অ্যাপ স্টোর থেকে এপিক গেইমসের অ্যাকাউন্ট সরালো অ্যাপল
বিবিসি’র প্রতিবেদন বলছে, অ্যাপল বিবৃতির মাধ্যমে এপিক গেইমসের অ্যাকাউন্ট সরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এ স্থগিতাদেশের ফলে অ্যাপলের আইফোন ও আইপ্যাডের জন্য আর অ্যাপ বানাতে পারবে না এপিক।
অ্যাপ স্টোরের নীতিমালা অনুসারে, এপিকের বানানো গেইম ফোর্টনাইটের ‘ইন-অ্যাপ পারচেস’ আয় থেকে ৩০ শতাংশ নিয়ে নিতো অ্যাপল। এপিকের ভাষ্যে, এ খরচ অন্যায্য।
অন্যায্য বলেই থেমে থাকেনি এপিক। গেইমাররা যাতে অ্যাপলের খরচ এড়িয়ে গেইমিং সেবা কিনতে পারে, সে ব্যবস্থাও করে দিয়েছিল গেইম নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি অ্যাপল। অ্যাপ স্টোর থেকে সরিয়ে দিয়েছে ফোর্টনাইটকে।
পরে এ নিয়ে অ্যাপলের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিতে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছে এপিক গেইমস।
“আমরা খুবই হতাশ যে আমাদেরকে অ্যাপ স্টোর থেকে এপিক গেইমসের অ্যাকাউন্টটি স্থগিত করতে হয়েছে।” – বিবৃতিতে বলেছে অ্যাপল।
“আমরা অনেক লঞ্চ এবং রিলিজ নিয়ে এপিক গেইমসের দলের সঙ্গে কাজ করেছি। মামলা চলার সময়ে এপিককে আমাদের অ্যাপ স্টোর নীতিমালা মেনে চলতে পরামর্শ দিয়েছে আদালত, এই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আগে গত দশক ধরে আমাদের নীতিমালা অনুসরণ করেছে তারা। এবার এপিক সে কাজটি করতে রাজি হয়নি।” – বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে অ্যাপল।
এপিক এখনও এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি।
এর আগে অ্যাপল বলেছে, অ্যাপ স্টোর থেকে ফোর্টনাইটের বাদ পড়াটা এপিক গেইমসের “নিজেদের তৈরি ক্ষত”।
এ প্রসঙ্গে আদালতের এক নথিতে অ্যাপল লিখেছে, “এপিক ভালো করেই জানতো, অ্যাপলের প্রক্রিয়া ও চুক্তি লঙ্ঘন করে অ্যাপলের সঙ্গে তারা নিজেদের সম্পর্ক – আনরিয়েলসহ অন্যান্য প্রকল্পকে- মারাত্নক ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে। তারপরও এপিক হিসেব করে লঙ্ঘনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং দৌঁড়ে আদালতে এসে দাবি করেছে যে তাদের গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।”
অ্যাপ স্টোর নীতিমালা প্রশ্ন অ্যাপলের বিপক্ষে দাঁড়ানো প্রথম ডেভেলপার নয় এপিক গেইমস। এর আগে জুনে ইমেইল অ্যাপ ‘হেই’ প্রশ্ন তুলেছিল অ্যাপ স্টোরের ইন অ্যাপ পারচেস নীতি নিয়ে।
সে সময় ডেভেলপার ডেভিড হাইনমেয়ার হ্যানসন বলেছিলেন, “আমরা যদি অ্যাপলের নিয়ম পছন্দ না করি – তাহলে হয় তাদের ৩০ শতাংশ দিতে হবে, না-হয় প্ল্যাটফর্ম থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আমরা এ ব্যাপারে কী-ই বা করতে পারি? কার কাছে গিয়ে দাঁড়াতে পারি?”
“আপনি নতুন সফটওয়্যার নিয়ে এলেন, কিন্তু আইফোনে নেই, তাহলে তো আপনি অদৃশ্য।” – যোগ করেছিলেন তিনি।
অ্যাপ স্টোরের শর্তাবলীর মাধ্যমে প্রতিযোগিতা নিয়মের লঙ্ঘন হচ্ছে কি না তা জানতে তদন্ত করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রে অ্যামাজন, ফেইসবুক ও গুগল প্রধানের পাশাপাশি কংগ্রেস শুনানিতে অংশ নিতে ও ‘হাউস জুডিশিয়ারি অ্যান্টিট্রাস্ট সাবকমিটির’ সামনে স্বাক্ষ্য দিতে হাজির হয়েছিলেন অ্যাপল প্রধান টিম কুক।
সেখানে সবার বিরুদ্ধেই বাজারে নেতৃস্থানীয় অবস্থানের সুযোগ নেওয়ার অভিযোগ এসেছিল।
Comments
So empty here ... leave a comment!