বিজ্ঞাপনে গ্রাহকতথ্য: এফটিসি’র তদন্তের মুখে টুইটার
এ তদন্তের কারণে শেষ পর্যন্ত ২৫ কোটি ডলার গুণতে হতে পারে টুইটারকে। মার্কিন মাইক্রোব্লগিং সাইটটি সোমবার এ ঘটনার ব্যাপারে জানিয়েছে বলে উঠে এসেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেটের প্রতিবেদনে।
টুইটার জানিয়েছে, এফটিসি’র কাছ থেকে খসড়া অভিযোগ এসেছে তাদের কাছে। ওই অভিযোগের বক্তব্য হলো, ২০১১ সালে এক প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করেছে টুইটার। ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষায় আরও জোরদারভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি।
“নিরাপত্তা ও সুরক্ষাজনিত কারণে দেওয়া ফোন নম্বর বা ইমেইল ঠিকানার তথ্যাবলী ২০১৩ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ‘টার্গেটেড বিজ্ঞাপনের’ জন্য ব্যবহার করার সঙ্গে অভিযোগটি জড়িত।” – ইউএস সিকিউরিটিস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের এক নথিতে বলেছে টুইটার।
“বিষয়টি এখনও অমীমাংসিত এবং সর্বশেষ ফলাফলের সময় বা অন্য কোনো শর্তের ব্যাপারে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব নয়।” – যোগ করেছে টুইটার।
গত বছর টুইটার নিজে থেকেই জানিয়েছিল, ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে রাখা ইমেইল ও ফোন নম্বর বিজ্ঞাপনী স্বার্থে ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে, এবং বিষয়টি তাদের নজরে এসেছে। মূলত ওই বিষয়টিকে কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছে এফটিসি’র এ তদন্ত।
শুধু অ্যাকাউন্ট সুরক্ষার জন্যই ওই তথ্য ব্যবহারের কথা ছিল। কিন্তু টুইটারের দেওয়া তথ্য অনুসারে, প্রতিষ্ঠানের “টেইলরড অডিয়েন্স” এবং “পার্টনার অডিয়েন্সেস অ্যাডভার্টাইজিং সিস্টেম”-এর মাধ্যমে ওই ফোন নম্বর ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন দাতারা সম্ভবত ‘টার্গেট বিজ্ঞাপন’ দিতে পেরেছিলেন।
এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি এফটিসি।
Comments
So empty here ... leave a comment!