ad720-90

সামাজিক মাধ্যম নিয়ন্ত্রণ: অ্যাটর্নি জেনারেলদের সঙ্গে বসবেন ট্রাম্প


আলোচিত আইনটির বদৌলতে ব্যবহারকারীদের পোস্ট করা কনটেন্টের দায়ভার এড়াতে পারে সামাজিক মাধ্যম প্রতিষ্ঠান, আবার চাইলে প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো ব্যবহারকারীর আপত্তিকর পোস্ট মুছেও দিতে পারে। ডনাল্ড ট্রাম্পের টুইটে টুইটার লেবেল জুড়ে দেওয়ার পর থেকেই এই আইনটির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

রয়টার্স জানিয়েছে, বুধবার ট্রাম্প ও অ্যাটর্নি জেনারেলদের মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। 

“অনলাইন সেন্সরশিপের ব্যাপারটি শুধু বাক স্বাধীনতার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এটি ভোক্তাদের রক্ষা করে, তাদেরকে নতুন আইনের অধীনে লড়াই করার জন্য সম্পদ ও অধিকার সম্পর্কে অবহিত করে।” – বলেছেন হোয়াইট হাউস মুখপাত্র জুড ডিয়র।

“রাষ্ট্রীয় আইনজীবিরা এ বিষয়টি নিয়ে একদম সম্মুখ সারি থেকে কাজ করছেন, এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাদের মতামত শুনতে চাচ্ছেন।” – যোগ করেছেন ডিয়ের।

মে মাসের শেষের দিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় লিখেছিলেন, “কোনো উপায় নেই (শূন্য!) মেইল-ইন ব্যালটগুলো ব্যাপক জালিয়াতির চেয়ে কম কিছু হবে না।” প্রেসিডেন্টের ওই পোস্টটির নিচে একটি সতর্কতা লেবেল লাগিয়ে দিয়েছিল টুইটার।

তার পরপরই সামাজিক মাধ্যমকে এক চোট নেওয়ার হুমকি দেন ট্রাম্প এবং এ সম্পর্কিত এক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন তিনি। 

ওই নির্বাহী আদেশে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে ফেডারেল ট্রেড কমিশনের কাছে আবেদন বা পিটিশন করতে বলা হয়, যাতে ফেডারেল ট্রেড কমিশন ১৯৯৬ সালের ‘কমিউনিকেশনস ডিসেন্সি অ্যাক্ট’-এর ধারা ২৩০ সংশোধন করে দেয়। মূলত ওই ধারার বদৌলতে সামাজিক মাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলো যে আইনি সুরক্ষা পায়, সে নিয়মাবলী সংশোধন করতে বলা হয়েছে নির্বাহী আদেশটিতে।

এ প্রস্তাবে সতর্ক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন এফসিসি চেয়ারম্যান অজিত পাই। পরে পিটিশন প্রশ্নে জন মতামত সংগ্রহে ৪৫ দিন সময় নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন তিনি।

ফেইসবুক, অ্যামাজন, অ্যালফাবেটের মতো প্রধান ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী একটি দল এফসিসিকে ওই পিটিশন প্রত্যাখ্যান করার আহবান জানিয়েছে। তাদের ভাষ্যে, পিটিশনটি “বিপথগামী, যথেষ্ট আইনসম্মত নয় এবং জননীতি বিষয়ে গুরুতর উদ্বেগ সৃষ্টি করছে।” 

এ মাসের শুরুতেই ট্রাম্পের পদক্ষেপে সমর্থন জানিয়েছেন, টেক্সাস, লুয়িজিয়ানা, ইন্ডিয়ানা ও মিসৌরির অ্যাটর্নি জেনারেলরা যারা সবাই রিপাবলিকান দলের সমর্থক। তাদের মতে, যতক্ষণ “অংশগ্রহণকারীরা ফোরামের নিয়ম বুঝতে না পারছেন, এবং বক্তব্য সীমাবদ্ধতা অনেক দূর চলে গেলে প্রতিযোগিতা বিকল্প কোনো পন্থা না দিতে পারছে,” ততক্ষণ সামাজিক মাধ্যম প্রতিষ্ঠানকে পুরোপুরি স্বাধীন বলা যায় না।

আরও খবর:


ট্রাম্পের সামাজিক মাধ্যম নিয়ন্ত্রণ এতো সহজে হবে না


বিতর্কিত পোস্ট নিয়ে জাকারবার্গের সঙ্গে ফোনালাপ ট্রাম্পের


ট্রাম্পের টুইটে ‘ফ্যাক্ট-চেকিং’ ট্যাগ সেঁটে দিল টুইটার


‘সামাজিক মাধ্যম বিষয়ে’ নির্বাহী আদেশের ঘোষণা ট্রাম্পের


স্যোশাল মিডিয়ার বিরুদ্ধে নির্বাহী আদেশ সই করবেন ট্রাম্প


স্যোশাল মিডিয়ার আইনি সুরক্ষা প্রত্যাহারের নির্বাহী আদেশে সই ট্রাম্পের


ট্রাম্প লড়াইয়ে টুইটার থেকে আলাদা ফেইসবুক: জাকারবার্গ


কেন খেপলেন ট্রাম্প? কে এই জ্যাক ডরসি, কেমন মানুষ তিনি?





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar