ad720-90

অ্যাপ স্টোর: অ্যাপল-গুগলের সমালোচনায় এপিক গেইমস প্রধান


এক প্রতিবেদনে এনগ্যাজেট বলছে, সব অ্যাপেরই `ইন-অ্যাপ’ পারচেসের ৩০ শতাংশ নিয়ে যায় অ্যাপলের অ্যাপ স্টোর এবং গুগল প্লে স্টোর। অ্যাপের জন্য অন্য কোনো স্টোর না থাকায় অ্যাপ ডেভেলপারদেরকে বাধ্য হয়েই এটি মেনে নিতে হয়। মূলত এ ব্যাপারটি নিয়েই প্রযুক্তি জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান দুটির সমালোচনা করেছেন সুইনি।

অন্যদের মতো অ্যাপল ও গুগলের চাপিয়ে দেওয়া নিয়ম মেনে নেয়নি এপিক গেইমস। ২০১৮ সালে ‘এপিক গেইমস স্টোর’ নামে নিজেদের গেইম স্টোর লঞ্চ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। উইন্ডোজ ও ম্যাক কম্পিউটারের জন্য অ্যাপ নামানো যাবে গেইম স্টোরটি থেকে। নিজেদের নিয়ম অনুসারে, ডেভেলপারদের কাছ থেকে ‘ইন-অ্যাপ পারচেসের’ জন্য ১২ শতাংশ চার্জ রাখবে এপিক গেইমস।

কিন্তু এখানেও একচেটিয়া ব্যবসার মুখে আটকে গেছে এপিক গেইমস। নিজেদের গেইম স্টোরটিকে অ্যাপ স্টোর প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সবার হাতে ছড়িয়ে দিতে পারেনি তারা। এ ব্যাপারে অ্যাপলের রয়েছে কড়া নীতিমালা।

“তারা [অ্যাপল] পুরো একটি ব্যবসা ও অ্যাপ্লিকেশনের শ্রেণীকে নিজেদের ইকোসিস্টেমে প্রবেশ করতে বাধা দিচ্ছে, নিজেদের ব্যবসাকে সুরক্ষিত করতে প্রতিদ্বন্দ্বীদের সরিয়ে দিচ্ছে।” – বলেছেন সুইনি।

এর আগে গুগল প্লে স্টোরের মাধ্যমে ফোর্টনাইটের অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণ না দিয়ে, ওয়েবসাইট লঞ্চারের মাধ্যমে ফোর্টনাইট অ্যাপ দিয়েছিল এপিক গেইমস। এতে করে ৩০ শতাংশ খরচ এড়াতে পেরেছিল তারা। পরে এ বছরের শুরুতে ব্যবহারকারীদের সুবিধার্থে গুগল প্লে স্টোরে ফোর্টনাইট নিয়ে এসেছিল প্রতিষ্ঠানটি।

এপিক গেইমস বাদেও গত বছরের মার্চ মাসে স্পটিফাই প্রধান নির্বাহী ড্যানিয়েল এক আপত্তি তুলেছিলেন অ্যাপল ও গুগলের একচেটিয়া অ্যাপ স্টোর নীতির ব্যাপারে। এ ব্যাপারে অভিযোগও নথিভুক্ত করেছিলেন তিনি। আর গত জুলাইয়ে গুগল প্লে স্টোরের খরচ বাঁচাতে নিজস্ব ‘ডিফল্ট পেমেন্ট’ প্রক্রিয়া নিয়ে এসেছে ডেটিং অ্যাপ টিন্ডার। 





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar