ad720-90

কর্মীদের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি, যুক্তরাজ্যের তদন্তের মুখে বার্কলেইস


চলতি বছরের শুরুতে বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে যে, কর্মীদের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি চালাচ্ছে ব্যাংকটি। এরপরই ব্যাংকটি জানিয়েছে, এতদিন যাবত পরীক্ষামূলকভাবে চালু থাকা একটি ব্যবস্থা বদলাচ্ছে তারা। কর্মীরা কর্মক্ষেত্রে কীভাবে তাদের সময় ব্যয় করেন, সে বিষয়টি নজরদারিতে রাখে এই ব্যবস্থা।

আইসিও’র বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইতোমধ্যেই আনুষ্ঠানিক অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। তবে, তদন্ত কবে নাগাদ শেষ হবে, তা জানাতে পারেনি সংস্থাটি।

আইসিওর এক মুখপাত্র বলেন, “মানুষের প্রত্যাশা, তারা তাদের ব্যক্তিগত জীবনে গোপনতা রাখতে পারবেন এবং কর্মক্ষেত্রেও তাদের কিছু গোপনতা থাকবে।”

“কোনো সংস্থা যদি তাদের কর্মীদের ওপর নজরদারি করতে চান, তবে এটি উদ্দেশ্য পরিষ্কার করতে হবে এবং বাস্তবে এর থেকে লাভ আসতে হবে। যে কোনো ধরনের নজরদারির প্রকৃতি, পরিসর এবং কারণ সম্পর্কে কর্মীদেরকে জানাতে হবে,” যোগ করেন ওই মুখপাত্র।

ফেব্রুয়ারি মাসে বার্কলেইস জানিয়েছে, সেপিয়েন্স সফটওয়্যারের ব্যবহার বদলাচ্ছে তারা। এখন শুধু পরিচয়বিহীন ডেটা ট্র্যাক করবে তারা। ব্যবস্থাটি ‘অনধিকারপ্রবেশমূলক’, কর্মীদের এমন দাবির প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা বদলানোর কথা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

সেপিয়েন্স ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, কর্মীর কম্পিউটার ব্যবহার পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে “কাজের ধরন” এবং কর্মীর কার্যকরিতা সম্পর্কে একটি ধারণা দেয় সফটওয়্যারটি।

ব্যাংক এবং অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এ ধরনের ব্যবস্থার ব্যবহার ক্রমেই বাড়ছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।

কর্মীরা কতো সময় নিজের ডেস্কে ব্যয় করছেন তা পর্যবেক্ষণ করতে এর আগে অকুপাই নামের একটি ব্যবস্থা ব্যবহার করে ২০১৭ সালে সমালোচনার মুখে পড়েছে বার্কলেইস।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar