‘জলবায়ু বিজ্ঞান তথ্য কেন্দ্র’ নিয়ে এলো ফেইসবুক
সম্প্রতি জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে ভুয়া খবর ছড়ানো নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছিল ফেইসবুক। তার পরপরই এ ধরনের উদ্যোগ নিলো প্রতিষ্ঠানটি। ফেইসবুক জানিয়েছে, কোভিড-১৯ তথ্য কেন্দ্রের আদলে এ প্রকল্পটিকে সাজানো হয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি এবং যুক্তরাজ্যে দেওয়া হবে টুলটি। পরে অন্যান্য দেশের জন্যও নিয়ে আসা হবে একে।
ফেইসবুক এক পোস্টে জানিয়েছে, “জলবায়ু বিজ্ঞান তথ্য কেন্দ্র ফেইসবুকের এমন একটি নিবেদিত স্থান যেখানে বিশ্বের নেতৃস্থানীয় জলবায়ু সংস্থার তথ্যাবলী পাওয়া যাবে, এবং জলবায়ু পরিবর্তন রোধে মানুষ দৈনন্দিন জীবনে কী কী পদক্ষেপ নিতে পারেন, তা জানা যাবে।”
উচ্চমানসম্পন্ন প্রকাশক এবং অন্যান্য সূত্রের জলবায়ু বিজ্ঞান সম্পর্কিত সংবাদও পাওয়া যাবে ফেইসবুকের জলবায়ু তথ্য কেন্দ্রে। ফেইসবুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, মতামত নিবন্ধের সত্যতা যাচাই না করা নীতির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত ভুয়া দাবিকেও নিজ প্ল্যাটফর্মে ঠাঁই দিচ্ছে তারা।
ফেইসবুক জানিয়েছে, তাৎক্ষণিক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে এমন ভুল তথ্য সরানোর ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেবে সাইটটি। আগামীতে রাজনীতিবিদদের পোস্ট করা জলবায়ু সম্পর্কিত ভুল তথ্য সরানো হবে বলেও জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির বৈশ্বিক নীতি প্রধান নিক ক্লেগ।
“কোনো সামাজিক মাধ্যম প্রতিষ্ঠানই এ ধরনের কাজ করেনি সহজ একটি কারণে – রাজনৈতিক বক্তব্যের বৈশিষ্ট্যই সবসময়েই বাড়িয়ে বলা, পরিসংখ্যান ব্যবহার করা, এবং কোনো প্রার্থীর গুণের দাবি করা এবং অন্যদের খুঁত ধরা।” – বলেছেন ক্লেগ।
প্রতিষ্ঠানটির করোনাভাইরাস তথ্য কেন্দ্র মহামারীর ভুল তথ্য ঠেকানো সম্পর্কে কতোটা কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পেরেছিল তা এখনো পরিষ্কার নয়। নিজেদের ওই টুলের কার্যকারিতা এখনও পর্যালোচনা করেনি ফেইসবুক। শুধু প্রতিষ্ঠানটির সেবা প্রধান ক্রিস কক্স জানিয়েছিলেন, ৬০ কোটি মানুষ ফেইসবুকের ওই টুলে ক্লিক করেছেন।
ফেইসবুক এ বছর নিজেদের বৈশ্বিক কার্যক্রমকে শূন্য কার্বন নিঃসরণে নামিয়ে আসবে এবং শতভাগ নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার করবে বলেও নিশ্চিত করেছে।
Comments
So empty here ... leave a comment!