ad720-90

‘উন্নত জীবন পেতে’ সাইবর্গ হতেও রাজি মানুষ


গোটা বিশ্ব যখন প্রযুক্তি বিপ্লবের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তখন এই বিষয়ে নেতৃত্ব দেওয়া লোকজন বলছেন, মানুষের জীবনের প্রতিটি অংশ বদলে দেবে প্রযুক্তি। ক্যাসপারস্কির জরিপে অংশ নিয়েছিলেন ১৬টি দেশের সাড়ে ১৪ হাজার মানুষ। রয়টার্স জানিয়েছে, ১৬টি দেশের মধ্যে ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি এবং স্পেনের মতো দেশগুলো রয়েছে।

জরিপে অংশগ্রহণকারী ৬৩ শতাংশ মানুষ উন্নত জীবন পাওয়ার লক্ষ্যে শরীরে প্রযুক্তি সংযোজনের বিষয়টি বিবেচনা করবেন। ফলাফলে অবশ্য তারতম্য রয়েছে। ইউরোপের ভিন্ন ভিন্ন স্থান থেকে ভিন্ন ভিন্ন ফলাফল এসেছে। 

ব্রিটেন, ফ্রান্স ও সুইজারল্যান্ডের মানুষ প্রযুক্তি সংযোজনের পক্ষে সবচেয়ে কম রায় দিয়েছেন। ব্রিটেনে ২৫ শতাংশ, ফ্রান্সে ৩২ শতাংশ এবং সুইজারল্যান্ডে ৩৬ শতাংশ অংশগ্রহণকারী প্রযুক্তি সংযোজনের পক্ষে রায় দিয়েছেন।

স্পেন ও পর্তুগালের বাসিন্দারা প্রযুক্তি সংযোজনের পক্ষে সবচেয়ে বেশি সায় দিয়েছেন। দুটি দেশেরই ৬০ শতাংশ করে অংশগ্রহণকারী জানিয়েছেন, তারা এ ব্যাপারে ভেবে দেখবেন।

মস্কোভিত্তিক সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ক্যাসপারস্কির বৈশ্বিক গবেষণা ও বিশ্লেষণের ইউরোপীয় পরিচালক মার্কো প্রাস বলেছেন, “মানব অঙ্গ দেহে কৃত্রিম সংযোজন বর্তমানের অন্যতম উল্লেখযোগ্য একটি ট্রেন্ড।”

“সংযোজন আগ্রহীরা এরই মধ্যে কী কী সম্ভব তা পরীক্ষা করছেন। কিন্তু ঝুঁকি কমিয়ে সংযোজনের পুরো সম্ভাব্যতা পাওয়া নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমাদের সার্বজনীন একটি মান থাকতে হবে।       

মার্কিন শতকোটিপতি ইলন মাস্ক গত মাসে গারট্রুড নামের শুকরের মাথায় কয়েন আকৃতির কম্পিউটার চিপ বসিয়ে তা বিশ্ববাসীকে দেখিয়েছেন, সামনে মানব শরীরেও এ ধরনের চিপ স্থাপন করা হবে বলে ভবিষ্যদ্বাণীও করেছেন।

ক্যাসপারস্কি জরিপে উঠে এসেছে, অধিকাংশ অশগ্রহণকারীই এ ধরনের প্রযুক্তি সংযোজন মানব কল্যাণে কাজ করবে এমন প্রত্যাশা করছেন। অনেকে আবার উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন, এতে সামাজিকতার ক্ষতি হবে এবং হ্যাকাররা এর সুযোগ নেবে।

জরিপে আরও উঠে এসেছে, শুধু ধনীরাই এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ পাবেন এমনটাই অধিকাংশ অংশগ্রহণকারী ধারণা করছেন।   





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar