ad720-90

করোনা শনাক্তকরণে আরটি-ল্যাম্প


ছবি রয়টার্সসময়টা জুন, ২০২০। হঠাৎ করেই শওকত সাহেবের শুকনো কাশি শুরু হলো, সেই সঙ্গে জ্বর। পরিবারের সবাই ভয় পেয়ে গেল, করোনা না তো? রোগের লক্ষণগুলো অনেকটাই মিলে যাচ্ছে। অজানা আতঙ্কে সবাই চিন্তায় পড়ে গেল। করোনা পরীক্ষা তো করাতে হবে, চেষ্টা করলে হয়তো শওকত সাহেব নিজেকে আলাদা রাখতে পারবেন। কিন্তু করোনা হয়ে না থাকলে সবাই অযথাই ভুগবে। আবার সঠিক সিদ্ধান্ত না নিলে হঠাৎ শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে যেতে পারে। পরীক্ষা করে ফলাফলের ওপর নির্ভর করে কিছুটা হলেও চিকিৎসা নেওয়া যাবে। নিজেকে অন্যদের থেকে আলাদা করে ফেলতে হবে। প্রয়োজনে যেন অক্সিজেনের সুবিধা পাওয়া যায়, সে ব্যবস্থা করতে হবে। হয়তো অবস্থা খারাপ হলে প্লাজমাদাতা যেন পাওয়া যায়, সে ব্যবস্থাও করে রাখতে হবে।

কিন্তু সবকিছুর আগে করতে হবে করোনা টেস্ট। খোঁজ নেওয়া শুরু করে দিলেন বিভিন্ন হাসপাতালে। কোথায় যাওয়া যাবে, পরীক্ষা করা যাবে। একজন বলল, সরকারি জায়গায় অনেক কষ্ট হবে সিরিয়াল পাওয়া। প্রাইভেটে করো। কিন্তু প্রাইভেটে সে তো অনেক দাম। গিয়ে করলে ৩ হাজার ৫০০ টাকা, বাসায় এলে আরও ১ হাজার টাকার ধাক্কা। তা ছাড়া অন্যান্য অসুখের রোগীদের তো করোনা পরীক্ষা করে পজিটিভ না নেগেটিভ, সেটা দেখে তবেই হাসপাতালে ভর্তি করে। সে জন্য সব সময় টেস্ট করার জন্য সিরিয়াল লেগেই থাকে। শওকত সাহেব শুনেছেন, টেস্ট সেন্টারগুলো নাকি রেজাল্ট দিয়ে কুলিয়ে উঠতে পারছে না। এদিকে বাসায় ছোট মেয়েটারও রোগের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। সে তো সারাক্ষণই পড়ে থাকে দাদির কাছে, তাকেও টেস্ট করানো উচিত। দুজনের টেস্ট করাতে গিয়েই ৭ হাজার টাকার ধাক্কা, এও কি সম্ভব এই দুর্মূল্যের বাজারে?

ওপরের ঘটনার মতো শুধু শওকত সাহেব নন; আরও অনেকেই এখন আর্থিক সমস্যায় পড়ে যাচ্ছেন। একদিকে লাইন ধরে সরকারি হাসপাতালে পরীক্ষার ফল পেতে দেরি হচ্ছে, অন্যদিকে প্রাইভেটে পরিবারের একজনের বেশি সদস্যের টেস্ট করাতে গেলেই টাকার অঙ্কটা একটু গায়ে লাগছে। কিন্তু সংক্রমণের প্রকোপ বুঝতে একই সঙ্গে বাস করা অন্য সদস্যদের পরীক্ষা না করেও তো উপায় নেই। আমাদের এই ছোট্ট দেশে ধারণ ক্ষমতার থেকে আমরা অনেক বেশি মানুষ বাস করি। খুব স্বাভাবিকভাবেই এ রকম উন্নয়নশীল দেশের পক্ষে প্রত্যেক রোগীর জন্য ব্যয়বহুল পরীক্ষার ব্যবস্থা করাও কঠিন ফলে পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা অপ্রতুলই থেকে যাচ্ছে। ব্যয়বহুল আরটি-পিসিআর পরীক্ষার পাশাপাশি আমাদের অতিসত্বর ভাইরাস শনাক্তকরণের কিছু সহযোগী পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখা দরকার। সেই সঙ্গে রোগী আগে এই ভাইরাস দিয়ে আক্রান্ত হয়েছে কি না, তা জানতে অ্যান্টিজেন অ্যান্টিবডিভিত্তিক পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখাও দরকার।

কিছুদিন আগেও মলিকিউলার বায়োলজি ল্যাবরেটরির অতি যত্নে করা বিশেষ একটি পরীক্ষা হিসাবে বিশেষায়িত থাকলেও আরটি-পিসিআরের নাম জানে না এ রকম মানুষের সংখ্যা এখন বাংলাদেশে অনেক কমে গেছে। বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে যখন সবকিছু স্থবির হয়ে গেছে, একের পর এক কাছের মানুষের মৃত্যু সংবাদ ভেসে আসছে, অথচ এর প্রতিকারের জন্য সে রকম কার্যকর কিছু বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। অসহায় মানুষকে বাধ্য হয়েই নির্ভর করতে হচ্ছে করোনা শনাক্তকরণের পরীক্ষার ওপর। অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ এবং প্রতিষেধক নিয়ে বিশ্বব্যাপী অনেক গবেষণা চলছে, অনেকগুলো পরীক্ষামূলক পদক্ষেপে ভালো ফলও পাওয়া যাচ্ছে। তবে এগুলো পশুপাখি ও মানুষের ওপর পরীক্ষামূলক ট্রায়াল করে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে কি না, সে সম্পর্কে নিশ্চিত না হয়ে সবার ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া যায় না। করোনা শনাক্তকরণের পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ আছে কি না, তা যাচাই করে আইসোলেশনে থেকে অন্তত ভাইরাসের বিস্তার প্রতিরোধ করা সম্ভব হয় এবং সেই সঙ্গে ডাক্তারের পরামর্শমতো কিছু চিকিৎসাও নেওয়া যায়।

এই রোগ শনাক্তকরণে গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড রিয়েল টাইম আরটি-পিসিআর ধরা হয়, তবে আজকে আমি আপনাদের এর কাছাকাছি বৈশিষ্ট্যের আরেক ধরনের পরীক্ষার কথা বলব, যা আমরা ভাইরাসের জিনোম শনাক্তকরণের কাজে ব্যবহার করে থাকতে পারি। এতে টেস্টের খরচ প্রায় এক–সপ্তমাংশ থেকে এক-তৃতীয়াংশ চলে আসতে পারে। এই রেঞ্জটি উল্লেখ করলাম, কারণ প্রকৃত মূল্য নির্ভর করবে ঠিক কয়টা জিন শনাক্ত করা হবে, কী ধরনের উপকরণ ব্যবহার করা হবে—এ রকম বেশ কিছু নির্ণায়কের ওপর। এই পদ্ধতি সম্পন্ন হতে সময় কম লাগবে এবং প্রয়োজন হবে না খুব দক্ষ কোনো বিশেষজ্ঞের। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেখানে হাসপাতালগুলোয় ব্যয়বহুল আরটি-পিসিআর মেশিন এখনো পোঁছানো সম্ভব হয়নি, সেখানে অতি সহজেই এই পদ্ধতি নিয়ে যাওয়া যাবে। কারণ, এ ক্ষেত্রে দামি মেশিন লাগবে না। লাগবে শুধু তাপমাত্রা কন্ট্রোল করা যায়—এ রকম একটি ইনকিউবেটর বা ওভেন। অনেক সময় ঠিকমতো কন্ট্রোল করা গেলে গরম পানির চেম্বার বানিয়েও এই পরীক্ষা সম্পন্ন করা সম্ভব।

এতই কি সহজ ব্যাপারটা? আসুন তবে পদ্ধতিটি নিয়ে একটু বিশদ জানি। আরটি-ল্যাম্প (RT-LAMP) গালভরা নামটির দুটি অংশ। ল্যাম্প আসে লুপ মেডিয়েটড আইসোথার্মাল অ্যাম্পলিফিকেশন (Loop mediated Isothermal Amplification) থেকে। আর যখন আরএনএ শনাক্তকরণের জন্য এই প্রক্রিয়া ব্যবহৃত হয়, তখন একে বলা হয় আরটি-ল্যাম্প। খুব বেশি কিছু পরিবর্তন না, শুধু আরএনএ থেকে ডিএনএ কপি তৈরি করার জন্য এ ক্ষেত্রে একটি অতিরিক্ত এনজাইম ব্যবহৃত হয়, যার নাম রিভার্স ট্রান্সক্রিপ্টেজ, যার থেকে আরটি নামটির উৎপত্তি। এখন আমরা যদি লুপ মিডিয়েটেড অ্যাম্পলিফিকেশনকে বুঝতে চাই, তাহলে বুঝতে হবে যে অ্যাম্পলিফিকেশন কথাটির অর্থ কী। মনে করেন, আপনার কাছে আছে সামান্য পরিমাণ ডিএনএ বা আরএনএ, যা এমনিতে হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না, কিন্তু যদি কোনোভাবে এর পরিমাণ অনেক বাড়িয়ে দেওয়া যায়, তাহলে আমরা এর উপস্থিতি বুঝতে পারব। এই উদ্দেশ্যে আমরা টার্গেট করি ভাইরাসের কিছু বিশেষ প্রোটিন উৎপাদনকারী জিনকে এবং যেহেতু করোনাভাইরাসের জিনোমের ক্রমবিন্যাস আমাদের জানা, আমরা সেটার সাহায্য নিয়ে এই জিনের কিছু অংশ থেকে প্রাইমার তৈরি করি, যার সাহায্যে ওই বিশেষ জিন অ্যাম্পলিফিকেশন বা সংখ্যায় অনেক বাড়িয়ে দেওয়া হয়।

বহুল ব্যবহৃত আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতেও একইভাবে ডিএনএ অ্যাম্পলিফিকেশন হয়। তবে কিছু পরিবর্তন আছে, যার কারণে আরটি-ল্যাম্পের ব্যয় এবং সময় অনেক কমে আসে, অথচ স্পেসিফিটি অনেকটা একই রকম থেকে যায়। এ ক্ষেত্রে পদ্ধতিটি সহজ হলেও প্রাইমারগুলোর স্পেসিফিসিটি অনেক বেশি থাকে। প্রথমত, আরটি-পিসিআর করার জন্য যে মেশিন ব্যবহৃত হয়, তা অত্যন্ত ব্যয়বহুল, সেই সঙ্গে এর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দরকার দক্ষ জনশক্তি। অথচ আরটি-ল্যাম্পের জন্য ব্যবহৃত ইনকিউবেটরের দাম সে তুলনায় অনেক কম। দ্বিতীয়ত, রিয়েল টাইম আরটি-পিসিআর যে ফ্লোরোসেন্ট ডাই ব্যবহার করা হয়, তাঁর জন্য রিএজেন্টের দাম বেশি পড়ে যায়। আরটি-ল্যাম্পের রিএজেন্টে একধরনের পিএইচ নির্ধারক দেওয়া থাকে, যা পিএইচ পরিবর্তন হলেই রং পরিবর্তন করে ফেলে। যখন পলিমার এনজাইমের সাহায্যে একটা ডিএনএ থেকে ২টা, থেকে ৪টা এভাবে ডিএনএর কিছু অংশের পরিমাণ বাড়তে থাকে, তখন ওই দ্রবণের পিএইচ কমতে থাকে এবং একসময়ে রং পরিবর্তিত হয়ে যায়। অর্থাৎ, আপনার শরীরে এই দুষ্ট ভাইরাস যদি ঢুকে থাকে, অবশ্যই আপনার মধ্যে ভাইরাসটির আরএনএ জিনোমের অংশ পাওয়া যাবে। যদি আপনার থেকে নেওয়া নমুনাকে আরটি-ল্যাম্পের প্রাইমার এবং বিশেষ এনজাইম মিশ্রণের সঙ্গে মিশিয়ে একটা নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় রেখে দেওয়া যায়, তাহলে ওই ভাইরাসের আরএনএ থেকে প্রথমে কপি ডিএনএ হবে, তারপর সেই ডিএনএর সঙ্গে প্রাইমারগুলো যুক্ত হয়ে একধরনের লুপ তৈরি করবে এবং পলিমারেজের বিক্রিয়ায় ডিএনএর পরিমাণ বাড়তে থাকবে। একটি নির্দিষ্ট সময় পরে যথেষ্ট পরিমাণ বেড়ে গেলে দ্রবণের রং পরিবর্তন হবে। যদি আপনার দেহে ভাইরাসটি না থাকে, তাহলে এর আরএনএ থাকবে না, এনজাইম মিশ্রণে মিশালেও এটা কাজ করবে না। কারণ, ওই ভাইরাসের জন্য নির্দিষ্ট করা প্রাইমারগুলো শুধু করোনাভাইরাসের আরএনএকেই বাড়াতে পারবে। মানুষের আরএনএ ও ডিএনএ দ্রবণে থাকলেও লাভ হবে না। কারণ, প্রাইমারগুলো মানুষের ডিএনএতে যুক্তই হতে পারবে না, একে সংখ্যায় বাড়াতে পারা তো দূরের কথা। ফলস্বরূপ, যার মধ্যে করোনাভাইরাস ঢোকেনি, তার নমুনাতে রং পরিবর্তন হবে না।

আরটি-ল্যাম্প পদ্ধতিতে সময়ও তুলনামূলকভাবে কম লাগে। আরটি-পিসিআরের সময়ে মেশিনটির একটি চক্রে তিনটি ধাপ সম্পন্ন হয়, প্রথমে ৯৫ ডিগ্রিতে দ্বিসূত্রক ডিএনএ আলাদা হয়ে একসূত্রক হয় এরপর ৫৫ থেকে ৬৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় কৃত্রিমভাবে তৈরি করা প্রাইমারগুলো ডিএনএর নির্দিষ্ট জিনের সঙ্গে যুক্ত হয় এবং ৬৫ থেকে ৭২ ডিগ্রিতে পলিমার এনজাইমের সাহায্যে প্রতিটি একসূত্রক ডিএনএ থেকে দ্বিসূত্রক ডিএনএ তৈরি হয়। অর্থাৎ পিসিআর যদি ৪০টি চক্রে করা হয়, তাহলে এই তিনটি ধাপ ৪০ বার করে হবে। কিন্তু আরটি-ল্যাম্পে বিশেষ ধরনের একটি পলিমার এনজাইম ব্যবহার করা হয়, যা নিজেই দ্বিসূত্রক ডিএনএকে ভেঙে একসূত্রক বানাতে পারে। ফলে বিভিন্ন তাপমাত্রায় তারতম্য করতে তিনটি ধাপের প্রয়োজন হয় না, মাত্র একটি তাপমাত্রাতেই বেশ কম সময়ে সম্পন্ন করা যায়, এতে তাপমাত্রার ওঠানামাতে মেশিনে যে অতিরিক্ত সময় খরচ হতো, সেটাও বেঁচে যায়। নমুনা থেকে আরএনএ আলাদা করে তা দিয়ে আরটি-ল্যাম্প করলে ৩০ মিনিটেই ফল চলে আসে, কিন্তু সে ক্ষেত্রে আরএনএ আলাদা করার সময়টুকু ধরতে হবে, যা ইদানীং আরটি-পিসিআরের জন্যও করা হচ্ছে। সরাসরি রোগীর নমুনা নিয়ে করলে ৪০ থেকে ৭০ মিনিটে ফল দেখা যায়। রিয়েল টাইম আরটি-পিসিআরের ফল বিশ্লেষণ করার জন্য যে দক্ষতা ও সময়ের প্রয়োজন হয়, সেটাও এখানে লাগবে না, কারণ রঙের পরিবর্তন চোখে দেখেই ফলাফল নির্ণয় করা যাবে।

যেহেতু আরটি-পিসিআরের তুলনায় অনেক কম মূল্যে আরটি-ল্যাম্প দিয়ে পরীক্ষা করা যাবে, প্রত্যন্ত অঞ্চলে বা উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোয় সহজেই আরটি-ল্যাম্পের ব্যবস্থা করা যায়। এ ছাড়া দেশে ঢোকার বিভিন্ন বন্দরগুলোয় বা বড় অফিসে বা গার্মেন্টসে নিজেদের কর্মচারীদের পরীক্ষা করার জন্য আরটি-ল্যাম্প ব্যবহার করা যায়। হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোয় আরটি-পিসিআরের বাদ দিয়ে নয়, বরং আরটি-পিসিআরের পাশাপাশি থাকতে পারে আরটি-ল্যাম্পের ব্যবস্থাও। যাতে জমে থাকা নমুনাগুলোর পরীক্ষা ত্বরান্বিত হতে পারে। আরটি-ল্যাম্প অনেক বছর আগে আবিষ্কার হওয়া একটি আরএনএ ও ডিএনএ শনাক্তকরণ পদ্ধতি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই পদ্ধতিকে ভিত্তি করে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের গবেষণা চলছে, অনেক ভালো ফল পাওয়া গেছে। অনেকেই তাদের গবেষণার ফল অন্যদের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে। এসব গবেষণার তথ্য–উপাত্ত ব্যবহার করে কিছুদিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অল্পসংখ্যক করোনা রোগীর নমুনা নিয়ে আরএনএ এবং সরাসরি সোয়াব থেকে আরটি-ল্যাম্প দিয়ে পরীক্ষা করে এর কার্যকারিতা দেখানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ইতিমধ্যেই জরুরি অবস্থায় আরটি-ল্যাম্প ব্যবহার করার অনুমোদন দিয়েছে একটি কোম্পানিকে। আমাদের দেশেও কিছু উপযোগিতা পরীক্ষণের মাধ্যমে বেশিসংখ্যক নমুনার ওপর স্বল্প পরিসরে সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে আরটি-ল্যাম্প ব্যবহার করে দেখা যেতে পারে। পুরো বিশ্ব এখন জ্ঞানবিজ্ঞানের আদান–প্রদানে ব্যস্ত। অনেক পদ্ধতিই আর নতুন করে আবিষ্কারের প্রয়োজন পড়ে না। বরং সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে জানা পদ্ধতিকেই কিছু পরিবর্তন করে ব্যবহারের উপযোগী করে তোলা যায়। বাংলাদেশের জন্য উপযোগী প্রমাণিত হলে এই স্বল্প আয়ের দেশে করোনা পরীক্ষার দাম অনেক কমে আসবে, অধিক নমুনা পরীক্ষা করা যাবে এবং পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা অনেক বাড়ানো যাবে। শওকত সাহেবের মতো মানুষদের চিন্তা কিছুটা হলেও লাঘব হবে।

সাবরিনা মরিয়ম ইলিয়াস, পিএইচডি
সহকারী অধ্যাপক: ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar