করা সম্ভব যেটি হয়তো কোনো ডিভাইসের বিশ্লেষণ ক্ষমতার বাইরে হবে।”

“এখানে এ ধরনেরই কিছু হয়েছে। ফোনগুলো ক্র্যাশ করছে কারণ ডিভাইসগুলো জানে না কীভাবে সঠিকভাবে বিষয়টিকে বুঝতে হবে, আর সফটওয়্যার ডেভেলপারও এরকম হতে পারে ভাবেননি”।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar